ঢাকা ১০:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কলকাতার মতো শহর পৃথিবীতে নেই : জয়া আহসান চলতি মাসেই জুলাই সনদ প্রকাশ করতে হবে : রাশেদ প্রধান জুলাই সনদ নিয়ে টালবাহানা সহ্য করা হবে না : নাহিদ ইসলাম সংস্কারবিহীন কোনো নির্বাচন জামায়াত গ্রহণ করবে না: তাহের দুঃখিত, এবার আর তা হবে না: প্রেস সচিব জুলাই অভ‍্যুত্থান স্মরণে মাসব্যাপী কর্মসূচি উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা স্বৈরাচারের লক্ষণ দেখামাত্রই যেন বিনাশ করতে পারি: প্রধান উপদেষ্টা জুলাই ঘোষণাপত্র দেবে অন্তর্বর্তী সরকার, কোনো দল বা ব্যক্তি নয় : জুলাই ঐক্য পদ্মা সেতুর মামলার প্রতিবেদন গায়ের জোরে দিয়েছে বিগত কমিশন : দুদক চেয়ারম্যান সবুজ পৃথিবী চাই: বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ ঢাকা আলিয়ার বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

৮০০ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন, পাপন ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে তথ্য পেল দুদক

নাজমুল হাসান পাপন। ছবি : সংগৃহীত

দুর্নীতি দমন কমিশনর (বিসিবি) সাবেক সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রায় ৮০০ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য উদঘাটন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদকের অনুসন্ধানে এই লেনদেনের সঙ্গে আয়বহির্ভূত সম্পদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

দুদকের অনুসন্ধানে পাপন দম্পতির প্রায় ৩৩ কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ মিলেছে। এরই মধ্যে কমিশনের অনুমোদন মেলায় মামলা করতে যাচ্ছেন দুদকের কর্মকর্তা উপ-পরিচালক সাইদুজ্জামান।

নাজমুল হাসান পাপনের বিরুদ্ধে দীর্ঘ একযুগের বেশি সময় দায়িত্ব পালনকালে দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে বিসিবির শত শত কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

এই অভিযোগের ভিত্তিতে দুদক সম্প্রতি তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে। এর অংশ হিসেবে গত ২৮ এপ্রিল দুদক বিসিবিতে একটি চিঠি পাঠিয়ে পাপনের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে ২৭টি ভিন্ন খাতের নথিপত্র তলব করে। এই নথিগুলোর মধ্যে রয়েছে পূর্বাচলে স্টেডিয়াম নির্মাণ প্রকল্প, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) পরিচালনায় ব্যয়, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) বিভিন্ন টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ সংক্রান্ত ব্যয়, বিদেশি কোচ নিয়োগসহ নানা খাতে ব্যয়ের তথ্য।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, এসব খাতে অস্বাভাবিক ব্যয়ের পেছনে দুর্নীতির সুস্পষ্ট ইঙ্গিত রয়েছে, যা যাচাই-বাছাইয়ের জন্য প্রমাণ সংগ্রহ করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, পাপন আওয়ামী লীগের হয়ে বেশ কয়েকবার সংসদ সদস্যও হয়েছেন। এমপি থাকা অবস্থায় তার বিরুদ্ধে অর্থ লুটপাটের অভিযোগ অনুসন্ধানে নেমে অবৈধ সম্পদ ও সন্দেহজনক লেনদেনের প্রমাণ পায় দুদক। অন্যদিকে বিসিবির অর্থ লুটপাটের ঘটনায় পৃথক আরও একটি অনুসন্ধান চলমান রয়েছে, যার খোঁজে বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি পাঠাচ্ছে দুদক।

কেকে

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

কলকাতার মতো শহর পৃথিবীতে নেই : জয়া আহসান

৮০০ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন, পাপন ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে তথ্য পেল দুদক

আপডেট সময় : ০৮:৫২:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫

দুর্নীতি দমন কমিশনর (বিসিবি) সাবেক সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রায় ৮০০ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য উদঘাটন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদকের অনুসন্ধানে এই লেনদেনের সঙ্গে আয়বহির্ভূত সম্পদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

দুদকের অনুসন্ধানে পাপন দম্পতির প্রায় ৩৩ কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ মিলেছে। এরই মধ্যে কমিশনের অনুমোদন মেলায় মামলা করতে যাচ্ছেন দুদকের কর্মকর্তা উপ-পরিচালক সাইদুজ্জামান।

নাজমুল হাসান পাপনের বিরুদ্ধে দীর্ঘ একযুগের বেশি সময় দায়িত্ব পালনকালে দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে বিসিবির শত শত কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

এই অভিযোগের ভিত্তিতে দুদক সম্প্রতি তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে। এর অংশ হিসেবে গত ২৮ এপ্রিল দুদক বিসিবিতে একটি চিঠি পাঠিয়ে পাপনের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে ২৭টি ভিন্ন খাতের নথিপত্র তলব করে। এই নথিগুলোর মধ্যে রয়েছে পূর্বাচলে স্টেডিয়াম নির্মাণ প্রকল্প, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) পরিচালনায় ব্যয়, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) বিভিন্ন টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ সংক্রান্ত ব্যয়, বিদেশি কোচ নিয়োগসহ নানা খাতে ব্যয়ের তথ্য।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, এসব খাতে অস্বাভাবিক ব্যয়ের পেছনে দুর্নীতির সুস্পষ্ট ইঙ্গিত রয়েছে, যা যাচাই-বাছাইয়ের জন্য প্রমাণ সংগ্রহ করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, পাপন আওয়ামী লীগের হয়ে বেশ কয়েকবার সংসদ সদস্যও হয়েছেন। এমপি থাকা অবস্থায় তার বিরুদ্ধে অর্থ লুটপাটের অভিযোগ অনুসন্ধানে নেমে অবৈধ সম্পদ ও সন্দেহজনক লেনদেনের প্রমাণ পায় দুদক। অন্যদিকে বিসিবির অর্থ লুটপাটের ঘটনায় পৃথক আরও একটি অনুসন্ধান চলমান রয়েছে, যার খোঁজে বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি পাঠাচ্ছে দুদক।

কেকে