নাটোর প্রতিনিধিঃ
সরকারী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দীর্ঘদিন ধরে নাটোরের সিংড়ায় চলছে অবৈধভাবে পুকুর খনন। পুকুর খননকারী ব্যাক্তিরা প্রভাবশালী হওয়ায় স্থানীয়রা প্রতিবাদ করেও কোন সুফল পাচ্ছেন না। ফলে অনেকটা নির্বিঘেই চলছে পুকুর খননের কাজ। অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রশাসন ও রাজনৈতিক কিছু নেতাকর্মীদের ম্যানেজ করে দিন রাত সমানতালে চলছে পুকুর খননের কাজ। তবে স্থানীয় প্রশাসনের দাবি পুকুর খননের খবর ইতিমধ্যে অনেক জায়গায় নেয়া হয়েছে ব্যবস্থা। তার পরেও প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে কেউ অবৈধ কর্মকান্ড চালালে তাদের বিরুদ্ধে নেয়া হবে কঠোর ব্যবস্থা।
স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন ধরেই সিংড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কৃষি জমিতে পুকুর খনন করছে ও পুরাতন পুকুর সংস্করণ এর নামে মাটি বিক্রয় করছে এক শ্রেণির অস্বাধু ব্যাক্তিরা। অতি মুনাফা লোভী ব্যাক্তিদের এমন কর্মকান্ডে পরিবেশের উপর চরম ঝুঁকি রয়েছে বলে মনে করেন এলাকার সচেতন মহল।
সিংড়া উপজেলার কিছু কিছু এলাকায় এখন ধানি জমি নেই বললেই চলে। যেটুকু জমি পুকুরের বাইরে আছে সেটুকুও এখন জলাবদ্ধতার কবলে পড়ে অনাবাদি হয়ে পড়ে থাকে বছরের পর বছর।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যাক্তি জানান, কিছু পাকা রাস্তা মাটি খেকোদের মাটি বহনের জন্য রাস্তাগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। লোকজন রাস্তায় চলাচল করতে পারছেনা, মাঝেমধ্যেই ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা। জমির শ্রেণি পরিবর্তন করতে হলে সরকারী অনুমতি প্রয়োজন।
তাছাড়া সমতল ধানি জমি এভাবে কেটে পুকুর খনন সম্পূর্ণরুপে নিষিদ্ধ হলেও একটি সিন্ডিকেট সমতল জমিতে পুকুর খনন করছেন। এতে করে পুকুর খননকারীরা লাভবান হলেও ক্ষতির মুখে পড়তে পারে পরিবেশ ও আশের পাশের জমির মালিকেরা।
জানা যায়, অবৈধভাবে পুকুর খনন ও পুরাতন পুকুর সংস্করণ এর নামে মাটি বিক্রয়ের ঘটনা জানার পরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে কয়েকটি পুকুর খনন বন্ধ করলেও পুনরায় পুকুর খননকারীরা পুকুর খনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এদিকে নলডাঙ্গা উপজেলার ধামনপাড়া গ্রামের উত্তর পাড়া মৌজায় খনন সংস্কারের নামে মাটি কাঁটা ও মাটি বিক্রি করা হচ্ছে বলে তথ্য পায়া গেছে। নাম না বলার শর্তে স্থানীয় কয়েকজন জানান, নামমাত্র সংস্কার অথচ আবাদী জমির মাটি কেটে দেদারসে ভেকু দিয়ে কেটে বিক্রি করা হচ্ছে।
অবৈধভাবে পুকুর খনন বন্ধে অভিযান চলছে ও এধরণের অভিযান অব্যহত থাকবে বলে জানিয়েছেন যৌথ বাহিনী।
এমএস