ঢাকা ০৭:০১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভারত চিঠির জবাব না দিলেও চলবে হাসিনার বিচার : মো. তাজুল ইসলাম

শেখ হাসিনা ও মো. তাজুল ইসলাম। ছবিঃ সংগৃহীত

ভারতকে দেওয়া চিঠির জবাব না এলেও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচার প্রক্রিয়া তার নিজস্ব গতিতে চলবে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম।

রোববার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে ট্রাইব্যুনালের কনফারেন্স কক্ষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

তাজুল ইসলাম বলেন, আমাদের সঙ্গে তাদের সম্পাদিত বহিঃসমর্পণ চুক্তি অনুযায়ী ভারতকে আনুষ্ঠানিক অনুরোধ জানানো হয়েছে। দেখা যাক, দেশটি জবাব দেয় কি না। না দিলেও আইন ও বিচার প্রক্রিয়া নিজস্ব গতিতেই চলবে।

তিনি বলেন, গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়ার সঙ্গে পুরো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জড়িত। যেহেতু এখানে প্রসিকিউশন বা তদন্ত সংস্থার কোনো হাত নেই, সুতরাং তারা গ্রেপ্তার হওয়ার পর যখন ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হবে তখন বাকিটা বলা সম্ভব হবে। এ ব্যাপারে কোনো ব্যাখ্যা থাকলে সেটা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দিতে পারবেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা দিনরাত কাজ করছি। অগ্রগতি অবশ্যই আছে এবং আমরা দ্রুততম সময়ে দুই একটি মামলার প্রতিবেদন পেয়ে যাব। আমাদের কাছে নানাভাবে তথ্য আসে। বহুমুখী সাক্ষ্যর সমন্বয়ে একটি তদন্ত হয় এবং নিখুঁতভাবে সে কাজটি করতে হলে যে সময় প্রয়োজন সেটি নেওয়া হচ্ছে ও প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।

তাজুল ইসলাম বলেন, ট্রাইব্যুনালে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিষয়গুলোর তদন্ত চলমান আছে। দ্রুত এ তথ্যগুলো উন্মোচিত হবে বলে আশা করছি।

কেকে

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ভারত চিঠির জবাব না দিলেও চলবে হাসিনার বিচার : মো. তাজুল ইসলাম

আপডেট সময় : ০৮:৪৫:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫

ভারতকে দেওয়া চিঠির জবাব না এলেও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচার প্রক্রিয়া তার নিজস্ব গতিতে চলবে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম।

রোববার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে ট্রাইব্যুনালের কনফারেন্স কক্ষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

তাজুল ইসলাম বলেন, আমাদের সঙ্গে তাদের সম্পাদিত বহিঃসমর্পণ চুক্তি অনুযায়ী ভারতকে আনুষ্ঠানিক অনুরোধ জানানো হয়েছে। দেখা যাক, দেশটি জবাব দেয় কি না। না দিলেও আইন ও বিচার প্রক্রিয়া নিজস্ব গতিতেই চলবে।

তিনি বলেন, গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়ার সঙ্গে পুরো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জড়িত। যেহেতু এখানে প্রসিকিউশন বা তদন্ত সংস্থার কোনো হাত নেই, সুতরাং তারা গ্রেপ্তার হওয়ার পর যখন ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হবে তখন বাকিটা বলা সম্ভব হবে। এ ব্যাপারে কোনো ব্যাখ্যা থাকলে সেটা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দিতে পারবেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা দিনরাত কাজ করছি। অগ্রগতি অবশ্যই আছে এবং আমরা দ্রুততম সময়ে দুই একটি মামলার প্রতিবেদন পেয়ে যাব। আমাদের কাছে নানাভাবে তথ্য আসে। বহুমুখী সাক্ষ্যর সমন্বয়ে একটি তদন্ত হয় এবং নিখুঁতভাবে সে কাজটি করতে হলে যে সময় প্রয়োজন সেটি নেওয়া হচ্ছে ও প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।

তাজুল ইসলাম বলেন, ট্রাইব্যুনালে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিষয়গুলোর তদন্ত চলমান আছে। দ্রুত এ তথ্যগুলো উন্মোচিত হবে বলে আশা করছি।

কেকে