ঢাকা ১০:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কলকাতার মতো শহর পৃথিবীতে নেই : জয়া আহসান চলতি মাসেই জুলাই সনদ প্রকাশ করতে হবে : রাশেদ প্রধান জুলাই সনদ নিয়ে টালবাহানা সহ্য করা হবে না : নাহিদ ইসলাম সংস্কারবিহীন কোনো নির্বাচন জামায়াত গ্রহণ করবে না: তাহের দুঃখিত, এবার আর তা হবে না: প্রেস সচিব জুলাই অভ‍্যুত্থান স্মরণে মাসব্যাপী কর্মসূচি উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা স্বৈরাচারের লক্ষণ দেখামাত্রই যেন বিনাশ করতে পারি: প্রধান উপদেষ্টা জুলাই ঘোষণাপত্র দেবে অন্তর্বর্তী সরকার, কোনো দল বা ব্যক্তি নয় : জুলাই ঐক্য পদ্মা সেতুর মামলার প্রতিবেদন গায়ের জোরে দিয়েছে বিগত কমিশন : দুদক চেয়ারম্যান সবুজ পৃথিবী চাই: বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ ঢাকা আলিয়ার বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা পেতে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন: মির্জা ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

গণমাধ্যমের পূর্ণ স্বাধীনতা পেতে হলে দ্রুত গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সোমবার (১৬ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ মন্তব্য করেন তিনি।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশের সংবাদপত্রের ইতিহাসে ১৯৭৫ সালের ১৬ জুন এক বিষাদঘন কালিমালিপ্ত দিন। এদিনে তৎকালীন একদলীয় বাকশাল সরকার নাৎসী কায়দায় তাদের অনুগত ৪টি সংবাদপত্র অনুমতি দিয়ে অন্যসব পত্রিকা বন্ধ করে দিয়ে বিভিন্ন সংবাদপত্রে কর্মরত অসংখ্য সংবাদ কর্মীকে বেকার করে হতাশার অতল গহ্বরে ঠেলে দিয়েছিল। বাকশালের পথ ধরে ডামি আওয়ামী সরকার পুরোনো বাকশালের পুনরুত্থান ঘটিয়ে বিগত ১৫ বছর সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের ওপর দমন-পীড়ন অত্যুগ্র মাত্রায় নামিয়ে এনেছিল। নানা কালাকানুনের মাধ্যমে সংবাদপত্র ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার টুঁটি চেপে ধরা হয়েছিল। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল দিনকাল, আমার দেশ, দিগন্ত টিভি, ইসলামী টিভি, চ্যানেল-১ টিভিসহ অসংখ্য গণমাধ্যম।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সত্য প্রকাশে খুনের শিকার হয়েছেন অর্ধশতাধিক সাংবাদিক। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ নানা মামলায় গ্রেপ্তার ও হয়রানির শিকার হয়েছেন বহু সাংবাদিক, শিক্ষক, পেশাজীবী, এমনকি শিশু শিক্ষার্থীরাও। মন্ত্রী-এমপিদের এবং ক্ষমতা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সমালোচনা করলেই সাংবাদিকদের হয়রানি ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার হতে হতো। ৭৫-এর এই দিনের বিভীষিকা এখন ভিন্ন মাত্রায় আরও ভয়ংকর হিংস্ররূপে আত্মপ্রকাশ করেছিল। কিন্তু বিগত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের পর মানুষ তাদের বাকস্বাধীনতা কিছুটা হলেও ফিরে পেয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, গণমাধ্যমের পূর্ণ স্বাধীনতা পেতে হলে প্রয়োজন দ্রুত গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি বহুমত, পথ ও দলের বহুদলীয় গণতন্ত্র রক্ষার সংগ্রামে বারবার অগ্নিপরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। বহুমাত্রিকতা বিএনপির রাজনৈতিক আদর্শ। বারবার অবৈধ স্বৈরাচারী গোষ্ঠীর শক্ত শৃঙ্খল ভেঙ্গে গণতন্ত্রকে মুক্ত করেছে বিএনপি। যেমনটি করেছিলেন মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বহু দলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক এবং আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়ে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছিলেন। বাতিল করেছিলেন বাকশালী আমলের সব কালাকানুন।

কেকে

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

কলকাতার মতো শহর পৃথিবীতে নেই : জয়া আহসান

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা পেতে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন: মির্জা ফখরুল

আপডেট সময় : ১০:০৪:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫

গণমাধ্যমের পূর্ণ স্বাধীনতা পেতে হলে দ্রুত গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সোমবার (১৬ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ মন্তব্য করেন তিনি।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশের সংবাদপত্রের ইতিহাসে ১৯৭৫ সালের ১৬ জুন এক বিষাদঘন কালিমালিপ্ত দিন। এদিনে তৎকালীন একদলীয় বাকশাল সরকার নাৎসী কায়দায় তাদের অনুগত ৪টি সংবাদপত্র অনুমতি দিয়ে অন্যসব পত্রিকা বন্ধ করে দিয়ে বিভিন্ন সংবাদপত্রে কর্মরত অসংখ্য সংবাদ কর্মীকে বেকার করে হতাশার অতল গহ্বরে ঠেলে দিয়েছিল। বাকশালের পথ ধরে ডামি আওয়ামী সরকার পুরোনো বাকশালের পুনরুত্থান ঘটিয়ে বিগত ১৫ বছর সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের ওপর দমন-পীড়ন অত্যুগ্র মাত্রায় নামিয়ে এনেছিল। নানা কালাকানুনের মাধ্যমে সংবাদপত্র ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার টুঁটি চেপে ধরা হয়েছিল। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল দিনকাল, আমার দেশ, দিগন্ত টিভি, ইসলামী টিভি, চ্যানেল-১ টিভিসহ অসংখ্য গণমাধ্যম।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সত্য প্রকাশে খুনের শিকার হয়েছেন অর্ধশতাধিক সাংবাদিক। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ নানা মামলায় গ্রেপ্তার ও হয়রানির শিকার হয়েছেন বহু সাংবাদিক, শিক্ষক, পেশাজীবী, এমনকি শিশু শিক্ষার্থীরাও। মন্ত্রী-এমপিদের এবং ক্ষমতা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সমালোচনা করলেই সাংবাদিকদের হয়রানি ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার হতে হতো। ৭৫-এর এই দিনের বিভীষিকা এখন ভিন্ন মাত্রায় আরও ভয়ংকর হিংস্ররূপে আত্মপ্রকাশ করেছিল। কিন্তু বিগত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের পর মানুষ তাদের বাকস্বাধীনতা কিছুটা হলেও ফিরে পেয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, গণমাধ্যমের পূর্ণ স্বাধীনতা পেতে হলে প্রয়োজন দ্রুত গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি বহুমত, পথ ও দলের বহুদলীয় গণতন্ত্র রক্ষার সংগ্রামে বারবার অগ্নিপরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। বহুমাত্রিকতা বিএনপির রাজনৈতিক আদর্শ। বারবার অবৈধ স্বৈরাচারী গোষ্ঠীর শক্ত শৃঙ্খল ভেঙ্গে গণতন্ত্রকে মুক্ত করেছে বিএনপি। যেমনটি করেছিলেন মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বহু দলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক এবং আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়ে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছিলেন। বাতিল করেছিলেন বাকশালী আমলের সব কালাকানুন।

কেকে