ঢাকা ১১:৪৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষকদের উপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে ইবিতে বিক্ষোভ

ছবি: সংগৃহীত

ইরফান উল্লাহ, ইবি:

শাহবাগে ইবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষকদের উপর পুলিশের বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদ বিক্ষোভ মিছিল ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা শিক্ষকদের উপর হামলার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার জবাবদিহিতা নিশ্চিতের দাবি জানান। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বেলা ১১ টায় জমিয়তে তালাবায়ে আরাবিয়া ইবি শাখার আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবন থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। পরে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রধান ফটকে এসে সমাবেশ করে।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম, সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদতুল্লাহ শেখ, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের ইবি শাখার সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল রাহাত ও ছাত্রশিবিরের ইবি শাখার ছাত্র অধিকার বিষয়ক সম্পাদক মো. জাকারিয়া।

এসময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, ইবতেদায়ী মাদরাসা জাতীয়করণের ন্যায্য আন্দোলনে পুলিশি হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। শিক্ষকরা বিগত অনেক দিন যাবত এ দাবি নিয়ে আন্দোলন করে আসছে। কিন্তু রাষ্ট্র ইনিয়ে বিনিয়ে তাদের এ দাবি মেনে নেয়নি। ইবতেদায়ী মাদরাসার শিক্ষকদের প্রতি এতো বৈষম্য । ইবতেদায়ী মাদরাসার শিক্ষকদের শিক্ষার্থীদের মানুষ মনে করেনা। এ সরকার যদি এ দাবি মেনে নাও নেয় তাহলে তারা এইরকম দুঃসাহস কিভাবে দেখায় যে পুলিশ দিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষকদের লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। ইবতেদায়ী মাদরাসা যতদিন পর্যন্ত জাতীয়করণ না হবে ততদিন পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।

সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুল্লাহ্ শেখ বলেন, ইবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষকরা দীর্ঘদিন ধরে মাদ্রাসা জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন। এটি তাদের ন্যায্য এবং যৌক্তিক অধিকার। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হলো, কোনো সরকারই এখন পর্যন্ত তাদের এ দাবিটি মেনে নেয়নি। অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করা প্রত্যেক নাগরিকের গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু এর পরিবর্তে স্বৈরাচারী কায়দায় শিক্ষকদের ওপর পুলিশের হামলা চালানো হয়েছে, যা অত্যন্ত নিন্দনীয়। আমরা এই নির্মম ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং দাবি জানাই, শিক্ষকদের এ যৌক্তিক দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন করা হোক এবং তাদের প্রতি এমন অমানবিক আচরণ বন্ধ করা হোক।

এমএস

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষকদের উপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে ইবিতে বিক্ষোভ

আপডেট সময় : ০২:১৩:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫

ইরফান উল্লাহ, ইবি:

শাহবাগে ইবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষকদের উপর পুলিশের বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদ বিক্ষোভ মিছিল ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা শিক্ষকদের উপর হামলার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার জবাবদিহিতা নিশ্চিতের দাবি জানান। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বেলা ১১ টায় জমিয়তে তালাবায়ে আরাবিয়া ইবি শাখার আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবন থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। পরে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রধান ফটকে এসে সমাবেশ করে।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম, সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদতুল্লাহ শেখ, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের ইবি শাখার সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল রাহাত ও ছাত্রশিবিরের ইবি শাখার ছাত্র অধিকার বিষয়ক সম্পাদক মো. জাকারিয়া।

এসময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, ইবতেদায়ী মাদরাসা জাতীয়করণের ন্যায্য আন্দোলনে পুলিশি হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। শিক্ষকরা বিগত অনেক দিন যাবত এ দাবি নিয়ে আন্দোলন করে আসছে। কিন্তু রাষ্ট্র ইনিয়ে বিনিয়ে তাদের এ দাবি মেনে নেয়নি। ইবতেদায়ী মাদরাসার শিক্ষকদের প্রতি এতো বৈষম্য । ইবতেদায়ী মাদরাসার শিক্ষকদের শিক্ষার্থীদের মানুষ মনে করেনা। এ সরকার যদি এ দাবি মেনে নাও নেয় তাহলে তারা এইরকম দুঃসাহস কিভাবে দেখায় যে পুলিশ দিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষকদের লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। ইবতেদায়ী মাদরাসা যতদিন পর্যন্ত জাতীয়করণ না হবে ততদিন পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।

সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুল্লাহ্ শেখ বলেন, ইবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষকরা দীর্ঘদিন ধরে মাদ্রাসা জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন। এটি তাদের ন্যায্য এবং যৌক্তিক অধিকার। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হলো, কোনো সরকারই এখন পর্যন্ত তাদের এ দাবিটি মেনে নেয়নি। অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করা প্রত্যেক নাগরিকের গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু এর পরিবর্তে স্বৈরাচারী কায়দায় শিক্ষকদের ওপর পুলিশের হামলা চালানো হয়েছে, যা অত্যন্ত নিন্দনীয়। আমরা এই নির্মম ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং দাবি জানাই, শিক্ষকদের এ যৌক্তিক দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন করা হোক এবং তাদের প্রতি এমন অমানবিক আচরণ বন্ধ করা হোক।

এমএস