ঢাকা ১০:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কলকাতার মতো শহর পৃথিবীতে নেই : জয়া আহসান চলতি মাসেই জুলাই সনদ প্রকাশ করতে হবে : রাশেদ প্রধান জুলাই সনদ নিয়ে টালবাহানা সহ্য করা হবে না : নাহিদ ইসলাম সংস্কারবিহীন কোনো নির্বাচন জামায়াত গ্রহণ করবে না: তাহের দুঃখিত, এবার আর তা হবে না: প্রেস সচিব জুলাই অভ‍্যুত্থান স্মরণে মাসব্যাপী কর্মসূচি উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা স্বৈরাচারের লক্ষণ দেখামাত্রই যেন বিনাশ করতে পারি: প্রধান উপদেষ্টা জুলাই ঘোষণাপত্র দেবে অন্তর্বর্তী সরকার, কোনো দল বা ব্যক্তি নয় : জুলাই ঐক্য পদ্মা সেতুর মামলার প্রতিবেদন গায়ের জোরে দিয়েছে বিগত কমিশন : দুদক চেয়ারম্যান সবুজ পৃথিবী চাই: বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ ঢাকা আলিয়ার বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

রাবির স্থাপনা থেকে মুজিব পরিবারের নাম মুছে দিল শিক্ষার্থীরা

ছবি : সংগৃহীত

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক,রাবি:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভাংচুর ও বিক্ষোভ মিছিলের পর আবাসিক হল ও অ্যাকাডেমিক ভবনসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থাপনা থেকে মুজিব পরিবারের নাম মুছে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জোহা চত্বরে শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে থাকেন। পরে প্রথমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম ফলক ভাংচুর করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এসময় বঙ্গবন্ধু হলের নাম পরিবর্তন করে ‘বিজয়-২৪’ নামকরণ করেন তারা।

এদিকে, ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল, নির্মাধীন শেখ হাসিনা হল, কামরুজ্জামান হল, শেখ রাসেল মডেল স্কুল এন্ড কলেজে থাকা নাম ফলক ভেঙে ফেলেন। এছাড়াও ক্যাম্পাস জুড়ে থাকা মুজিব পরিবারের নামে গ্রাফিতি ও দেয়াল লিখন মুছে ফেলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপ্লবী ছাত্রজনতা।

এসময় শেখ হাসিনা হলের নাম পরিবর্তন করে ফাতিমা আল ফাহরিয়া ও কামরুজ্জামান হলের নাম পরিবর্তন করে শহীদ আলি রায়হান হল এবং শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নাম পরিবর্তন করে নবাব ফয়জুন নেসা চৌধুরানী, শেখ রাসেল মডেল স্কুলের নাম পরিবর্তন করে কোটা সংস্কার আন্দোলনের কনিষ্ঠ শহীদ রিয়া গোপ নামকরণ করেন শিক্ষার্থীরা।

এসময় ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে?’ ‘ছাত্রলীগের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’ ‘আবু সাঈদ-মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’ ‘শেখ হাসিনার গদিতে, আগুন জালাও একসাথে’, ‘একটা একটা লীগ ধর, ধইরা ধইরা জবাই কর’, ‘একশন টু একশন, ডাইরেক্ট একশন’, ‘আওয়ামী লীগের আস্তানা, ভেঙ্গে দাও গুড়িয়ে দাও’ এমন স্লোগান দিতে দেখা যায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থী রাকিব হোসেন বলেন, ‘খুনি হাসিনা মনে করেছে আমরা সব ভুলে গেছি। খুনি হাসিনার হাতে হাজারো ছাত্র সমাজের রক্তের দাগ লেগে আছে। খুনি হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের অস্তিত্ব রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আর থাকবে না। অতিদ্রুত শেখ হাসিনাকে দেশে এনে ফাঁসি দিতে হবে বলে সরকারের জোর দাবি জানান তিনি’।

এসময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাবি শাখার অন্যতম সমন্বয়ক ফাহিম রেজা বলেন, ‘গতকাল শেখ হাসিনা লাইভে এসে ছাত্র জনতার উদ্দেশ্যে ভাষণ দেওয়ার প্রতিবাদে আমাদের এ কর্মসূচি। আমার ভাইদের রক্তের দাগ না শুকাতেই খুনি হাসিনার খুনি হাসিনা প্রকাশ্যে আসার সাহস দেখায় কেমনে? আমরা ফ্যাসিস্ট সরকারের রেখে যাওয়া পদচিহ্ন ও রাবি থেকে তাদের শেকড় মুছে দিতে আমাদের আজকের এ আন্দোলন’।

তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দেশের বাহিরে বসে দেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। তাদেরকে গ্রেপ্তার করে দেশে এনে ফাঁসি দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে আহবান জানান তিনি।’

এসময় প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থী ভাংচুর কর্মসূচিতে অংশ নেন।

ট্যাগস :

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

কলকাতার মতো শহর পৃথিবীতে নেই : জয়া আহসান

রাবির স্থাপনা থেকে মুজিব পরিবারের নাম মুছে দিল শিক্ষার্থীরা

আপডেট সময় : ০২:১৩:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক,রাবি:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভাংচুর ও বিক্ষোভ মিছিলের পর আবাসিক হল ও অ্যাকাডেমিক ভবনসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থাপনা থেকে মুজিব পরিবারের নাম মুছে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জোহা চত্বরে শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে থাকেন। পরে প্রথমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম ফলক ভাংচুর করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এসময় বঙ্গবন্ধু হলের নাম পরিবর্তন করে ‘বিজয়-২৪’ নামকরণ করেন তারা।

এদিকে, ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল, নির্মাধীন শেখ হাসিনা হল, কামরুজ্জামান হল, শেখ রাসেল মডেল স্কুল এন্ড কলেজে থাকা নাম ফলক ভেঙে ফেলেন। এছাড়াও ক্যাম্পাস জুড়ে থাকা মুজিব পরিবারের নামে গ্রাফিতি ও দেয়াল লিখন মুছে ফেলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপ্লবী ছাত্রজনতা।

এসময় শেখ হাসিনা হলের নাম পরিবর্তন করে ফাতিমা আল ফাহরিয়া ও কামরুজ্জামান হলের নাম পরিবর্তন করে শহীদ আলি রায়হান হল এবং শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নাম পরিবর্তন করে নবাব ফয়জুন নেসা চৌধুরানী, শেখ রাসেল মডেল স্কুলের নাম পরিবর্তন করে কোটা সংস্কার আন্দোলনের কনিষ্ঠ শহীদ রিয়া গোপ নামকরণ করেন শিক্ষার্থীরা।

এসময় ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে?’ ‘ছাত্রলীগের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’ ‘আবু সাঈদ-মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’ ‘শেখ হাসিনার গদিতে, আগুন জালাও একসাথে’, ‘একটা একটা লীগ ধর, ধইরা ধইরা জবাই কর’, ‘একশন টু একশন, ডাইরেক্ট একশন’, ‘আওয়ামী লীগের আস্তানা, ভেঙ্গে দাও গুড়িয়ে দাও’ এমন স্লোগান দিতে দেখা যায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থী রাকিব হোসেন বলেন, ‘খুনি হাসিনা মনে করেছে আমরা সব ভুলে গেছি। খুনি হাসিনার হাতে হাজারো ছাত্র সমাজের রক্তের দাগ লেগে আছে। খুনি হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের অস্তিত্ব রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আর থাকবে না। অতিদ্রুত শেখ হাসিনাকে দেশে এনে ফাঁসি দিতে হবে বলে সরকারের জোর দাবি জানান তিনি’।

এসময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাবি শাখার অন্যতম সমন্বয়ক ফাহিম রেজা বলেন, ‘গতকাল শেখ হাসিনা লাইভে এসে ছাত্র জনতার উদ্দেশ্যে ভাষণ দেওয়ার প্রতিবাদে আমাদের এ কর্মসূচি। আমার ভাইদের রক্তের দাগ না শুকাতেই খুনি হাসিনার খুনি হাসিনা প্রকাশ্যে আসার সাহস দেখায় কেমনে? আমরা ফ্যাসিস্ট সরকারের রেখে যাওয়া পদচিহ্ন ও রাবি থেকে তাদের শেকড় মুছে দিতে আমাদের আজকের এ আন্দোলন’।

তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দেশের বাহিরে বসে দেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। তাদেরকে গ্রেপ্তার করে দেশে এনে ফাঁসি দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে আহবান জানান তিনি।’

এসময় প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থী ভাংচুর কর্মসূচিতে অংশ নেন।