ঢাকা ০৮:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

ভারত হাসিনাকে ফেরানোর চিঠির জবাব না দিলে, সরকারের আগামী পদক্ষেপ কী?

ছবিঃ সংগৃহীত

প্রবল গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরাতে ভারতকে চিঠি দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। কিন্তু এখন পর্যন্ত চিঠির জবাব দেয়নি নয়াদিল্লি। স্বাভাবিক কারণেই প্রশ্ন উঠছে যে, ভারত যদি ঢাকার পাঠানো চিঠির জবাব না দেয় সেক্ষেত্রে কী পদক্ষেপ নিবে সরকার?

এ বিষয়ে মঙ্গলবার বিকালে সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে কথা বলেছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম।

এ সময় তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে ফেরাতে দিল্লিকে সোমবার কূটনৈতিকপত্র হস্তান্তর করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত আমরা সরকারি চ্যানেলে কোনো উত্তর পাইনি। ভারত সরকারের উত্তরের জন্য অপেক্ষা করব। সে উত্তরের পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

উত্তর না পেলে তাগাদাপত্র পাঠানোর কথা জানিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, নোট ভারবাল পুরো প্রক্রিয়ার অংশ। প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ী চিঠির উত্তরের জন্য নির্দিষ্ট কোনো সময় নেই। এটা নির্ভর করে বিষয়ের ওপর।

তিনি আরও বলেন, ভারতে অবস্থান করে বিভিন্ন দেশে শেখ হাসিনার ভার্চুয়াল বক্তব্য বাংলাদেশ ভালোভাবে নিচ্ছে না, এই বিষয়টিও দেশটির সরকারকে জানানো হয়েছে। ভারতকে দেওয়া চিঠির বিষয়ে সাবেক রাষ্ট্রদূত এম সফিউল্লাহ যুগান্তরকে বলেন, আন্দোলনের মূল বিষয় ছিল শেখ হাসিনা যে গণহত্যা করেছে, অর্থ লুটপাট করেছে, অর্থসম্পদ বিদেশে নিয়ে গেছে তার বিচার হতে হবে। তিনি এবং তার মন্ত্রীরা সবাই বলতেন কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নন। সেই হিসেবে শেখ হাসিনার বিচারের জন্য তাকে প্রয়োজন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকেও তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য বলা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে শতাধিক হত্যা এবং অন্যান্য মামলা আছে।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে তার বিচারের জন্য দেশে আসতে হবে। উপস্থিত থাকুক। প্রয়োজনে ডিফাইন করুক। সরকারিভাবেই যেহেতু শেখ হাসিনা ভারতে আছে সেহেতু বাংলাদেশ ভারতের কাছে তাকে ফেরত পাঠানোর জন্য বলেছে। নোট ভারবাল দেওয়া হয়েছে। ভারত সেটি স্বীকারও করেছে। ভারত হঠাৎ করেই হয়তো কোনো উত্তর দেবে না। সময় নেবে না। হয়তো নানাভাবে বিষয়টিকে স্টাডি করবে। করার পর একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তারা এ বিষয়ে উত্তর দেবে বলে আমরা আশা করি।

তিনি বলেন, সাধারণত দেশ থেকে দেশে এ ধরনের বিষয়ে উত্তর দেওয়া হয়। উত্তর সন্তোষজনক হোক বা না হোক উত্তর দেওয়ার বাধ্যবাধকতা আছে। এদিকে রোহিঙ্গা ইস্যুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, মিয়ানমার থেকে নতুন করে অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবিসহ সব সংস্থা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

বাংলাদেশে যাতে পোল্যান্ডের দূতাবাস চালু করা যায়, এ জন্য দেশটির সরকারের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলেও জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র। এছাড়া জানুয়ারি মাসে যুক্তরাজ্যের বাণিজ্য প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফরে আসবে বলে জানান রফিকুল আলম।

কেকে

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনপ্রিয় সংবাদ

অনলাইন স্ক্যাম ও জালিয়াতি প্রতিরোধে নতুন ফিচার আনল হোয়াটসঅ্যাপ

ভারত হাসিনাকে ফেরানোর চিঠির জবাব না দিলে, সরকারের আগামী পদক্ষেপ কী?

আপডেট সময় : ০৪:৫০:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

প্রবল গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরাতে ভারতকে চিঠি দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। কিন্তু এখন পর্যন্ত চিঠির জবাব দেয়নি নয়াদিল্লি। স্বাভাবিক কারণেই প্রশ্ন উঠছে যে, ভারত যদি ঢাকার পাঠানো চিঠির জবাব না দেয় সেক্ষেত্রে কী পদক্ষেপ নিবে সরকার?

এ বিষয়ে মঙ্গলবার বিকালে সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে কথা বলেছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম।

এ সময় তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে ফেরাতে দিল্লিকে সোমবার কূটনৈতিকপত্র হস্তান্তর করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত আমরা সরকারি চ্যানেলে কোনো উত্তর পাইনি। ভারত সরকারের উত্তরের জন্য অপেক্ষা করব। সে উত্তরের পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

উত্তর না পেলে তাগাদাপত্র পাঠানোর কথা জানিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, নোট ভারবাল পুরো প্রক্রিয়ার অংশ। প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ী চিঠির উত্তরের জন্য নির্দিষ্ট কোনো সময় নেই। এটা নির্ভর করে বিষয়ের ওপর।

তিনি আরও বলেন, ভারতে অবস্থান করে বিভিন্ন দেশে শেখ হাসিনার ভার্চুয়াল বক্তব্য বাংলাদেশ ভালোভাবে নিচ্ছে না, এই বিষয়টিও দেশটির সরকারকে জানানো হয়েছে। ভারতকে দেওয়া চিঠির বিষয়ে সাবেক রাষ্ট্রদূত এম সফিউল্লাহ যুগান্তরকে বলেন, আন্দোলনের মূল বিষয় ছিল শেখ হাসিনা যে গণহত্যা করেছে, অর্থ লুটপাট করেছে, অর্থসম্পদ বিদেশে নিয়ে গেছে তার বিচার হতে হবে। তিনি এবং তার মন্ত্রীরা সবাই বলতেন কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নন। সেই হিসেবে শেখ হাসিনার বিচারের জন্য তাকে প্রয়োজন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকেও তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য বলা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে শতাধিক হত্যা এবং অন্যান্য মামলা আছে।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে তার বিচারের জন্য দেশে আসতে হবে। উপস্থিত থাকুক। প্রয়োজনে ডিফাইন করুক। সরকারিভাবেই যেহেতু শেখ হাসিনা ভারতে আছে সেহেতু বাংলাদেশ ভারতের কাছে তাকে ফেরত পাঠানোর জন্য বলেছে। নোট ভারবাল দেওয়া হয়েছে। ভারত সেটি স্বীকারও করেছে। ভারত হঠাৎ করেই হয়তো কোনো উত্তর দেবে না। সময় নেবে না। হয়তো নানাভাবে বিষয়টিকে স্টাডি করবে। করার পর একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তারা এ বিষয়ে উত্তর দেবে বলে আমরা আশা করি।

তিনি বলেন, সাধারণত দেশ থেকে দেশে এ ধরনের বিষয়ে উত্তর দেওয়া হয়। উত্তর সন্তোষজনক হোক বা না হোক উত্তর দেওয়ার বাধ্যবাধকতা আছে। এদিকে রোহিঙ্গা ইস্যুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, মিয়ানমার থেকে নতুন করে অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবিসহ সব সংস্থা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

বাংলাদেশে যাতে পোল্যান্ডের দূতাবাস চালু করা যায়, এ জন্য দেশটির সরকারের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলেও জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র। এছাড়া জানুয়ারি মাসে যুক্তরাজ্যের বাণিজ্য প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফরে আসবে বলে জানান রফিকুল আলম।

কেকে