ইরফান উল্লাহ, ইবি:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আবাসিক হল, একাডেমিক ভবন এবং প্রশাসনিক ভবনসহ বিভিন্ন যায়গায় স্থাপন করা ‘অভিযোগ গ্রহণ বক্স’ নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। বক্স বসানোর পর থেকে কোন দিনও না খোলার অভিযোগ প্রশাসনের বিরুদ্ধে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, নিয়মিত বক্স না খোলা, তদারকি না করা, অভিযোগ আমলে না নেওয়া, প্রতিকারের ব্যবস্থা না করার কারণে শিক্ষার্থীরাও অভিযোগ দেওয়া বন্ধ করে দেয়। ফলে বক্সগুলোতে এখন স্থান পেয়েছে টিস্যু পেপার ও অযাচিত কাগজ পত্র। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বক্সগুলো পুনরায় তদারকির দাবি জানিয়েছেন তারা।
আল ফিকহ্ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী আশরাফুল আলম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ সমূহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পর্যন্ত সহজে পৌঁছানোর মাধ্যম হিসেবে বিভিন্ন ভবনে ও অনুষদে অভিযোগ বক্স দেয়া আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে অভিযোগ বক্স গুলো থাকলেও তা অকেজো অবস্থান দীর্ঘদিন ধরে পড়ে আছে। বক্সের ভিতর সিগারেটের টুকরা, বিভিন্ন অপ্রয়োজনীয় কাগজ, ব্যবহৃত টিস্যু ও অন্যান্য ময়লা দ্বারা পরিপূর্ণ। দীর্ঘদিন ধরে এভাবে পড়ে থাকলেও এগুলো নিয়ে তদারকি করার কেউ নেই। এখনো এমন পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি যে, অভিযোগ বক্সে অভিযোগ করলে সেটা প্রশাসন পর্যন্ত পৌছাবে। এমতাবস্থায় অভিযোগ বক্স গুলো থেকে অপ্রয়োজনীয় কাগজ সরিয়ে এগুলোকে কার্যকরী করার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
এবিষয়ে ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিযোগ বক্সের অভিযোগ মূলত দুইটি জায়গা থেকে গ্রহণ করে। প্রশাসন এবং নারী নির্যাতন সেল। নারী নির্যাতন সেল আপাতত বন্ধ আছে। কিন্তু প্রশাসনের শীঘ্রই এটা নিয়ে কাজ করা উচিত। আমরা দ্রুত এই বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত ছিলাম না। নতুন প্রশাসনে এটা কার দায়িত্বে রয়েছে সেটার খোঁজ নিয়ে শীঘ্রই চালু করার ব্যবস্থা করবো।
উল্লেখ্য , ২০১৯ সালে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়নের জন্য স্বচ্ছ অভিযোগ বক্সের উদ্বোধন করেছিল বিগত প্রশাসন। সে সময় অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনা কমিটিও গঠন করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ভবন, অনুষদ, হল, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার, টিএসসিসি, চিকিৎসা কেন্দ্রসহ প্রায় সকল ভবনে অভিযোগ বক্স স্থাপন করা হয়।
এমএস