ঢাকা ০৭:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নাটোরে কোরবানির হাটে সেনা টহল : দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান

ছবি: সংগৃহীত

মনিরুল ইসলাম ডাবলু, নাটোর প্রতিনিধি:

ঈদ-উল-আযহা সামনে রেখে নাটোরের লালপুর উপজেলার বিভিন্ন গরু-ছাগলের হাটে সেনাবাহিনীর টহল চলছে। কোরবানির পশুর হাটে শৃঙ্খলা রক্ষা ও অনিয়ম দমন নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনীর এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা।

২৬ মে, রবিবার সেনাবাহিনীর একটি টিম গোপালপুরের মধু বাড়ির গরুর হাট পরিদর্শনকালে সেখানে দুর্নীতির অভিযোগের সত্যতা পান। সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে গরু প্রতি ১৫০ টাকা অতিরিক্ত আদায়ের প্রমাণ মেলে।

তাৎক্ষণিকভাবে হাটের ইজারাদারদের ডেকে সতর্ক করা হয় এবং তাদের কাছ থেকে একটি লিখিত মুচলেকা নেওয়া হয়। পাশাপাশি জানানো হয়, ভবিষ্যতে কোনো ধরনের অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এই উদ্যোগে হাটে উপস্থিত সাধারণ মানুষ ও গরু ব্যবসায়ীদের মধ্যে স্বস্তির বাতাস বইছে। বাজার মনিটরিংয়ের এই প্রক্রিয়ায় অনিয়ম রোধে সেনাবাহিনীর ভূমিকা প্রশংসিত হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঈদ পর্যন্ত হাটগুলোতে সেনাবাহিনীর টহল অব্যাহত থাকবে। কেউ অনিয়ম বা দুর্নীতির শিকার হলে তাৎক্ষণিকভাবে সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে জানাতে অনুরোধ করা হয়েছে।

এ ধরনের মনিটরিং ব্যবস্থা চলমান থাকলে পশুর হাটে ন্যায্যমূল্যে কেনাবেচা নিশ্চিত হবে বলে আশা করছেন সাধারণ মানুষ।

এমএস

ট্যাগস :

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনপ্রিয় সংবাদ

নাটোরে কোরবানির হাটে সেনা টহল : দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান

আপডেট সময় : ০৭:২৮:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫

মনিরুল ইসলাম ডাবলু, নাটোর প্রতিনিধি:

ঈদ-উল-আযহা সামনে রেখে নাটোরের লালপুর উপজেলার বিভিন্ন গরু-ছাগলের হাটে সেনাবাহিনীর টহল চলছে। কোরবানির পশুর হাটে শৃঙ্খলা রক্ষা ও অনিয়ম দমন নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনীর এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা।

২৬ মে, রবিবার সেনাবাহিনীর একটি টিম গোপালপুরের মধু বাড়ির গরুর হাট পরিদর্শনকালে সেখানে দুর্নীতির অভিযোগের সত্যতা পান। সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে গরু প্রতি ১৫০ টাকা অতিরিক্ত আদায়ের প্রমাণ মেলে।

তাৎক্ষণিকভাবে হাটের ইজারাদারদের ডেকে সতর্ক করা হয় এবং তাদের কাছ থেকে একটি লিখিত মুচলেকা নেওয়া হয়। পাশাপাশি জানানো হয়, ভবিষ্যতে কোনো ধরনের অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এই উদ্যোগে হাটে উপস্থিত সাধারণ মানুষ ও গরু ব্যবসায়ীদের মধ্যে স্বস্তির বাতাস বইছে। বাজার মনিটরিংয়ের এই প্রক্রিয়ায় অনিয়ম রোধে সেনাবাহিনীর ভূমিকা প্রশংসিত হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঈদ পর্যন্ত হাটগুলোতে সেনাবাহিনীর টহল অব্যাহত থাকবে। কেউ অনিয়ম বা দুর্নীতির শিকার হলে তাৎক্ষণিকভাবে সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে জানাতে অনুরোধ করা হয়েছে।

এ ধরনের মনিটরিং ব্যবস্থা চলমান থাকলে পশুর হাটে ন্যায্যমূল্যে কেনাবেচা নিশ্চিত হবে বলে আশা করছেন সাধারণ মানুষ।

এমএস