ঢাকা ০৪:০৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কলকাতার মতো শহর পৃথিবীতে নেই : জয়া আহসান চলতি মাসেই জুলাই সনদ প্রকাশ করতে হবে : রাশেদ প্রধান জুলাই সনদ নিয়ে টালবাহানা সহ্য করা হবে না : নাহিদ ইসলাম সংস্কারবিহীন কোনো নির্বাচন জামায়াত গ্রহণ করবে না: তাহের দুঃখিত, এবার আর তা হবে না: প্রেস সচিব জুলাই অভ‍্যুত্থান স্মরণে মাসব্যাপী কর্মসূচি উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা স্বৈরাচারের লক্ষণ দেখামাত্রই যেন বিনাশ করতে পারি: প্রধান উপদেষ্টা জুলাই ঘোষণাপত্র দেবে অন্তর্বর্তী সরকার, কোনো দল বা ব্যক্তি নয় : জুলাই ঐক্য পদ্মা সেতুর মামলার প্রতিবেদন গায়ের জোরে দিয়েছে বিগত কমিশন : দুদক চেয়ারম্যান সবুজ পৃথিবী চাই: বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ ঢাকা আলিয়ার বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

জুলাই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচার স্বচ্ছ করা জরুরি: ইইউ রাষ্ট্রদূত

ডিক্যাব টকে এ কথা বলেন মাইকেল মিলার। ছবি : সংগৃহীত

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচার প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন করা জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার।

সোমবার (৫ মে) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে কূটনৈতিক রিপোর্টারদের আয়োজনে ডিক‍্যাব টক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, জুলাই গণহত্যায় যারা অভিযুক্ত, তাদের বিচার অবশ্যই হতে হবে। তবে সেই বিচারপ্রক্রিয়া হতে হবে পুরোপুরি স্বচ্ছ ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত বলেন, মানবিক করিডোর দেওয়ার উদ্যোগটি ভালো। রাখাইনের জন্য মানবিক ত্রাণ সহায়তা দরকার। তিনি বলেন, অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও স্বাধীন বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশকে সহায়তা করতে প্রস্তুত ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন।

রাষ্ট্রদূত মিলার বলেন, চলমান সংস্কার কার্যক্রমে সমর্থন রয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের। সংস্কারে পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে। তবে বাংলাদেশে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা চাপিয়ে দেবে না ইইইউ। নির্বাচন কখন হবে সেটি বাংলাদেশের ব‍্যাপার। একটি আন্তর্জাতিক মানের, অংশগ্রহণমূলক ও স্বচ্ছ নির্বাচনী পরিবেশ তৈরিতে ইইউ সহযোগিতা করতে চায় বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাঠামোগত সংস্কারকে সমর্থন করি। তবে বিচার ও আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত যে কোনো প্রক্রিয়ায় ন্যায্যতা এবং স্বচ্ছতা বজায় রাখা জরুরি।

তিনি আরও জানান, বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া টাকা ফেরানোর বিচারিক প্রক্রিয়ায় কয়েক বছর সময় লাগার কথা।

বাংলাদেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, আইনশৃঙ্খলা এখনো বাংলাদেশের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তবে আমরা ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখি যে, পরিস্থিতি উন্নতির পথে আছে।

এ সময় তিনি আরও বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে নারী সংস্কার কমিশন দেখতে হবে। এই আন্দোলন বাংলাদেশের বিষয়।

কেকে

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

কলকাতার মতো শহর পৃথিবীতে নেই : জয়া আহসান

জুলাই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচার স্বচ্ছ করা জরুরি: ইইউ রাষ্ট্রদূত

আপডেট সময় : ০৮:১৯:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচার প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন করা জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার।

সোমবার (৫ মে) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে কূটনৈতিক রিপোর্টারদের আয়োজনে ডিক‍্যাব টক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, জুলাই গণহত্যায় যারা অভিযুক্ত, তাদের বিচার অবশ্যই হতে হবে। তবে সেই বিচারপ্রক্রিয়া হতে হবে পুরোপুরি স্বচ্ছ ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত বলেন, মানবিক করিডোর দেওয়ার উদ্যোগটি ভালো। রাখাইনের জন্য মানবিক ত্রাণ সহায়তা দরকার। তিনি বলেন, অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও স্বাধীন বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশকে সহায়তা করতে প্রস্তুত ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন।

রাষ্ট্রদূত মিলার বলেন, চলমান সংস্কার কার্যক্রমে সমর্থন রয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের। সংস্কারে পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে। তবে বাংলাদেশে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা চাপিয়ে দেবে না ইইইউ। নির্বাচন কখন হবে সেটি বাংলাদেশের ব‍্যাপার। একটি আন্তর্জাতিক মানের, অংশগ্রহণমূলক ও স্বচ্ছ নির্বাচনী পরিবেশ তৈরিতে ইইউ সহযোগিতা করতে চায় বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাঠামোগত সংস্কারকে সমর্থন করি। তবে বিচার ও আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত যে কোনো প্রক্রিয়ায় ন্যায্যতা এবং স্বচ্ছতা বজায় রাখা জরুরি।

তিনি আরও জানান, বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া টাকা ফেরানোর বিচারিক প্রক্রিয়ায় কয়েক বছর সময় লাগার কথা।

বাংলাদেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, আইনশৃঙ্খলা এখনো বাংলাদেশের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তবে আমরা ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখি যে, পরিস্থিতি উন্নতির পথে আছে।

এ সময় তিনি আরও বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে নারী সংস্কার কমিশন দেখতে হবে। এই আন্দোলন বাংলাদেশের বিষয়।

কেকে