ডালিমের খোসার চা প্রাচীনকাল থেকে স্বাস্থ্যকর উপকারের জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এটি বিভিন্ন উপকারী গুণাগুণের কারণে জনপ্রিয়। নিচে ডালিমের খোসার চা খাওয়ার কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা তুলে ধরা হলো:
১. অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ:
ডালিমের খোসা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, যা শরীরের ক্ষতিকর ফ্রি র্যাডিক্যাল থেকে কোষকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। এটি বয়সের ছাপ দূর করতে সহায়ক।
২. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়:
ডালিমের খোসায় উপস্থিত ভিটামিন সি এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক। এটি সর্দি-কাশি ও সাধারণ ঠাণ্ডাজনিত রোগ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
৩. হজমশক্তি উন্নত করে:
ডালিমের খোসার চা হজমের জন্য খুবই উপকারী। এটি গ্যাস, অম্বল এবং অন্যান্য হজমজনিত সমস্যাগুলো উপশম করতে পারে। পেটের পীড়া দূর করতে সাহায্য করে এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।
৪. প্রদাহ নিবারণ:
ডালিমের খোসার মধ্যে প্রদাহ নিবারণকারী গুণাগুণ রয়েছে। এটি শরীরের বিভিন্ন প্রদাহ কমাতে কার্যকর, বিশেষ করে গলাব্যথা বা মাড়ির সমস্যার ক্ষেত্রে।
৫. কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ:
ডালিমের খোসার চা নিয়মিত সেবন করলে শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সহায়তা করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
৬. ওজন কমাতে সহায়ক:
ডালিমের খোসার চায়ে থাকা উপাদানগুলো মেটাবলিজম বাড়িয়ে ওজন কমাতে সহায়ক হয়। এটি অতিরিক্ত ফ্যাট জমতে বাধা দেয়।
৭. ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করে:
ডালিমের খোসার চা ত্বকের জন্যও উপকারী। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণাগুণ ত্বককে উজ্জ্বল ও মসৃণ রাখতে সাহায্য করে।
৮. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য:
ডালিমের খোসার চা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হতে পারে, যা ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য উপকারী।
চা তৈরির পদ্ধতি:
ডালিমের খোসা ভালোভাবে শুকিয়ে নিন। এরপর ১-২ চামচ শুকনো খোসা গরম পানিতে দিয়ে ৫-১০ মিনিট রেখে দিন। তারপর চা ছেঁকে নিয়ে মধু বা লেবুর রস মিশিয়ে পান করতে পারেন।
এই চা নিয়মিত সেবন করলে উপরোক্ত উপকারগুলো পাওয়া সম্ভব।
নিহাদ সাজিদ