ঢাকা ১০:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নির্বাচন নিয়ে সন্দিহান ছিলাম, এখন আশ্বস্ত হয়েছি : মির্জা ফখরুল

রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গত ১০ মাসে বাংলাদেশে যে ঘটনাগুলো ঘটেছে, তাতে আমরা নির্বাচন নিয়ে একটু সন্দিহান হয়ে পড়েছিলাম যে শেষ পর্যন্ত কী দাঁড়াবে। লন্ডনে বৈঠকের পর আমরা অত্যন্ত অনুপ্রাণিত হয়েছি, আশ্বস্ত হয়েছি। আশা করছি, সামনের বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন হবে।

শনিবার (২১ জুন) বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে লন্ডনে বৈঠকের পর নির্বাচন নিয়ে বিএনপি আশার আলো দেখছে বলে মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, যখন আমরা দেখলাম আন্দোলনের প্রধান দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস একটা সভা করলেন। সভায় তারা কতগুলো বিষয়ে একমত হলেন। এটা নিঃসন্দেহে আমাদের সবার কাছে একটা আশা সামনে এনে দিয়েছে। আশা রাখছি, সামনের ফেব্রুয়ারি মাসে একটা নির্বাচন হবে। এর মধ্য দিয়ে আমাদের আশাগুলো পূরণের সুযোগ হবে।

অন্তর্বর্তী সরকার ভালো কাজ করছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকার শুরু করেছে, নিঃসন্দেহে তারা ইতিমধ্যে অনেক কাজ করেছেন এবং ভালো কাজ করছেন, আমাদের পথ দেখাচ্ছেন। আমরা আশা করব, যে সব রাজনৈতিক দল ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে ছিলাম, সবাই মিলে তাদের সহযোগিতা করব।

তিনি বলেন, এখন সংস্কারকাজ এগিয়ে চলেছে, কতগুলো বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি, কতগুলো বিষয়ে একমত হচ্ছে না। যতগুলো বিষয়ে আমরা একমত হব, সেগুলো আমরা বাস্তবায়ন করব। আর যেগুলোতে একমত হওয়া যাচ্ছে না, সেগুলো নিয়ে নির্বাচনের পর সংসদে আমরা আলোচনা করব। সেগুলোতে আমরা একমত হব। শুধু কথা বা আলোচনার মাধ্যমে সংস্কারের এই বিশাল কাজ সম্ভব হয় না বলেও মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের সংগ্রাম, জনগণের সংগ্রাম প্রাথমিকভাবে সফল হয়েছে। জনগণকে আমরা স্বপ্ন দেখাতে সক্ষম হয়েছি, বাংলাদেশে একটি গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করব। জনগণের কাছে আমাদের এটাই ছিল প্রতিশ্রুতি। এই প্রতিশ্রুতি পালনে আমরা কাজ করে যাব। বর্তমান রাষ্ট্রকাঠামোতে জনগণের স্বপ্নপূরণ করা সম্ভব নয়, তাই আমরা ৩১ দফা দিয়েছি সবার সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে। যাতে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক আমূল পরিবর্তন নিয়ে আসা যায়।

নির্বাচন কমিশনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নিবন্ধনের আবেদন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই তরুণদের প্রতি আমাদের প্রত্যাশা অনেক বেশি। তাদের নেতৃত্ব আমাদের লক্ষ্য অর্জনে সাহায্য করবে।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব শহীদউদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, ভাসানী জনশক্তি পার্টির চেয়ারম্যান শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম, এনডিপির চেয়ারম্যান ক্বারী আবু তাহের, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান প্রমুখ।

কেকে

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনপ্রিয় সংবাদ

নির্বাচন নিয়ে সন্দিহান ছিলাম, এখন আশ্বস্ত হয়েছি : মির্জা ফখরুল

আপডেট সময় : ০৯:১৩:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গত ১০ মাসে বাংলাদেশে যে ঘটনাগুলো ঘটেছে, তাতে আমরা নির্বাচন নিয়ে একটু সন্দিহান হয়ে পড়েছিলাম যে শেষ পর্যন্ত কী দাঁড়াবে। লন্ডনে বৈঠকের পর আমরা অত্যন্ত অনুপ্রাণিত হয়েছি, আশ্বস্ত হয়েছি। আশা করছি, সামনের বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন হবে।

শনিবার (২১ জুন) বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে লন্ডনে বৈঠকের পর নির্বাচন নিয়ে বিএনপি আশার আলো দেখছে বলে মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, যখন আমরা দেখলাম আন্দোলনের প্রধান দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস একটা সভা করলেন। সভায় তারা কতগুলো বিষয়ে একমত হলেন। এটা নিঃসন্দেহে আমাদের সবার কাছে একটা আশা সামনে এনে দিয়েছে। আশা রাখছি, সামনের ফেব্রুয়ারি মাসে একটা নির্বাচন হবে। এর মধ্য দিয়ে আমাদের আশাগুলো পূরণের সুযোগ হবে।

অন্তর্বর্তী সরকার ভালো কাজ করছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকার শুরু করেছে, নিঃসন্দেহে তারা ইতিমধ্যে অনেক কাজ করেছেন এবং ভালো কাজ করছেন, আমাদের পথ দেখাচ্ছেন। আমরা আশা করব, যে সব রাজনৈতিক দল ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে ছিলাম, সবাই মিলে তাদের সহযোগিতা করব।

তিনি বলেন, এখন সংস্কারকাজ এগিয়ে চলেছে, কতগুলো বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি, কতগুলো বিষয়ে একমত হচ্ছে না। যতগুলো বিষয়ে আমরা একমত হব, সেগুলো আমরা বাস্তবায়ন করব। আর যেগুলোতে একমত হওয়া যাচ্ছে না, সেগুলো নিয়ে নির্বাচনের পর সংসদে আমরা আলোচনা করব। সেগুলোতে আমরা একমত হব। শুধু কথা বা আলোচনার মাধ্যমে সংস্কারের এই বিশাল কাজ সম্ভব হয় না বলেও মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের সংগ্রাম, জনগণের সংগ্রাম প্রাথমিকভাবে সফল হয়েছে। জনগণকে আমরা স্বপ্ন দেখাতে সক্ষম হয়েছি, বাংলাদেশে একটি গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করব। জনগণের কাছে আমাদের এটাই ছিল প্রতিশ্রুতি। এই প্রতিশ্রুতি পালনে আমরা কাজ করে যাব। বর্তমান রাষ্ট্রকাঠামোতে জনগণের স্বপ্নপূরণ করা সম্ভব নয়, তাই আমরা ৩১ দফা দিয়েছি সবার সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে। যাতে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক আমূল পরিবর্তন নিয়ে আসা যায়।

নির্বাচন কমিশনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নিবন্ধনের আবেদন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই তরুণদের প্রতি আমাদের প্রত্যাশা অনেক বেশি। তাদের নেতৃত্ব আমাদের লক্ষ্য অর্জনে সাহায্য করবে।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব শহীদউদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, ভাসানী জনশক্তি পার্টির চেয়ারম্যান শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম, এনডিপির চেয়ারম্যান ক্বারী আবু তাহের, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান প্রমুখ।

কেকে