ঢাকা ০৪:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

পর্নোগ্রাফি ও জুয়ার সকল সাইট- লিংক বন্ধের দাবি

ছবিঃ সংগৃহীত

দেশে জুয়া খেলা বাড়ছে বাড়ছে সাইবার অপরাধ সেই সাথে তরুণ প্রজন্ম পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত হয়ে পড়েছে। যার ফলে বাড়ছে ইন্টারনেটের অপব্যবহার বা ইন্টারনেট আসক্তি (I A) পর্নোগ্রাফি আসক্তি,(p a), আর এর মাধ্যমে বাড়ছে বিষন্নতা, মানসিক চাপ, উদ্যেগ। যা অত্যন্ত ভয়াবহ দেশের আগামী প্রজন্ম হুমকির মুখে। এ থেকে মুক্তি পেতে গ্রাহক অধিকার নিয়ে সোচ্চার নাগরিক সংগঠন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন এর পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয়েছে পর্নোগ্রাফি ও জোয়ার সকল সাইট লিংক বন্ধের। আজ গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, গতবছর অর্থাৎ ২০২২ সালের অক্টোবর থেকে গত বছর ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত বিটিআরসি ১২ হাজার তিনটি অনলাইন ব্যাটিং সাইট বন্ধ করেছিল। এমনকি পর্নোগ্রাফির বহু সংখ্যক সাইট বন্ধ করেছিল। কিন্তু সামগ্রিকভাবে বন্ধ করা যায়নি এবং কার্যক্রম চলমান রাখতে পারেননি নিয়ন্ত্রক কমিশন এমনকি টেলিকমিউনিকেশন নিরাপত্তার সাথে যুক্ত এন টি এম সি। যার ফলেই সাম্প্রতিক সময়ে এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে দেশে কিশোর কিশোরীদের ৬৩ শতাংশ ইন্টারনেটে আসক্ত। বিষন্নতায় ভুগছে ৭৬ দশমিক ৬ শতাংশ। গবেষণাটিতে সবচাইতে ভয়াবহ তথ্য হচ্ছে কিশোর কিশোরীদের মধ্যে ৬২.৯ শতাংশ পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত।

অন্যদিকে আমাদের নিজস্ব পরিসংখ্যানে লক্ষ্য করা যায় যে, দেশের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় 2 কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী জুয়ায় আসক্ত। পাড়া মহল্লায় একটি ডিভাইস ব্যবহার করে দুই বা ততোধিক চারজন এমনকি দর্শক হিসেবে আরো ৪-৫ জন মিলে জোয়া খেলায় লিপ্ত হচ্ছে। এ সকল জুয়া খেলায় প্রথমে কিছু অর্থ প্রাপ্ত হলেও ৯৯% ক্ষেত্রেই প্রতারিত হয়। আর এ সকল দুয়ার বিজ্ঞাপন ও লিংক অনলাইনে হাজার হাজার। পর্নোগ্রাফি সাইটে ঢুকলেই জোয়ার বিজ্ঞাপন। এমনকি সবল জোয়ার বিজ্ঞাপনে দেশি-বিদেশি নামকরা সেলিব্রেটি অংশ নিচ্ছে দেখা যায়। ফায়ারফক্স মজিলা, opera mini, ব্যাটা, এমনকি ক্রোমো ব্রাওজে অবাধে সার্চ দিলেই মিলছে পর্নোগ্রাফির লিংক। এর পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পেজ খুলে যৌন ব্যবসা বিজ্ঞাপন। যে বিজ্ঞাপনে স্পর্শ করার সাথে সাথে গ্রাহকের হোয়াটসঅ্যাপে সংযুক্ত হয়ে যাচ্ছে। গ্রাহকের তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে ঐ সকল অপরাধী যৌন ব্যবসায়ী। পর্নো এবং জুয়া এ দুটি ওতপ্রোতভাবে যুক্ত। আচ্ছা যারা ইন্টারনেটে আসক্ত হয়ে পড়ছেন বিশেষ করে যাদের জোয়া এবং পর্নোগ্রাফিতে আসক্তি বেশি তারাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ‌।

জোয়া বা পর্নোগ্রাফি সাইড লিংক এমন কি অ্যাপ গুলি বন্ধ করা না গেলে আগামী প্রজন্ম ধ্বংস হয়ে যাবে। এর সাথে যুক্ত হচ্ছে নানা শ্রেণীর বয়সের লোকজন।

সরকারের এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি। সেই সাথে গণমাধ্যম, অপারেটর, নিয়ন্ত্রক সংস্থা, সরকার এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনলাইন নিরাপত্তায় জনসচেতনতা তৈরি করতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।


কেবলমাত্র নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহারেই দেশের সমৃদ্ধি বয়ে আনতে পারে।

শাহাদাত হোসেন রাফিদ

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনপ্রিয় সংবাদ

অনলাইন স্ক্যাম ও জালিয়াতি প্রতিরোধে নতুন ফিচার আনল হোয়াটসঅ্যাপ

পর্নোগ্রাফি ও জুয়ার সকল সাইট- লিংক বন্ধের দাবি

আপডেট সময় : ০২:৪০:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০২৪

দেশে জুয়া খেলা বাড়ছে বাড়ছে সাইবার অপরাধ সেই সাথে তরুণ প্রজন্ম পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত হয়ে পড়েছে। যার ফলে বাড়ছে ইন্টারনেটের অপব্যবহার বা ইন্টারনেট আসক্তি (I A) পর্নোগ্রাফি আসক্তি,(p a), আর এর মাধ্যমে বাড়ছে বিষন্নতা, মানসিক চাপ, উদ্যেগ। যা অত্যন্ত ভয়াবহ দেশের আগামী প্রজন্ম হুমকির মুখে। এ থেকে মুক্তি পেতে গ্রাহক অধিকার নিয়ে সোচ্চার নাগরিক সংগঠন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন এর পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয়েছে পর্নোগ্রাফি ও জোয়ার সকল সাইট লিংক বন্ধের। আজ গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, গতবছর অর্থাৎ ২০২২ সালের অক্টোবর থেকে গত বছর ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত বিটিআরসি ১২ হাজার তিনটি অনলাইন ব্যাটিং সাইট বন্ধ করেছিল। এমনকি পর্নোগ্রাফির বহু সংখ্যক সাইট বন্ধ করেছিল। কিন্তু সামগ্রিকভাবে বন্ধ করা যায়নি এবং কার্যক্রম চলমান রাখতে পারেননি নিয়ন্ত্রক কমিশন এমনকি টেলিকমিউনিকেশন নিরাপত্তার সাথে যুক্ত এন টি এম সি। যার ফলেই সাম্প্রতিক সময়ে এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে দেশে কিশোর কিশোরীদের ৬৩ শতাংশ ইন্টারনেটে আসক্ত। বিষন্নতায় ভুগছে ৭৬ দশমিক ৬ শতাংশ। গবেষণাটিতে সবচাইতে ভয়াবহ তথ্য হচ্ছে কিশোর কিশোরীদের মধ্যে ৬২.৯ শতাংশ পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত।

অন্যদিকে আমাদের নিজস্ব পরিসংখ্যানে লক্ষ্য করা যায় যে, দেশের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় 2 কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী জুয়ায় আসক্ত। পাড়া মহল্লায় একটি ডিভাইস ব্যবহার করে দুই বা ততোধিক চারজন এমনকি দর্শক হিসেবে আরো ৪-৫ জন মিলে জোয়া খেলায় লিপ্ত হচ্ছে। এ সকল জুয়া খেলায় প্রথমে কিছু অর্থ প্রাপ্ত হলেও ৯৯% ক্ষেত্রেই প্রতারিত হয়। আর এ সকল দুয়ার বিজ্ঞাপন ও লিংক অনলাইনে হাজার হাজার। পর্নোগ্রাফি সাইটে ঢুকলেই জোয়ার বিজ্ঞাপন। এমনকি সবল জোয়ার বিজ্ঞাপনে দেশি-বিদেশি নামকরা সেলিব্রেটি অংশ নিচ্ছে দেখা যায়। ফায়ারফক্স মজিলা, opera mini, ব্যাটা, এমনকি ক্রোমো ব্রাওজে অবাধে সার্চ দিলেই মিলছে পর্নোগ্রাফির লিংক। এর পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পেজ খুলে যৌন ব্যবসা বিজ্ঞাপন। যে বিজ্ঞাপনে স্পর্শ করার সাথে সাথে গ্রাহকের হোয়াটসঅ্যাপে সংযুক্ত হয়ে যাচ্ছে। গ্রাহকের তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে ঐ সকল অপরাধী যৌন ব্যবসায়ী। পর্নো এবং জুয়া এ দুটি ওতপ্রোতভাবে যুক্ত। আচ্ছা যারা ইন্টারনেটে আসক্ত হয়ে পড়ছেন বিশেষ করে যাদের জোয়া এবং পর্নোগ্রাফিতে আসক্তি বেশি তারাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ‌।

জোয়া বা পর্নোগ্রাফি সাইড লিংক এমন কি অ্যাপ গুলি বন্ধ করা না গেলে আগামী প্রজন্ম ধ্বংস হয়ে যাবে। এর সাথে যুক্ত হচ্ছে নানা শ্রেণীর বয়সের লোকজন।

সরকারের এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি। সেই সাথে গণমাধ্যম, অপারেটর, নিয়ন্ত্রক সংস্থা, সরকার এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনলাইন নিরাপত্তায় জনসচেতনতা তৈরি করতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।


কেবলমাত্র নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহারেই দেশের সমৃদ্ধি বয়ে আনতে পারে।

শাহাদাত হোসেন রাফিদ