ঢাকা ১২:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
লালবাগ কেল্লায় তিতুমীরের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সফর ৫ আগস্ট ঘিরে নাশকতার শঙ্কা নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের দিকে এগোচ্ছে : আলী রীয়াজ কাজে না আসা নীতিমালাগুলো পরিবর্তন করতে হবে : প্রধান উপদেষ্টা মেহরিন চৌধুরীর পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছে বিএনপি এমন কিছু করবেন না, আবার যেন গণতন্ত্র ব্যাহত হয় : মির্জা ফখরুল পিআর দেশের সামাজিক অবস্থার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয় : ড. মঈন খান ইআবি ডিগ্রির স্বীকৃতি না থাকায় শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত: পিএসসি চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলোচনা ইনডাকশন পদ্ধতিতে কমবে সিজারিয়ান সেকশন : প্রসূতি বিশেষজ্ঞরা ৪৪তম বিসিএসের প্রার্থীদের পিএসসির জরুরি নির্দেশনা

সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার বাড়ানো নিয়ে যা বললেন অর্থ উপদেষ্টা

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার বাড়ানো হলে দেশের ব্যাংকিং খাতে তারল্য সংকট দেখা দিতে পারে বলে সতর্ক করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, মুনাফা হার বাড়িয়ে দিলে সবাই সঞ্চয়পত্র কিনবে, ব্যাংকে টাকা রাখবে না। অথচ ব্যাংকেও তারল্যের বিষয় আছে। তাই ব্যালেন্স করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে দিলে ব্যাংকগুলো কোথা থেকে টাকা পাবে?

শনিবার (৫ জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, খারাপ অবস্থায় থাকা ব্যাংকগুলো পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ইসলামী ব্যাংকের উদাহরণ উল্লেখযোগ্য, যেখানে গ্রাহকদের আস্থা ফিরতে শুরু করেছে। এছাড়া ব্যাংকগুলোর জন্য ‘ব্যাংক রেজুলেশন অ্যাক্ট’ তৈরি করা হয়েছে, যার মূল উদ্দেশ্য হলো— গ্রাহকদের অর্থ ফেরত নিশ্চিত করা। সরকারের অঙ্গীকার, কেউ যেন টাকা হারিয়ে না বসে।

তিনি জানান, ব্যাংকিং খাতে যেসব অনিয়ম হয়েছে, তা একদিনে হয়নি। অনেকেই টাকা নিয়ে চলে গেছে। পৃথিবীর কোনো দেশেই এমন ভয়াবহ অবস্থা খুব বেশি দেখা যায় না।

এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এনবিআরের (জাতীয় রাজস্ব বোর্ড) চলমান অস্থিরতা প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, রাজস্ব বোর্ডের সমস্যা সমাধানে আলোচনা চলছে। প্রয়োজনীয় সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে পাঁচ সদস্যের একটি শক্তিশালী কমিটি গঠন করা হয়েছে।

মতবিনিময় সভা ও পরবর্তী ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম, নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজীব চৌধুরী এবং নবীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পিয়াস বসাক প্রমুখ।

কেকে

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

লালবাগ কেল্লায় তিতুমীরের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সফর

সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার বাড়ানো নিয়ে যা বললেন অর্থ উপদেষ্টা

আপডেট সময় : ১০:৫৫:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫

সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার বাড়ানো হলে দেশের ব্যাংকিং খাতে তারল্য সংকট দেখা দিতে পারে বলে সতর্ক করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, মুনাফা হার বাড়িয়ে দিলে সবাই সঞ্চয়পত্র কিনবে, ব্যাংকে টাকা রাখবে না। অথচ ব্যাংকেও তারল্যের বিষয় আছে। তাই ব্যালেন্স করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে দিলে ব্যাংকগুলো কোথা থেকে টাকা পাবে?

শনিবার (৫ জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, খারাপ অবস্থায় থাকা ব্যাংকগুলো পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ইসলামী ব্যাংকের উদাহরণ উল্লেখযোগ্য, যেখানে গ্রাহকদের আস্থা ফিরতে শুরু করেছে। এছাড়া ব্যাংকগুলোর জন্য ‘ব্যাংক রেজুলেশন অ্যাক্ট’ তৈরি করা হয়েছে, যার মূল উদ্দেশ্য হলো— গ্রাহকদের অর্থ ফেরত নিশ্চিত করা। সরকারের অঙ্গীকার, কেউ যেন টাকা হারিয়ে না বসে।

তিনি জানান, ব্যাংকিং খাতে যেসব অনিয়ম হয়েছে, তা একদিনে হয়নি। অনেকেই টাকা নিয়ে চলে গেছে। পৃথিবীর কোনো দেশেই এমন ভয়াবহ অবস্থা খুব বেশি দেখা যায় না।

এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এনবিআরের (জাতীয় রাজস্ব বোর্ড) চলমান অস্থিরতা প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, রাজস্ব বোর্ডের সমস্যা সমাধানে আলোচনা চলছে। প্রয়োজনীয় সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে পাঁচ সদস্যের একটি শক্তিশালী কমিটি গঠন করা হয়েছে।

মতবিনিময় সভা ও পরবর্তী ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম, নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজীব চৌধুরী এবং নবীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পিয়াস বসাক প্রমুখ।

কেকে