ঢাকা ০৫:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

নবীজির পারিবারিক জীবন কেমন ছিল?

ছবিঃ সংগৃহীত

পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ পবিত্রতম বন্ধন হলো স্বামী-স্ত্রীর ভালোবাসা। একে অপরের পরিপূরক। স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসা ও সুখ-শান্তিময় এ বন্ধনের কথা স্বয়ং আল্লাহ রাব্বুল আলামিন কুরআনে তুলে ধরেছেন।

ইরশাদ হয়েছে, তিনি তোমাদের জন্যে তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের সঙ্গীনীদের সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে শান্তিতে থাক এবং তিনি তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক সম্প্রীতি ও ভালোবাসা সৃষ্টি করেছেন। (সুরা রূম, আয়াত ২১ )

আমাদের সমাজে স্বামীর প্রধান দায়িত্ব কামাই রুজি, স্ত্রীর প্রধান দায়িত্ব রান্না-বাড়া এবং ঘরের কাজ সামলানো ।স্বামীর চেয়ে স্ত্রীর দায়িত্ব তুলনামূলক কম নয়।

সংসারের নানান কাজ করতে গিয়ে কখনো কখনো তরকারিতে ঝাল লবণ কিছুটা কম বেশি হয়ে যায়।

তখন স্বামীর উচিত বিষয়টিকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখা।রান্না সব সময় ভালো হবে, এমন নয়।কিন্তু আমাদের সমাজে দেখা যায় কেউ কেউ স্ত্রীর রান্নার দোষ ধরতেই থাকেন।

এতে মনমালিন্য তৈরি হয়। ধীরে ধীরে দূরত্ব তৈরি হয়।ঝগড়াঝাটি হয়।তারপর বনাবনি হয় না।তাই আমাদের খুব ভালো করে জানা দরকার যে, নবীজির সাংসারিক জীবন কেমন ছিল? স্ত্রীদের সঙ্গে তার আচরণ কেমন ছিলো?

সাংসারিক কাজে রাসুলুল্লাহ (সা.) এর জীবনে রয়েছে স্ত্রীকে সহযোগিতার এক অনুকরণীয় উত্তম আদর্শ। আম্মাজান আয়েশা (রা.) বলেন, নবীজি (সা.) আমাদেরকে ঘরের বিভিন্ন কাজে সহায়তা করতেন।(সহীহ বুখারী : ৬৭৬)

আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, নবীজি (সা.) কখনো খাবারের ভুল ধরতেন না।(সহীহ মুসলিম: ৫২৭৮)

স্বামী-স্ত্রী একে অপরের দোষের পেছনে না পরে, ডিম কুসুমের মত মাখামাখি ভালোবাসায় আবদ্ধ থাকার চেষ্টা করা।দুজন দুজনের ভুল ক্ষমা করে দেওয়া।একজন গরম হয়ে গেলে অপরজন ঠান্ডা হয়ে সবকিছু মিটমাট করে দেয়া।তাহলে দুজনের সাংসারিক জীবন হবে জান্নাতী বন্ধন৷

কেকে

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনপ্রিয় সংবাদ

অনলাইন স্ক্যাম ও জালিয়াতি প্রতিরোধে নতুন ফিচার আনল হোয়াটসঅ্যাপ

নবীজির পারিবারিক জীবন কেমন ছিল?

আপডেট সময় : ১১:২৩:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪

পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ পবিত্রতম বন্ধন হলো স্বামী-স্ত্রীর ভালোবাসা। একে অপরের পরিপূরক। স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসা ও সুখ-শান্তিময় এ বন্ধনের কথা স্বয়ং আল্লাহ রাব্বুল আলামিন কুরআনে তুলে ধরেছেন।

ইরশাদ হয়েছে, তিনি তোমাদের জন্যে তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের সঙ্গীনীদের সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে শান্তিতে থাক এবং তিনি তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক সম্প্রীতি ও ভালোবাসা সৃষ্টি করেছেন। (সুরা রূম, আয়াত ২১ )

আমাদের সমাজে স্বামীর প্রধান দায়িত্ব কামাই রুজি, স্ত্রীর প্রধান দায়িত্ব রান্না-বাড়া এবং ঘরের কাজ সামলানো ।স্বামীর চেয়ে স্ত্রীর দায়িত্ব তুলনামূলক কম নয়।

সংসারের নানান কাজ করতে গিয়ে কখনো কখনো তরকারিতে ঝাল লবণ কিছুটা কম বেশি হয়ে যায়।

তখন স্বামীর উচিত বিষয়টিকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখা।রান্না সব সময় ভালো হবে, এমন নয়।কিন্তু আমাদের সমাজে দেখা যায় কেউ কেউ স্ত্রীর রান্নার দোষ ধরতেই থাকেন।

এতে মনমালিন্য তৈরি হয়। ধীরে ধীরে দূরত্ব তৈরি হয়।ঝগড়াঝাটি হয়।তারপর বনাবনি হয় না।তাই আমাদের খুব ভালো করে জানা দরকার যে, নবীজির সাংসারিক জীবন কেমন ছিল? স্ত্রীদের সঙ্গে তার আচরণ কেমন ছিলো?

সাংসারিক কাজে রাসুলুল্লাহ (সা.) এর জীবনে রয়েছে স্ত্রীকে সহযোগিতার এক অনুকরণীয় উত্তম আদর্শ। আম্মাজান আয়েশা (রা.) বলেন, নবীজি (সা.) আমাদেরকে ঘরের বিভিন্ন কাজে সহায়তা করতেন।(সহীহ বুখারী : ৬৭৬)

আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, নবীজি (সা.) কখনো খাবারের ভুল ধরতেন না।(সহীহ মুসলিম: ৫২৭৮)

স্বামী-স্ত্রী একে অপরের দোষের পেছনে না পরে, ডিম কুসুমের মত মাখামাখি ভালোবাসায় আবদ্ধ থাকার চেষ্টা করা।দুজন দুজনের ভুল ক্ষমা করে দেওয়া।একজন গরম হয়ে গেলে অপরজন ঠান্ডা হয়ে সবকিছু মিটমাট করে দেয়া।তাহলে দুজনের সাংসারিক জীবন হবে জান্নাতী বন্ধন৷

কেকে