পাইকারী ও আড়ত পর্যায় থেকে খুচরা দোকানি পর্যন্ত ইচ্ছেমতো দামেই বিক্রি ডিম বিক্রি করছেন। একইসঙ্গে পাহাড়তলী ডিমের বাজারের অধিকাংশ আড়ত তৃতীয়দিনের মত বন্ধ রেখেছেন সেখানের ব্যবসায়ীরা।
ডিম ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, সরকার নির্ধারিত দামে তারা ডিম সংগ্রহ করতে পারছেন না, তাই তারা বন্ধ রেখেছে দোকান। ডিমের দামের ঊর্ধ্বগতিতে ক্ষুব্ধ সাধারণ ভোক্তারা।
সরকার খুচরায় ১১ টাকা ৮৭ পয়সা, পাইকারিতে ১১ টাকা ১ পয়সা ও উৎপাদক পর্যায়ে ১০ টাকা ৯১ পয়সা ডিমের দাম নির্ধারণ করে দেওয়ার পরও বুধবার চট্টগ্রামের কোনো বাজারে এ দামে বেচাকেনা হয়নি। বরং নিয়ন্ত্রণহীন অবস্থায় চলে গেছে চট্টগ্রামের ডিমের বাজার। চট্টগ্রামে সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার পাহাড়তলীতে। সেখানে সরকার নির্ধারিত দামে ডিম বিক্রি হচ্ছে না। অধিকাংশ আড়তই বন্ধ।
তবে হাতেগোনা কয়েকটি দোকানে বিক্রি হলেও দাম বেশি, প্রতিটি আড়তে একশ ডিম বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২৮০ টাকায়। তারা জানিয়েছে তাদের ক্রয়মূল্য ১ হাজার ২২০ টাকা। শ্রমিক খরচ, পণ্য সরবরাহে ব্যয় এবং লাভসহ তারা অল্প দামেই বিক্রি করছেন দাবি ব্যবসায়ীদের। কিন্তু এ দামে ডিম কিনে ঠিক কত দামে খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে তা কোনোভাবেই বুঝা যাচ্ছে না। কারণ নগরীর খুচরা দোকানে ডিম নেই; যাদের মজুত আছে, তারাও বিক্রি করছেন একেক দরে।
এদিকে পাহাড়তলী বাজারের এক পাইকার জানান, সরকার কাদের সঙ্গে আলোচনা করে ডিমের দাম নির্ধারণ করেছেন তা জানি না। তবে সোজা কথা হল ডিমের ব্যবসার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে নিয়োজিতদের সঙ্গে আলাপ করেই তো দাম ঠিক করা উচিত ছিল। কিন্তু সেসব না করে সরকার দাম চাপিয়ে দিয়েছে, ফলে বাজার অস্থিতিশীল হয়ে পড়েছে। নতুন করে ডিম সরবরাহ হয়নি। যা ছিল তা দিয়েই কয়েকদিন চললেও বৃহস্পতিবার থেকে বেশিরভাগ বাজারে ডিম পাবেন না ক্রেতারা। কারণ পাহাড়তলী বাজারের বেশিরভাগ দোকান বন্ধ।
নিহাদ সাজিদ