ঢাকা ০৪:৫৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ব্রিটিশ আমেরিকান সেন্টারে চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি আলবেনিয়ায় নিষিদ্ধ করা হয়েছে টিকটক বাংলাদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গকে শিক্ষা নেওয়ার পরামর্শ দিলেন মিঠুন চক্রবর্তী রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য পশ্চিমা দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে শর্ত দিলেন পুতিন কনসার্টের মঞ্চে হাসিনার বিচার দাবি, ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান সারজিস আলমের শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে পঙ্গু করে দিয়েছে: শিক্ষা উপদেষ্টা ৬০ হাজার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ নিয়ে যা জানালেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন তিতুমীর কলেজ শিক্ষার্থীর জীবন বাঁচাতে প্রয়োজন ১০ লাখ টাকা লালপুরে স্কুলের জায়গা দখল করে নির্মাণ হচ্ছে ওয়ার্ড বিএনপি’র কার্যালয় লালপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে সাংবাদিকের ছেলের মৃত্যু

আজ আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস

ছবিঃ সংগৃহীত

চট্টগ্রাম থেকে জনশক্তি রপ্তানি কমছে। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে গত বছরের তুলনায় চলতি বছর কম মানুষ গেছেন। চলতি বছরের প্রথম ১১ মাস ১৫ দিনে অর্থাৎ গত ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত চট্টগ্রাম থেকে বিভিন্ন দেশে গেছেন ৩৮ হাজার ১৪২ জন। এর মধ্যে ৩৭ হাজার ৭৮৫ জন পুরুষ ও ৩৫৭ জন নারী। ওই সময়ে দেশ থেকে জনশক্তি রপ্তানি হয়েছে প্রায় ১১ লাখ ২০ হাজার।

জনশক্তি ও কর্মসংস্থান কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা এই তথ্য জানিয়েছেন। সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত চট্টগ্রাম থেকে সৌদি আরব গেছেন ১৯ হাজার ৮১৭ জন। ২০২৩ সালে চট্টগ্রাম থেকে সৌদি আরবে গিয়েছিলেন ২১ হাজার ৭১৮ জন। আগের বছর যেখানে ওমানে গিয়েছিলেন ১৯ হাজার ৮৭০ জন, সেখানে এ বছর গেছেন মাত্র ৩ হাজার ৪৩০ জন, ইউএইতে গত বছর গিয়েছিলেন ১৩ হাজার ৫০০ জন, এবার গেছেন ৫ হাজার ৬৭২ জন। এছাড়া চলতি বছরের নভেম্বর পর্যন্ত কাতারে ৭ হাজার ৮৫৫ জন, ইউএইতে কুয়েতে ১৩৪ জন, জর্দানে ৪৪ জন, লেবাননে ৩৪ জন, হংকংয়ে ৪ জন এবং অন্যান্য দেশে ১ হাজার ২৩১ জন জনশক্তি রপ্তানি হয়েছে।

দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা রেমিটেন্স প্রবাহের একটি বড় অংশের যোগান দেন চট্টগ্রামের প্রবাসীরা। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা এবং বাজার সম্প্রসারণে যথাযথ ভূমিকা থাকলে চট্টগ্রামের প্রবাসীরা এক্ষেত্রে আরো বেশি অবদান রাখতে পারতেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের যেসব দেশের ভিসা বন্ধ সেগুলো চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হলে চট্টগ্রামের সাধারণ মানুষের পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিও উপকৃত হবে উল্লেখ করে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ব্যক্তিগত ইমেজকে কাজে লাগিয়ে দেশে দেশে বাজার সম্প্রসারণের সুযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারে প্রবাসীরা উদ্যোগ চান।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থাকা বিপুল পরিমাণ বাংলাদেশির একটি বড় অংশ চট্টগ্রামের। প্রবাসে চট্টগ্রামের মানুষ সৎ এবং পরিশ্রমী হিসেবে পরিচিত। কিন্তু রোহিঙ্গা ইস্যুসহ বেশ কিছু ইস্যুতে বাংলাদেশের মানুষ কিছুটা ইমেজ সংকটে রয়েছে। বিশেষ করে নেতিবাচক কিছু প্রচার–প্রচারণা বাংলাদেশিদের সংকটে ফেলে। ইতোমধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কিছু দেশে বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য ভিসা প্রাপ্তি কঠিন করে তুলেছে। কিছু কিছু দেশ ভিসা প্রদান বন্ধ রেখেছে। বাহরাইন এমনি একটি দেশ।

বাংলাদেশের অনেক বড় শ্রমবাজার হলেও বাহরাইন বহুদিন ধরে ভিসা বন্ধ রেখেছে। সৌদি আরবের মতো বড় বাজারেও বাংলাদেশি শ্রমিকদের কড়াকড়ির মুখে পড়তে হয়। ওমান, লিবিয়া, মিসর, ইয়েমেন, সিরিয়াসহ আরো কয়েকটি দেশেও সমস্যা প্রকট। এসব দেশের অনেকগুলোতে যেসব বাংলাদেশি রয়েছেন তাদেরকেও নানা ঝামেলার মধ্যে টিকে থাকতে হচ্ছে।

বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের অন্যতম প্রধান খাত হচ্ছে রেমিটেন্স। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানকারী প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রেরিত অর্থই কার্যত বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের অন্যতম যোগানদাতা। দেশের গার্মেন্টস খাত বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের অনেক বড় সেক্টর হলেও এই খাত থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যাক টু ব্যাক এলসির মাধ্যমে বিদেশে চলে যায়। গার্মেন্টস সেক্টরের বিভিন্ন পণ্য আমদানি খাতেও ব্যয় হয় কোটি কোটি ডলার। কিন্তু বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানকারী বাংলাদেশি মানুষের প্রেরিত অর্থ পুরোপুরি দেশেই থাকে। বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নব্বই লাখের মতো লোক বাংলাদেশি চাকরি ও ব্যবসা–বাণিজ্য করছেন। এরা প্রতি মাসে দেশে কোটি কোটি ডলার রেমিটেন্স প্রেরণ করেন।

সরকারি হিসেবে বর্তমানে ৫০ লাখ ৫৩ হাজার বাংলাদেশি নাগরিক প্রবাসী। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রবাসী চট্টগ্রাম বিভাগের। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, বিদেশে অবস্থানরত চট্টগ্রাম বিভাগের নাগরিকের সংখ্যা ২০ লাখ ৫১ হাজার ৯৫২ জন। বেসরকারি হিসেবে এই সংখ্যা অনেক বেশি বলে মন্তব্য করে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলেছে, শুধু সৌদি আরবেই বিশ লাখের মতো প্রবাসী রয়েছেন।

বিবিএসের তথ্য অনুযায়ী, জাতীয় পর্যায়ে প্রবাসী আয়ের ৩৫.২ শতাংশ আসে চট্টগ্রামের প্রবাসীদের মাধ্যমে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগের গ্রামাঞ্চলের ১৬.৬ শতাংশ, সিটি কর্পোরেশন এলাকার ৮.৭ শতাংশ এবং পৌরসভা ও মফস্বল শহর এলাকার প্রবাসীরা প্রেরণ করেন ১২.৫ শতাংশ অর্থ।

২০২৩ সালে প্রবাসীরা রেমিটেন্স পাঠিয়েছিলেন ২১.৯২ বিলিয়ন ডলার। এ বছর তা আরো বাড়বে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে। গত বছর চট্টগ্রামে প্রবাসী আয় এসেছিল ৫৯৬ কোটি ডলার, যা দেশের মোট রেমিটেন্সের প্রায় ২৮ শতাংশ।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলেছে, বন্ধ শ্রমবাজার চালুসহ বাজার সম্প্রসারণের জন্য সরকারের এখনই পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। এছাড়া ইমেজ ক্রাইসিস মোকাবেলা করার পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জনপ্রিয়তা রয়েছে। রয়েছে বিভিন্ন সরকারের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। এই সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে শ্রমবাজার সম্প্রসারণ করা গেলে দেশের অর্থনীতি নতুন গতি পাবে।

মোহাম্মদ সিরাজুল মনির/এমএস

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ব্রিটিশ আমেরিকান সেন্টারে চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি

আজ আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস

আপডেট সময় : ০১:০৭:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪

চট্টগ্রাম থেকে জনশক্তি রপ্তানি কমছে। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে গত বছরের তুলনায় চলতি বছর কম মানুষ গেছেন। চলতি বছরের প্রথম ১১ মাস ১৫ দিনে অর্থাৎ গত ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত চট্টগ্রাম থেকে বিভিন্ন দেশে গেছেন ৩৮ হাজার ১৪২ জন। এর মধ্যে ৩৭ হাজার ৭৮৫ জন পুরুষ ও ৩৫৭ জন নারী। ওই সময়ে দেশ থেকে জনশক্তি রপ্তানি হয়েছে প্রায় ১১ লাখ ২০ হাজার।

জনশক্তি ও কর্মসংস্থান কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা এই তথ্য জানিয়েছেন। সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত চট্টগ্রাম থেকে সৌদি আরব গেছেন ১৯ হাজার ৮১৭ জন। ২০২৩ সালে চট্টগ্রাম থেকে সৌদি আরবে গিয়েছিলেন ২১ হাজার ৭১৮ জন। আগের বছর যেখানে ওমানে গিয়েছিলেন ১৯ হাজার ৮৭০ জন, সেখানে এ বছর গেছেন মাত্র ৩ হাজার ৪৩০ জন, ইউএইতে গত বছর গিয়েছিলেন ১৩ হাজার ৫০০ জন, এবার গেছেন ৫ হাজার ৬৭২ জন। এছাড়া চলতি বছরের নভেম্বর পর্যন্ত কাতারে ৭ হাজার ৮৫৫ জন, ইউএইতে কুয়েতে ১৩৪ জন, জর্দানে ৪৪ জন, লেবাননে ৩৪ জন, হংকংয়ে ৪ জন এবং অন্যান্য দেশে ১ হাজার ২৩১ জন জনশক্তি রপ্তানি হয়েছে।

দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা রেমিটেন্স প্রবাহের একটি বড় অংশের যোগান দেন চট্টগ্রামের প্রবাসীরা। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা এবং বাজার সম্প্রসারণে যথাযথ ভূমিকা থাকলে চট্টগ্রামের প্রবাসীরা এক্ষেত্রে আরো বেশি অবদান রাখতে পারতেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের যেসব দেশের ভিসা বন্ধ সেগুলো চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হলে চট্টগ্রামের সাধারণ মানুষের পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিও উপকৃত হবে উল্লেখ করে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ব্যক্তিগত ইমেজকে কাজে লাগিয়ে দেশে দেশে বাজার সম্প্রসারণের সুযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারে প্রবাসীরা উদ্যোগ চান।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থাকা বিপুল পরিমাণ বাংলাদেশির একটি বড় অংশ চট্টগ্রামের। প্রবাসে চট্টগ্রামের মানুষ সৎ এবং পরিশ্রমী হিসেবে পরিচিত। কিন্তু রোহিঙ্গা ইস্যুসহ বেশ কিছু ইস্যুতে বাংলাদেশের মানুষ কিছুটা ইমেজ সংকটে রয়েছে। বিশেষ করে নেতিবাচক কিছু প্রচার–প্রচারণা বাংলাদেশিদের সংকটে ফেলে। ইতোমধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কিছু দেশে বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য ভিসা প্রাপ্তি কঠিন করে তুলেছে। কিছু কিছু দেশ ভিসা প্রদান বন্ধ রেখেছে। বাহরাইন এমনি একটি দেশ।

বাংলাদেশের অনেক বড় শ্রমবাজার হলেও বাহরাইন বহুদিন ধরে ভিসা বন্ধ রেখেছে। সৌদি আরবের মতো বড় বাজারেও বাংলাদেশি শ্রমিকদের কড়াকড়ির মুখে পড়তে হয়। ওমান, লিবিয়া, মিসর, ইয়েমেন, সিরিয়াসহ আরো কয়েকটি দেশেও সমস্যা প্রকট। এসব দেশের অনেকগুলোতে যেসব বাংলাদেশি রয়েছেন তাদেরকেও নানা ঝামেলার মধ্যে টিকে থাকতে হচ্ছে।

বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের অন্যতম প্রধান খাত হচ্ছে রেমিটেন্স। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানকারী প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রেরিত অর্থই কার্যত বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের অন্যতম যোগানদাতা। দেশের গার্মেন্টস খাত বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের অনেক বড় সেক্টর হলেও এই খাত থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যাক টু ব্যাক এলসির মাধ্যমে বিদেশে চলে যায়। গার্মেন্টস সেক্টরের বিভিন্ন পণ্য আমদানি খাতেও ব্যয় হয় কোটি কোটি ডলার। কিন্তু বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানকারী বাংলাদেশি মানুষের প্রেরিত অর্থ পুরোপুরি দেশেই থাকে। বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নব্বই লাখের মতো লোক বাংলাদেশি চাকরি ও ব্যবসা–বাণিজ্য করছেন। এরা প্রতি মাসে দেশে কোটি কোটি ডলার রেমিটেন্স প্রেরণ করেন।

সরকারি হিসেবে বর্তমানে ৫০ লাখ ৫৩ হাজার বাংলাদেশি নাগরিক প্রবাসী। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রবাসী চট্টগ্রাম বিভাগের। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, বিদেশে অবস্থানরত চট্টগ্রাম বিভাগের নাগরিকের সংখ্যা ২০ লাখ ৫১ হাজার ৯৫২ জন। বেসরকারি হিসেবে এই সংখ্যা অনেক বেশি বলে মন্তব্য করে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলেছে, শুধু সৌদি আরবেই বিশ লাখের মতো প্রবাসী রয়েছেন।

বিবিএসের তথ্য অনুযায়ী, জাতীয় পর্যায়ে প্রবাসী আয়ের ৩৫.২ শতাংশ আসে চট্টগ্রামের প্রবাসীদের মাধ্যমে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগের গ্রামাঞ্চলের ১৬.৬ শতাংশ, সিটি কর্পোরেশন এলাকার ৮.৭ শতাংশ এবং পৌরসভা ও মফস্বল শহর এলাকার প্রবাসীরা প্রেরণ করেন ১২.৫ শতাংশ অর্থ।

২০২৩ সালে প্রবাসীরা রেমিটেন্স পাঠিয়েছিলেন ২১.৯২ বিলিয়ন ডলার। এ বছর তা আরো বাড়বে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে। গত বছর চট্টগ্রামে প্রবাসী আয় এসেছিল ৫৯৬ কোটি ডলার, যা দেশের মোট রেমিটেন্সের প্রায় ২৮ শতাংশ।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলেছে, বন্ধ শ্রমবাজার চালুসহ বাজার সম্প্রসারণের জন্য সরকারের এখনই পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। এছাড়া ইমেজ ক্রাইসিস মোকাবেলা করার পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জনপ্রিয়তা রয়েছে। রয়েছে বিভিন্ন সরকারের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। এই সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে শ্রমবাজার সম্প্রসারণ করা গেলে দেশের অর্থনীতি নতুন গতি পাবে।

মোহাম্মদ সিরাজুল মনির/এমএস