ঢাকা ০৭:০২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কলকাতার মতো শহর পৃথিবীতে নেই : জয়া আহসান চলতি মাসেই জুলাই সনদ প্রকাশ করতে হবে : রাশেদ প্রধান জুলাই সনদ নিয়ে টালবাহানা সহ্য করা হবে না : নাহিদ ইসলাম সংস্কারবিহীন কোনো নির্বাচন জামায়াত গ্রহণ করবে না: তাহের দুঃখিত, এবার আর তা হবে না: প্রেস সচিব জুলাই অভ‍্যুত্থান স্মরণে মাসব্যাপী কর্মসূচি উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা স্বৈরাচারের লক্ষণ দেখামাত্রই যেন বিনাশ করতে পারি: প্রধান উপদেষ্টা জুলাই ঘোষণাপত্র দেবে অন্তর্বর্তী সরকার, কোনো দল বা ব্যক্তি নয় : জুলাই ঐক্য পদ্মা সেতুর মামলার প্রতিবেদন গায়ের জোরে দিয়েছে বিগত কমিশন : দুদক চেয়ারম্যান সবুজ পৃথিবী চাই: বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ ঢাকা আলিয়ার বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

নারী-পুরুষের রক্তে শর্করার নিরাপদ মাত্রা কত?

ছবি : সংগৃহীত

বয়স অনুযায়ী রক্তে শর্করা (সুগার) এবং রক্তচাপ (প্রেশার) কতটা থাকা উচিত, তা জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনেকেই মনে করেন ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপ শুধু বয়স্কদের রোগ—কিন্তু বর্তমান সময়ে অল্প বয়সীদের মধ্যেও এসব রোগ দেখা যাচ্ছে।

আজকাল তরুণ-তরুণীরাও ডায়াবেটিস, থাইরয়েড কিংবা উচ্চ রক্তচাপের মতো জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই এখন আর বয়স দেখে এসব রোগ ধরা যায় না।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও নিয়মিত রুটিন মেনে চললে এসব রোগ অনেকাংশে প্রতিরোধ করা সম্ভব। সেজন্য শরীরের প্রতি সচেতন থাকা জরুরি।

চলুন জেনে নেওয়া যাক, নারী ও পুরুষভেদে বয়স অনুযায়ী রক্তে শর্করা ও রক্তচাপের মাত্রা কতটা হওয়া উচিত।

বয়স অনুযায়ী রক্তে শর্করার মাত্রা

খাবার খাওয়ার এক বা দু’ঘণ্টা পর ১৮ বছরের বেশি বয়সিদের জন্য রক্তে শর্করার মাত্রা ১৪০ মিলিগ্রাম/ডেসিলিটার (ডিএল) হওয়া উচিত। একই সময়ে, খাবারের আগে ১৮ বছরের বেশি বয়সিদের রক্তে শর্করা মাত্রা প্রতি ডেসিলিটারে ৯৯ মিলিগ্রাম হওয়া উচিত।

যাদের বয়স ৪০ বছরের বেশি, তাদের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো উচিত। ৪০ থেকে ৫০ বছর বয়সি এবং ডায়াবেটিস আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য খাবারের আগে শর্করার মাত্রা ৯০ থেকে ১৩০ মিলিগ্রাম/ডিএল এর মধ্যে হওয়া উচিত। একই সময়ে খাওয়ার পরে ১৪০ মিলিগ্রাম/ডিএল-এর চেয়ে কম এবং রাতে খাবারে পরে ১৫০ এরও কম হওয়া উচিত।

যদি এই বয়সের মধ্যে শর্করার মাত্রা এই সীমা অতিক্রম করে তবে তা উদ্বেগের কারণ হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে আপনার অবিলম্বে একজন ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

রক্তে শর্করার মাত্রা কিভাবে কমাবেন?

রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে হলে শারীরিক পরিশ্রম বাড়াতে হবে। এজন্য ব্যায়াম বা যোগ ব্যায়াম করতে পারেন।

উচ্চমাত্রার চিনি, লবণ, কোমল পানীয়, মিষ্টি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন। একইসঙ্গে কার্বোহাইড্রেট বেশি থাকে এমন খাবার খাবেন না। এছাড়াও আপনার ডায়েটে সালাদ রাখতে ভুলবেন না।

কেকে

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

কলকাতার মতো শহর পৃথিবীতে নেই : জয়া আহসান

নারী-পুরুষের রক্তে শর্করার নিরাপদ মাত্রা কত?

আপডেট সময় : ০৫:৩৪:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ মার্চ ২০২৫

বয়স অনুযায়ী রক্তে শর্করা (সুগার) এবং রক্তচাপ (প্রেশার) কতটা থাকা উচিত, তা জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনেকেই মনে করেন ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপ শুধু বয়স্কদের রোগ—কিন্তু বর্তমান সময়ে অল্প বয়সীদের মধ্যেও এসব রোগ দেখা যাচ্ছে।

আজকাল তরুণ-তরুণীরাও ডায়াবেটিস, থাইরয়েড কিংবা উচ্চ রক্তচাপের মতো জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই এখন আর বয়স দেখে এসব রোগ ধরা যায় না।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও নিয়মিত রুটিন মেনে চললে এসব রোগ অনেকাংশে প্রতিরোধ করা সম্ভব। সেজন্য শরীরের প্রতি সচেতন থাকা জরুরি।

চলুন জেনে নেওয়া যাক, নারী ও পুরুষভেদে বয়স অনুযায়ী রক্তে শর্করা ও রক্তচাপের মাত্রা কতটা হওয়া উচিত।

বয়স অনুযায়ী রক্তে শর্করার মাত্রা

খাবার খাওয়ার এক বা দু’ঘণ্টা পর ১৮ বছরের বেশি বয়সিদের জন্য রক্তে শর্করার মাত্রা ১৪০ মিলিগ্রাম/ডেসিলিটার (ডিএল) হওয়া উচিত। একই সময়ে, খাবারের আগে ১৮ বছরের বেশি বয়সিদের রক্তে শর্করা মাত্রা প্রতি ডেসিলিটারে ৯৯ মিলিগ্রাম হওয়া উচিত।

যাদের বয়স ৪০ বছরের বেশি, তাদের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো উচিত। ৪০ থেকে ৫০ বছর বয়সি এবং ডায়াবেটিস আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য খাবারের আগে শর্করার মাত্রা ৯০ থেকে ১৩০ মিলিগ্রাম/ডিএল এর মধ্যে হওয়া উচিত। একই সময়ে খাওয়ার পরে ১৪০ মিলিগ্রাম/ডিএল-এর চেয়ে কম এবং রাতে খাবারে পরে ১৫০ এরও কম হওয়া উচিত।

যদি এই বয়সের মধ্যে শর্করার মাত্রা এই সীমা অতিক্রম করে তবে তা উদ্বেগের কারণ হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে আপনার অবিলম্বে একজন ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

রক্তে শর্করার মাত্রা কিভাবে কমাবেন?

রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে হলে শারীরিক পরিশ্রম বাড়াতে হবে। এজন্য ব্যায়াম বা যোগ ব্যায়াম করতে পারেন।

উচ্চমাত্রার চিনি, লবণ, কোমল পানীয়, মিষ্টি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন। একইসঙ্গে কার্বোহাইড্রেট বেশি থাকে এমন খাবার খাবেন না। এছাড়াও আপনার ডায়েটে সালাদ রাখতে ভুলবেন না।

কেকে