ঢাকা ০৬:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ ঢাকা আলিয়ার নেতৃত্বে রাকিব মন্ডল ও জিনাত নাটোরে শয়নকক্ষ থেকে যুবদল নেতার অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার অনলাইন স্ক্যাম ও জালিয়াতি প্রতিরোধে নতুন ফিচার আনল হোয়াটসঅ্যাপ অর্থনৈতিক অপরাধে জড়িতদের বিচারে কমিটি গঠন হবে : সৈয়দা রিজওয়ানা বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধে জড়াতে চায় না ভারত বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি ফ্লাইট শিগগিরই চালু হচ্ছে বাংলাদেশের সঙ্গে বৈঠক পাকিস্তানের, যা বলছে গণমাধ্যম ইউরোপীয় ইউনিয়নের ‘নিরাপদ’ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ নাটেরের নলডাঙ্গায় ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে এক ব্যাক্তির মৃত্যু নাটোরে নিহত শিশু জুঁইয়ের পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন তারেক রহমান

বিটিআরসিতে লাইসেন্সের জন্য আবেদন স্টারলিংকের

ছবি: সংগৃহীত

স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট সেবার লাইসেন্সের জন্য বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কাছে আবেদন করেছে মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের কোম্পানি স্টারলিংক।

বিটিআরসি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. এমদাদ উল বারী বুধবার যুগান্তরকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন স্টারলিংক গত সপ্তাহেই আবেদন করেছে। যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই তাদের লাইসেন্স দেওয়া হবে।

গত ২৯ মার্চ স্টারলিংক বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) অনুমোদন পায়। কার্যক্রম পরিচালনার জন্য স্টারলিংককে এখন দেশের ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি থেকে অনুমোদন নিতে হবে।

বিটিআরসি সূত্র জানায়, নীতিমালা অনুযায়ী এ ধরনের লাইসেন্সের আওতায় আবেদন ও প্রক্রিয়াকরণ ফি নির্ধারণ করা হয়েছে পাঁচ লাখ টাকা। লাইসেন্স ফি ১০ হাজার ডলার এবং বার্ষিক ফি ৩০ হাজার ডলার। এ ছাড়া প্রতিটি টার্মিনালের জন্য বার্ষিক স্টেশন বা টার্মিনাল ফি হিসেবে এক ডলার করে আদায় করা হবে। তবে শুধুমাত্র আইওটি সেবা দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত টার্মিনালের জন্য কোনো ফি দিতে হবে না।

যদি কোনো লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠানের গেটওয়ে ব্যান্ডউইডথ ব্যবহারের জন্য সরকারের মালিকানাধীন ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ের (আইআইজি) সঙ্গে সংযুক্ত থাকে অথবা কোনো বাংলাদেশি স্যাটেলাইট কোম্পানির সঙ্গে যৌথ অংশীদারিত্ব বা উদ্যোগ গড়ে তোলে তাহলে আবেদন, প্রক্রিয়াকরণ, লাইসেন্স গ্রহণ ও বার্ষিক ফি থেকে ২৫ শতাংশ ছাড় দেওয়া হবে।

লাইসেন্সধারীদের প্রথম দুই বছর কোনো আয় ভাগাভাগির বাধ্যবাধকতা থাকছে না। তবে তৃতীয় থেকে পঞ্চম বছর পর্যন্ত মোট আয়ের তিন শতাংশ এবং ষষ্ঠ বছর থেকে আয়ের সাড়ে পাঁচ শতাংশ সরকারকে দিতে হবে।

এনজিএসও লাইসেন্সের পাশাপাশি স্টারলিংকের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোকে নন-জিওস্টেশনারি অরবিট স্যাটেলাইট সেবা চালুর জন্য প্রয়োজনীয় স্পেকট্রাম ব্যবহারের অনুমতি নিতে একটি আলাদা রেডিও কমিউনিকেশন যন্ত্রপাতি লাইসেন্সও নিতে হবে।

কেকে

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ ঢাকা আলিয়ার নেতৃত্বে রাকিব মন্ডল ও জিনাত

বিটিআরসিতে লাইসেন্সের জন্য আবেদন স্টারলিংকের

আপডেট সময় : ০৯:৪২:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫

স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট সেবার লাইসেন্সের জন্য বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কাছে আবেদন করেছে মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের কোম্পানি স্টারলিংক।

বিটিআরসি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. এমদাদ উল বারী বুধবার যুগান্তরকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন স্টারলিংক গত সপ্তাহেই আবেদন করেছে। যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই তাদের লাইসেন্স দেওয়া হবে।

গত ২৯ মার্চ স্টারলিংক বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) অনুমোদন পায়। কার্যক্রম পরিচালনার জন্য স্টারলিংককে এখন দেশের ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি থেকে অনুমোদন নিতে হবে।

বিটিআরসি সূত্র জানায়, নীতিমালা অনুযায়ী এ ধরনের লাইসেন্সের আওতায় আবেদন ও প্রক্রিয়াকরণ ফি নির্ধারণ করা হয়েছে পাঁচ লাখ টাকা। লাইসেন্স ফি ১০ হাজার ডলার এবং বার্ষিক ফি ৩০ হাজার ডলার। এ ছাড়া প্রতিটি টার্মিনালের জন্য বার্ষিক স্টেশন বা টার্মিনাল ফি হিসেবে এক ডলার করে আদায় করা হবে। তবে শুধুমাত্র আইওটি সেবা দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত টার্মিনালের জন্য কোনো ফি দিতে হবে না।

যদি কোনো লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠানের গেটওয়ে ব্যান্ডউইডথ ব্যবহারের জন্য সরকারের মালিকানাধীন ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ের (আইআইজি) সঙ্গে সংযুক্ত থাকে অথবা কোনো বাংলাদেশি স্যাটেলাইট কোম্পানির সঙ্গে যৌথ অংশীদারিত্ব বা উদ্যোগ গড়ে তোলে তাহলে আবেদন, প্রক্রিয়াকরণ, লাইসেন্স গ্রহণ ও বার্ষিক ফি থেকে ২৫ শতাংশ ছাড় দেওয়া হবে।

লাইসেন্সধারীদের প্রথম দুই বছর কোনো আয় ভাগাভাগির বাধ্যবাধকতা থাকছে না। তবে তৃতীয় থেকে পঞ্চম বছর পর্যন্ত মোট আয়ের তিন শতাংশ এবং ষষ্ঠ বছর থেকে আয়ের সাড়ে পাঁচ শতাংশ সরকারকে দিতে হবে।

এনজিএসও লাইসেন্সের পাশাপাশি স্টারলিংকের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোকে নন-জিওস্টেশনারি অরবিট স্যাটেলাইট সেবা চালুর জন্য প্রয়োজনীয় স্পেকট্রাম ব্যবহারের অনুমতি নিতে একটি আলাদা রেডিও কমিউনিকেশন যন্ত্রপাতি লাইসেন্সও নিতে হবে।

কেকে