ঢাকা ০৬:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

মির্জা আব্বাসকে ক্ষমা চাইতে হবে : ইসলামী আন্দোলন

ছবি : সংগৃহীত

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব ও দলের মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের সাথে মিলে চক্রান্ত করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বিএনপির পতন ঘটিয়েছে এবং চরমোনাই পীর সাহেব নিজেই তা বলেছেন’ মর্মে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস যে বক্তব্য দিয়েছেন তা সম্পূর্ণ অসত্য ও মিথ্যাচার। তাকে তার বক্তব্য প্রমাণ করতে হবে অন্যথায় তাকে ক্ষমা চাইতে হবে।

বুধবার (১৯ মার্চ) এক বিবৃতিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুখপাত্র বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চক্রান্তের রাজনীতি করে না। বরং সর্বদাই দেশ-জাতি ও মানবতার পক্ষে দাঁড়িয়ে কথা বলে। বিগত ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে যখন বিএনপি ক্ষমতাসীন ছিল, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বিরোধী দলসমূহের অন্তর্গত ছিল। সেই সময়ে ইসলামী আন্দোলন তৎকালীন বিএনপি সরকারের কার্যক্রমের বিরোধিতা করেছে। এখন বিরোধী দলের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডকে যদি জনাব আব্বাস সাহেবের কাছে ষড়যন্ত্র মনে হয় তাহলে বলতেই হবে, তিনিও একজন সম্ভাব্য স্বৈরাচার।

গাজী আতাউর রহমান বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস সবারই জানা। ২০০৬ সালে ৯ম জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে বিএনপির ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার অশুভ চেষ্টার প্রতিফল হিসেবেই এক এগারোর প্রেক্ষাপট তৈরি হয় এবং আওয়ামী ফ্যাসিজমের সূচনা হয়। এটা ইতিহাসের প্রতিষ্ঠিত সত্য। আব্বাসের উচিত হবে এই সত্যকে স্বীকার করে শিক্ষা নেওয়া। সত্যকে অস্বীকার করার প্রবণতা ভালো না।

তিনি বলেন, বিএনপির মাননীয় মহাসচিব আমাদের অফিসে এসে যে সমঝোতা করেছেন, আমরা তা রক্ষা করে চলছি। আমরাও প্রত্যাশা করেছিলাম যে, বিএনপির নেতৃবৃন্দ সেই সমঝোতাকে সম্মান করবেন। সেখানে আব্বাসের মতো একজন সিনিয়র নেতা যখন এমন মিথ্যা কথা বলেন তখন তার বিবেচনাবোধ নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুখপাত্র জনাব আব্বাসের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন, তাকে এই বক্তব্য প্রমাণ করতে হবে। অন্যথায় তাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। তা না হলে নতুন বাংলাদেশের সুস্থ রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরির সম্ভাবনা নষ্ট করার জন্য তিনি দায়ী হবেন।

কেকে

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনপ্রিয় সংবাদ

অনলাইন স্ক্যাম ও জালিয়াতি প্রতিরোধে নতুন ফিচার আনল হোয়াটসঅ্যাপ

মির্জা আব্বাসকে ক্ষমা চাইতে হবে : ইসলামী আন্দোলন

আপডেট সময় : ১০:২৯:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব ও দলের মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের সাথে মিলে চক্রান্ত করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বিএনপির পতন ঘটিয়েছে এবং চরমোনাই পীর সাহেব নিজেই তা বলেছেন’ মর্মে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস যে বক্তব্য দিয়েছেন তা সম্পূর্ণ অসত্য ও মিথ্যাচার। তাকে তার বক্তব্য প্রমাণ করতে হবে অন্যথায় তাকে ক্ষমা চাইতে হবে।

বুধবার (১৯ মার্চ) এক বিবৃতিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুখপাত্র বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চক্রান্তের রাজনীতি করে না। বরং সর্বদাই দেশ-জাতি ও মানবতার পক্ষে দাঁড়িয়ে কথা বলে। বিগত ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে যখন বিএনপি ক্ষমতাসীন ছিল, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বিরোধী দলসমূহের অন্তর্গত ছিল। সেই সময়ে ইসলামী আন্দোলন তৎকালীন বিএনপি সরকারের কার্যক্রমের বিরোধিতা করেছে। এখন বিরোধী দলের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডকে যদি জনাব আব্বাস সাহেবের কাছে ষড়যন্ত্র মনে হয় তাহলে বলতেই হবে, তিনিও একজন সম্ভাব্য স্বৈরাচার।

গাজী আতাউর রহমান বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস সবারই জানা। ২০০৬ সালে ৯ম জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে বিএনপির ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার অশুভ চেষ্টার প্রতিফল হিসেবেই এক এগারোর প্রেক্ষাপট তৈরি হয় এবং আওয়ামী ফ্যাসিজমের সূচনা হয়। এটা ইতিহাসের প্রতিষ্ঠিত সত্য। আব্বাসের উচিত হবে এই সত্যকে স্বীকার করে শিক্ষা নেওয়া। সত্যকে অস্বীকার করার প্রবণতা ভালো না।

তিনি বলেন, বিএনপির মাননীয় মহাসচিব আমাদের অফিসে এসে যে সমঝোতা করেছেন, আমরা তা রক্ষা করে চলছি। আমরাও প্রত্যাশা করেছিলাম যে, বিএনপির নেতৃবৃন্দ সেই সমঝোতাকে সম্মান করবেন। সেখানে আব্বাসের মতো একজন সিনিয়র নেতা যখন এমন মিথ্যা কথা বলেন তখন তার বিবেচনাবোধ নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুখপাত্র জনাব আব্বাসের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন, তাকে এই বক্তব্য প্রমাণ করতে হবে। অন্যথায় তাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। তা না হলে নতুন বাংলাদেশের সুস্থ রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরির সম্ভাবনা নষ্ট করার জন্য তিনি দায়ী হবেন।

কেকে