রয়্যাল এনফিল্ড মোটরসাইকেল বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় হওয়ার পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে:
ঐতিহ্য এবং ইতিহাস: রয়্যাল এনফিল্ডের শুরু ব্রিটেনে ১৯০১ সালে, যা এই ব্র্যান্ডটিকে বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো মোটরসাইকেল ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে অন্যতম করে তুলেছে। দীর্ঘকাল ধরে বাজারে থাকার কারণে এটি একটি শক্তিশালী ঐতিহ্যের প্রতিনিধিত্ব করে।
রেট্রো ডিজাইন: রয়্যাল এনফিল্ডের বাইকগুলোতে রেট্রো এবং ক্লাসিক ডিজাইন রয়েছে, যা মোটরসাইকেলপ্রেমীদের কাছে ভীষণ আকর্ষণীয়। পুরনো দিনের মোটরসাইকেলগুলোর চেহারা বজায় রেখে মডার্ন ফিচার দেওয়াটা এর বিশেষত্ব।
দুর্দান্ত ইঞ্জিন পারফরম্যান্স: রয়্যাল এনফিল্ডের ইঞ্জিনগুলো সাধারণত টর্কি বেশি, যা দীর্ঘ দূরত্বের ভ্রমণ বা হাইওয়ে রাইডিংয়ের জন্য উপযুক্ত। এর বাইকগুলোর ইঞ্জিন কম RPM এও ভালো টর্ক প্রদান করতে সক্ষম।
প্রশস্ত ভ্রমণের ক্ষমতা: রয়্যাল এনফিল্ডের হিমালয়ান মডেল এবং অন্যান্য বাইকগুলো দীর্ঘ ভ্রমণের জন্য আদর্শ। বিভিন্ন ধরণের রাস্তায়, যেমন অফ-রোড, পাহাড়ি বা কঠিন পরিস্থিতিতেও, এগুলো ভাল পারফরম্যান্স দেয়।
পারসোনালাইজেশন ও কাস্টমাইজেশন: রয়্যাল এনফিল্ড মালিকদের তাদের বাইকগুলোকে সহজেই কাস্টমাইজ করার সুযোগ দেয়। মালিকরা তাদের বাইকগুলোকে নিজের পছন্দ অনুযায়ী সাজাতে পারে, যা বাইকের প্রতি একটি বিশেষ আবেগ সৃষ্টি করে।
টেকসই ও নির্ভরযোগ্যতা: রয়্যাল এনফিল্ডের বাইকগুলো বেশ মজবুত এবং দীর্ঘস্থায়ী হয়। সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ করলে এগুলো বছরের পর বছর ধরে ভালো পারফরম্যান্স দিতে পারে।
বিশ্বব্যাপী কমিউনিটি: রয়্যাল এনফিল্ডের মালিকদের একটি বড় কমিউনিটি রয়েছে, যারা একে অপরের সাথে যুক্ত থাকে এবং বিভিন্ন ভ্রমণ ও ইভেন্টে অংশগ্রহণ করে। এই কমিউনিটি বন্ডিংও এর জনপ্রিয়তার একটি বড় কারণ।
এছাড়াও, রয়্যাল এনফিল্ডের বাইকগুলোতে যে শক্তিশালী এবং ভরাট শব্দ পাওয়া যায়, তা অনেক রাইডারের জন্য বিশেষ আকর্ষণের বিষয়।
অবশেষে বাংলাদেশে আসতেছে রয়েল এনফিল্ড মোটরসাইকেল তা নিয়ে বাংলাদেশের তরুণদের মধ্যে চরম উত্তেজনা দেখা যাচ্ছে। পরিশেষে এই বাইক বাংলাদেশের তরুণদের মধ্যে কেমন বিচরণ করে তাই দেখার অপেক্ষা।
নিহাদ সাজিদ