ঢাকা ১২:২৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কলকাতার মতো শহর পৃথিবীতে নেই : জয়া আহসান চলতি মাসেই জুলাই সনদ প্রকাশ করতে হবে : রাশেদ প্রধান জুলাই সনদ নিয়ে টালবাহানা সহ্য করা হবে না : নাহিদ ইসলাম সংস্কারবিহীন কোনো নির্বাচন জামায়াত গ্রহণ করবে না: তাহের দুঃখিত, এবার আর তা হবে না: প্রেস সচিব জুলাই অভ‍্যুত্থান স্মরণে মাসব্যাপী কর্মসূচি উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা স্বৈরাচারের লক্ষণ দেখামাত্রই যেন বিনাশ করতে পারি: প্রধান উপদেষ্টা জুলাই ঘোষণাপত্র দেবে অন্তর্বর্তী সরকার, কোনো দল বা ব্যক্তি নয় : জুলাই ঐক্য পদ্মা সেতুর মামলার প্রতিবেদন গায়ের জোরে দিয়েছে বিগত কমিশন : দুদক চেয়ারম্যান সবুজ পৃথিবী চাই: বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ ঢাকা আলিয়ার বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

আ.লীগ নিবন্ধন থাকা না থাকা জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে: মির্জা ফখরুল

ছবি : সংগৃহীত

আওয়ামী লীগের নিবন্ধন থাকা না থাকা বিষয়ে জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বৃহস্পতিবার গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি দলের এ অবস্থানের কথা জানান।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমি বলেছি যে, জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে। আমরা এই বিষয়টা বারবার করে বলে আসছি যে, আমরা একটা লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি… আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি, গণতন্ত্রের সব নর্মস অ্যান্ড কন্ডিশন যেগুলো আছে, সেগুলোর ওপর আমরা আস্থা রাখি এবং সেটা আমরা চর্চা করি… অতীতেও চর্চা করেছি।’

‘আমরা এই কথা বলে আসছি যে, ইট ইজ নট আস হু উইল ডিসাইড যে, কোন পার্টি নিষিদ্ধ হবে, কোন পার্টি কাজ করবে, কোন পার্টি কাজ করবে না… পিপলস উইল ডিসাইড… মানুষ বা জনগণ নির্ধারণ করবে কোনো পার্টি থাকবে কি থাকবে না, কোনো পার্টি নির্বাচন করবে কি করবে না।’

আপনারা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের পক্ষে কিনা, জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এটা তো আমরা পরিষ্কার করে বলেছি যে, জনগণ উইল ডিসাইড। আমরা পক্ষ-বিপক্ষ থাকা ইমমেটেরিয়াল… পিপলস উইল ডিসাইড।’

বিএনপি জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচনের বিপক্ষে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এটা (সংখ্যানুপাতিক ভোট) আমরা পুরোপুরি বিরোধী, একেবারে জোরালভাবে বিরোধী। আনুপাতিকভাবে নির্বাচনের কোনো ব্যবস্থাকে আমরা সমর্থন করব না। কারণ এখানকার মানুষ এটাতে অভ্যস্ত না। এরকম (ভোটের) প্রশ্নই উঠতে পারে না।’

‘আর জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠান… এটাতেও আমরা একেবারেই একমত নই। এটা তো সব রাজনৈতিক বিবেচনায় দেশকে আরও ভঙ্গুর অবস্থায় নিয়ে যাওয়ার একটা পরিকল্পনা ছাড়া আর কিছু না। যত দ্রুত নির্বাচন হবে ততই রাজনীতি সহজ হবে, বাংলাদেশ মানুষ স্থিতিশীল অবস্থার মধ্যে আসবে।’

জাতীয় নির্বাচন কেন এখন জরুরি, সেই বিষয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনটা হওয়ার প্রধানত দুইটা কারণ। একটি হচ্ছে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে নিয়ে আসা, আরেকটা হলো গভর্ন্যান্স (সুশাসন) চালু করা।’

‘এখন তো গভর্ন্যান্সের খুব সদস্যা হচ্ছে… এটা চালু করলেই তখন দেখবেন অর্থনীতি বেটার হয়ে আসছে, সমাজ এবং রাষ্ট্রে… ইউনিভার্সিটি-কলেজগুলোতে লেখাপড়াই হচ্ছে না… সেই ব্যবস্থাটা ঠিক হবে। একটা নির্বাচিত সরকার না হলে এটাকে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন।’

কেকে

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

কলকাতার মতো শহর পৃথিবীতে নেই : জয়া আহসান

আ.লীগ নিবন্ধন থাকা না থাকা জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে: মির্জা ফখরুল

আপডেট সময় : ১০:২৩:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

আওয়ামী লীগের নিবন্ধন থাকা না থাকা বিষয়ে জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বৃহস্পতিবার গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি দলের এ অবস্থানের কথা জানান।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমি বলেছি যে, জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে। আমরা এই বিষয়টা বারবার করে বলে আসছি যে, আমরা একটা লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি… আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি, গণতন্ত্রের সব নর্মস অ্যান্ড কন্ডিশন যেগুলো আছে, সেগুলোর ওপর আমরা আস্থা রাখি এবং সেটা আমরা চর্চা করি… অতীতেও চর্চা করেছি।’

‘আমরা এই কথা বলে আসছি যে, ইট ইজ নট আস হু উইল ডিসাইড যে, কোন পার্টি নিষিদ্ধ হবে, কোন পার্টি কাজ করবে, কোন পার্টি কাজ করবে না… পিপলস উইল ডিসাইড… মানুষ বা জনগণ নির্ধারণ করবে কোনো পার্টি থাকবে কি থাকবে না, কোনো পার্টি নির্বাচন করবে কি করবে না।’

আপনারা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের পক্ষে কিনা, জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এটা তো আমরা পরিষ্কার করে বলেছি যে, জনগণ উইল ডিসাইড। আমরা পক্ষ-বিপক্ষ থাকা ইমমেটেরিয়াল… পিপলস উইল ডিসাইড।’

বিএনপি জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচনের বিপক্ষে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এটা (সংখ্যানুপাতিক ভোট) আমরা পুরোপুরি বিরোধী, একেবারে জোরালভাবে বিরোধী। আনুপাতিকভাবে নির্বাচনের কোনো ব্যবস্থাকে আমরা সমর্থন করব না। কারণ এখানকার মানুষ এটাতে অভ্যস্ত না। এরকম (ভোটের) প্রশ্নই উঠতে পারে না।’

‘আর জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠান… এটাতেও আমরা একেবারেই একমত নই। এটা তো সব রাজনৈতিক বিবেচনায় দেশকে আরও ভঙ্গুর অবস্থায় নিয়ে যাওয়ার একটা পরিকল্পনা ছাড়া আর কিছু না। যত দ্রুত নির্বাচন হবে ততই রাজনীতি সহজ হবে, বাংলাদেশ মানুষ স্থিতিশীল অবস্থার মধ্যে আসবে।’

জাতীয় নির্বাচন কেন এখন জরুরি, সেই বিষয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনটা হওয়ার প্রধানত দুইটা কারণ। একটি হচ্ছে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে নিয়ে আসা, আরেকটা হলো গভর্ন্যান্স (সুশাসন) চালু করা।’

‘এখন তো গভর্ন্যান্সের খুব সদস্যা হচ্ছে… এটা চালু করলেই তখন দেখবেন অর্থনীতি বেটার হয়ে আসছে, সমাজ এবং রাষ্ট্রে… ইউনিভার্সিটি-কলেজগুলোতে লেখাপড়াই হচ্ছে না… সেই ব্যবস্থাটা ঠিক হবে। একটা নির্বাচিত সরকার না হলে এটাকে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন।’

কেকে