ঢাকা ০৬:২৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চাকরির আশায় অনেকেই ছাত্রলীগ করত : প্রেস সচিব

ছবি : সংগৃহীত

অনেকেই চাকরির আশায় ছাত্রলীগ করত উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, আমার চোখের সামনে গ্রামের যে ছেলেটা ছাত্রলীগ করে তার চাকরি হইছে।

তিনি বলেন, ছাত্রলীগ করা অনেক কর্মীর চাকরি হয়েছে পুলিশে, গোয়েন্দা সংস্থায়। তারাই আন্দোলনের সময় সাধারণ শির্ক্ষাথীদের ওপর আক্রমণ করে।

শনিবার (৯ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘নিরাপদ বাংলাদেশ চাই’ আয়োজিত ‘শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস: অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যত’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রত্যেকটা শিক্ষাঙ্গন নিরাপদ হোক উল্লেখ করে শফিকুল আলম বলেন, ক্যাম্পাসগুলোতে যেন আর কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠী তৈরি না হয়, সেজন্য আমরা কাজ করছি।

প্রেস সচিব বলেন, ছাত্রলীগের যে কাজ করেছে তা, দৃশ্যমান। সরকার বা আমরা চাই, প্রত্যেকটা শিক্ষাঙ্গন নিরাপদ হোক। তাতে আমাদের ছেলে-মেয়েরা সুস্থভাবে শিক্ষা নিতে পারবে। তারা যেন পৃথিবীর যেকোন ছাত্রের সাথে নিজেকে তুলনা করতে পারে। এজন্য একটা সৃজনশীল সিচুয়েশন ক্যাম্পাসগুলোতে তৈরি করতে হবে।

শফিকুল আলম, এ আন্দোলন শুরু হয় ক্যাম্পাস থেকে। এর যে ব্যাপ্তি তা ধারণার বাইরে। এ আন্দোলনের বিপক্ষে ছিল ছাত্রলীগ। তারা ছিলো ফ্যাসিবাদের মূল ফুট সোলজার। তারা ফ্যাসিবাদের বয়ান তৈরি করেছে।

তিনি আরও বলেন, প্রত্যেকটি ক্যাম্পাসে এ বিষয় বিতর্ক হোক। জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে আমাদের ছাত্ররা যেভাবে নেতৃত্ব দিয়ে দেখিয়েছে যে, রাষ্ট্র কীভাবে মেরামত করতে হবে। এই রাষ্ট্র মেরামতেরই একটা বড় অংশ হচ্ছে শিক্ষাঙ্গনের সন্ত্রাসকে আমাদের দূর করতে হবে। রাষ্ট্র মেরামত শুধু মাত্র সংবিধান কিংবা বিচার ব্যবস্থা ঠিক করে হবে না। সমাজে যারা সন্ত্রাস করে তারা যাতে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড না করতে পারে সে ব্যবস্থা আমাদের করতে হবে।

কেকে

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনপ্রিয় সংবাদ

চাকরির আশায় অনেকেই ছাত্রলীগ করত : প্রেস সচিব

আপডেট সময় : ১০:০১:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৪

অনেকেই চাকরির আশায় ছাত্রলীগ করত উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, আমার চোখের সামনে গ্রামের যে ছেলেটা ছাত্রলীগ করে তার চাকরি হইছে।

তিনি বলেন, ছাত্রলীগ করা অনেক কর্মীর চাকরি হয়েছে পুলিশে, গোয়েন্দা সংস্থায়। তারাই আন্দোলনের সময় সাধারণ শির্ক্ষাথীদের ওপর আক্রমণ করে।

শনিবার (৯ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘নিরাপদ বাংলাদেশ চাই’ আয়োজিত ‘শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস: অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যত’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রত্যেকটা শিক্ষাঙ্গন নিরাপদ হোক উল্লেখ করে শফিকুল আলম বলেন, ক্যাম্পাসগুলোতে যেন আর কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠী তৈরি না হয়, সেজন্য আমরা কাজ করছি।

প্রেস সচিব বলেন, ছাত্রলীগের যে কাজ করেছে তা, দৃশ্যমান। সরকার বা আমরা চাই, প্রত্যেকটা শিক্ষাঙ্গন নিরাপদ হোক। তাতে আমাদের ছেলে-মেয়েরা সুস্থভাবে শিক্ষা নিতে পারবে। তারা যেন পৃথিবীর যেকোন ছাত্রের সাথে নিজেকে তুলনা করতে পারে। এজন্য একটা সৃজনশীল সিচুয়েশন ক্যাম্পাসগুলোতে তৈরি করতে হবে।

শফিকুল আলম, এ আন্দোলন শুরু হয় ক্যাম্পাস থেকে। এর যে ব্যাপ্তি তা ধারণার বাইরে। এ আন্দোলনের বিপক্ষে ছিল ছাত্রলীগ। তারা ছিলো ফ্যাসিবাদের মূল ফুট সোলজার। তারা ফ্যাসিবাদের বয়ান তৈরি করেছে।

তিনি আরও বলেন, প্রত্যেকটি ক্যাম্পাসে এ বিষয় বিতর্ক হোক। জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে আমাদের ছাত্ররা যেভাবে নেতৃত্ব দিয়ে দেখিয়েছে যে, রাষ্ট্র কীভাবে মেরামত করতে হবে। এই রাষ্ট্র মেরামতেরই একটা বড় অংশ হচ্ছে শিক্ষাঙ্গনের সন্ত্রাসকে আমাদের দূর করতে হবে। রাষ্ট্র মেরামত শুধু মাত্র সংবিধান কিংবা বিচার ব্যবস্থা ঠিক করে হবে না। সমাজে যারা সন্ত্রাস করে তারা যাতে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড না করতে পারে সে ব্যবস্থা আমাদের করতে হবে।

কেকে