ঢাকা ০১:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
এরদোয়ান কে নিয়ে যা বললেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে লস অ্যাঞ্জেলেস, প্রাণহানি ৫ ১৫ জানুয়ারির মধ্যে ঘোষণাপত্র দেওয়া সম্ভব নয় : উপদেষ্টা মাহফুজ আলম নিক্সন চৌধুরী ও তার স্ত্রীর ব্যাংকে ৩১৬২ কোটি টাকা লেনদেন দেশের সব মাঠ-পার্ক ও উদ্যান জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করার দাবি গ্রিন ভয়েসের তুরস্ককে বাংলাদেশে শিল্প স্থানান্তরের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টা ডা. মুহাম্মদ ইউনূসের ঢাকা কলেজে ‘পরিবর্তনের ছাত্র রাজনীতি’ ‍সংলাপ চলাকালে ককটেল বিস্ফোরণ শুরু হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শীতকালীন বইমেলা আকুর আমদানি বিল পরিশোধের পর কমলো দেশের রিজার্ভ সতিকসাসের সদস্য তামিমের মৃত্যুবার্ষিকীতে দোয়ার আয়োজন

দেশের সব মাঠ-পার্ক ও উদ্যান জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করার দাবি গ্রিন ভয়েসের

পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রিন ভয়েস ছবি : সংগৃহীত

দেশের সব মাঠ-পার্ক ও উদ্যানে স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ ও জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করার দাবি করেছে পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রিন ভয়েস।

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ছাত্র-যুবসমাবেশের আয়োজন করে সংগঠনটি। সমাবেশে প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন, ২০০০ বাস্তবায়ন ও পান্থকুঞ্জ পার্কের অরণ্য ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিও করেন বক্তারা।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, খেলার মাঠ, উন্মুক্ত স্থান, উদ্যান এবং প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন, ২০০০-কে বৃদ্ধাঙুলি প্রদর্শন করে মাঠ-পার্ক, উদ্যানে উন্নয়নের নামে ওসমানী উদ্যান ৬ বছর ধরে বন্ধ করে রেখেছে। ধানমন্ডি মাঠে জনসাধারণ প্রবেশ করতে পারছে না। তাজউদ্দীন আহমদ পার্ক লিজ দেওয়া হয়েছে। সারা দেশের খেলার মাঠ উদ্যান ও পার্কের একই অবস্থা। ধানমন্ডি মাঠ সবুজ ভূমিটি একসময় উন্মুক্ত ছিল। কিন্তু ২০০৯ সালে ধানমন্ডি ক্লাবের নাম পরিবর্তন করে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব লিমিটেড করার পরপরই মাঠটি ঘিরে ফেলা হয়। বন্ধ হয়ে যায় সর্বসাধারণের বিচরণ ও খেলাধুলা।

বক্তারা বলেন, ধানমন্ডি মাঠসহ সারা দেশে সরকারের বিভিন্ন সংস্থার তত্ত্বাবধানে থাকা খেলার মাঠগুলো আসলে সর্বসাধারণের এজমালি মালিকানাধীন সম্পত্তি। এর ওপর ব্যক্তির বা গোষ্ঠীর বা কোম্পানির মালিকানা চাপিয়ে দেওয়া লুণ্ঠনেরই আরেক নাম।

সমাবেশে কয়েকটি দাবি ওঠে। সেগুলোর মধ্যে আছে শহীদ আনোয়ারা উদ্যান জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা, কারওয়ান বাজার থেকে পলাশী পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প বাতিল করা এবং তাজউদ্দীন পার্কের ইজারা বাতিল করা।

গ্রিন ভয়েসের প্রধান সমন্বয়ক আলমগীর কবির বলেন, ফার্মগেটে শহীদ আনোয়ারা উদ্যানে একসময় হাজারো মানুষ ছোট্ট উদ্যানটিতে হাঁটাচলা করতো, শিশুরা খেলতো, মানুষ ক্লান্তি দূর করতে জিরিয়ে নিতো। কিন্তু মেট্রো রেলের অফিস এবং অবকাঠামো রাখায় বন্ধ রয়েছে গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি বিজড়িত পার্কটি। রাজউকের গুলশান মডেল টাউনের নকশা অনুযায়ী, ৮ দশমিক ৮৭ একর আয়তনের পার্কটির অবস্থান গুলশান ২ নম্বরের ১৩০-এ প্লটে। আগে নাম ছিল গুলশান সেন্ট্রাল পার্ক। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে নতুন নামকরণ হয় শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ স্মৃতি পার্ক। পার্কের ৫ দশমিক ৫৪ একর জায়গা অনেক দিন ধরে ইয়ুথ ক্লাবের দখলে।

সমাবেশে বক্তব্য দেন গ্রিন ভয়েসের উপদেষ্টা সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, গ্রিন ভয়েসের উপদেষ্টা শুভ কিবরিয়া, জাতীয় শিক্ষা ও সংস্কৃতি আন্দোলনের সদস্যসচিব রুস্তম আলী, পরিজার সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ প্রমুখ।

কেকে

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনপ্রিয় সংবাদ

এরদোয়ান কে নিয়ে যা বললেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

দেশের সব মাঠ-পার্ক ও উদ্যান জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করার দাবি গ্রিন ভয়েসের

আপডেট সময় : ১০:১৮:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৫

দেশের সব মাঠ-পার্ক ও উদ্যানে স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ ও জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করার দাবি করেছে পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রিন ভয়েস।

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ছাত্র-যুবসমাবেশের আয়োজন করে সংগঠনটি। সমাবেশে প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন, ২০০০ বাস্তবায়ন ও পান্থকুঞ্জ পার্কের অরণ্য ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিও করেন বক্তারা।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, খেলার মাঠ, উন্মুক্ত স্থান, উদ্যান এবং প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন, ২০০০-কে বৃদ্ধাঙুলি প্রদর্শন করে মাঠ-পার্ক, উদ্যানে উন্নয়নের নামে ওসমানী উদ্যান ৬ বছর ধরে বন্ধ করে রেখেছে। ধানমন্ডি মাঠে জনসাধারণ প্রবেশ করতে পারছে না। তাজউদ্দীন আহমদ পার্ক লিজ দেওয়া হয়েছে। সারা দেশের খেলার মাঠ উদ্যান ও পার্কের একই অবস্থা। ধানমন্ডি মাঠ সবুজ ভূমিটি একসময় উন্মুক্ত ছিল। কিন্তু ২০০৯ সালে ধানমন্ডি ক্লাবের নাম পরিবর্তন করে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব লিমিটেড করার পরপরই মাঠটি ঘিরে ফেলা হয়। বন্ধ হয়ে যায় সর্বসাধারণের বিচরণ ও খেলাধুলা।

বক্তারা বলেন, ধানমন্ডি মাঠসহ সারা দেশে সরকারের বিভিন্ন সংস্থার তত্ত্বাবধানে থাকা খেলার মাঠগুলো আসলে সর্বসাধারণের এজমালি মালিকানাধীন সম্পত্তি। এর ওপর ব্যক্তির বা গোষ্ঠীর বা কোম্পানির মালিকানা চাপিয়ে দেওয়া লুণ্ঠনেরই আরেক নাম।

সমাবেশে কয়েকটি দাবি ওঠে। সেগুলোর মধ্যে আছে শহীদ আনোয়ারা উদ্যান জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা, কারওয়ান বাজার থেকে পলাশী পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প বাতিল করা এবং তাজউদ্দীন পার্কের ইজারা বাতিল করা।

গ্রিন ভয়েসের প্রধান সমন্বয়ক আলমগীর কবির বলেন, ফার্মগেটে শহীদ আনোয়ারা উদ্যানে একসময় হাজারো মানুষ ছোট্ট উদ্যানটিতে হাঁটাচলা করতো, শিশুরা খেলতো, মানুষ ক্লান্তি দূর করতে জিরিয়ে নিতো। কিন্তু মেট্রো রেলের অফিস এবং অবকাঠামো রাখায় বন্ধ রয়েছে গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি বিজড়িত পার্কটি। রাজউকের গুলশান মডেল টাউনের নকশা অনুযায়ী, ৮ দশমিক ৮৭ একর আয়তনের পার্কটির অবস্থান গুলশান ২ নম্বরের ১৩০-এ প্লটে। আগে নাম ছিল গুলশান সেন্ট্রাল পার্ক। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে নতুন নামকরণ হয় শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ স্মৃতি পার্ক। পার্কের ৫ দশমিক ৫৪ একর জায়গা অনেক দিন ধরে ইয়ুথ ক্লাবের দখলে।

সমাবেশে বক্তব্য দেন গ্রিন ভয়েসের উপদেষ্টা সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, গ্রিন ভয়েসের উপদেষ্টা শুভ কিবরিয়া, জাতীয় শিক্ষা ও সংস্কৃতি আন্দোলনের সদস্যসচিব রুস্তম আলী, পরিজার সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ প্রমুখ।

কেকে