ঢাকা ০৩:৪১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কলকাতার মতো শহর পৃথিবীতে নেই : জয়া আহসান চলতি মাসেই জুলাই সনদ প্রকাশ করতে হবে : রাশেদ প্রধান জুলাই সনদ নিয়ে টালবাহানা সহ্য করা হবে না : নাহিদ ইসলাম সংস্কারবিহীন কোনো নির্বাচন জামায়াত গ্রহণ করবে না: তাহের দুঃখিত, এবার আর তা হবে না: প্রেস সচিব জুলাই অভ‍্যুত্থান স্মরণে মাসব্যাপী কর্মসূচি উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা স্বৈরাচারের লক্ষণ দেখামাত্রই যেন বিনাশ করতে পারি: প্রধান উপদেষ্টা জুলাই ঘোষণাপত্র দেবে অন্তর্বর্তী সরকার, কোনো দল বা ব্যক্তি নয় : জুলাই ঐক্য পদ্মা সেতুর মামলার প্রতিবেদন গায়ের জোরে দিয়েছে বিগত কমিশন : দুদক চেয়ারম্যান সবুজ পৃথিবী চাই: বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ ঢাকা আলিয়ার বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

নবীজি কোন কাজকে চোখের জিনা বলেছেন?

ছবিঃ সংগৃহীত

আল্লাহ তাআলা মানুষকে যেকোনো কাজ করার স্বাধীনতা দিয়েছেন। তবে তিনি যেসব বিধিনিষেধ দিয়েছেন তা মান্য করতেও বলেছেন। তার নিষেধাজ্ঞাসমূহের মধ্যে অন্যতম হলো জিনা বা ব্যভিচার।

আল্লাহ তাআলা অন্যান্য বিষয় সরাসরি হারাম করেছেন কিন্তু জিনা এমন এক বিষয় যার সংশ্লিষ্ট কাজ থেকেও বেঁচে থাকতে বলেছেন। তিনি বলেন, আর জিনা-ব্যভিচারের কাছেও যেও না, তা হচ্ছে অশ্লীল কাজ আর অতি জঘন্য পথ। (সুরা বনি ইসরাইল ৩২)

আল্লাহ তা‘আলা শুধু যৌনকর্মকেই হারাম করেন নি, বরং তিনি এরই পাশাপাশি সব ধরনের অশ্লীলতাকেও হারাম করেছেন। তিনি বলেন,হে নবী আপনি বলে দিন, নিশ্চয় আমার প্রভু হারাম করে দিয়েছেন প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য সকল ধরনের অশ্লীলতা, পাপকর্ম, অন্যায় বিদ্রোহ, আল্লাহ তা‘আলার সাথে কাউকে শরিক করা। (সুরা আরাফ ৩৩)

আল্লাহ তা‘আলা যখন ব্যভিচারকে নিষেধ করে দিয়েছেন তখন তিনি সে সকল পথকেও নীতিগতভাবে রোধ করে দিয়েছেন যেগুলোর মাধ্যমে স্বভাবত ব্যভিচার সংঘটিত হয়ে থাকে। এ জন্যই আল্লাহ তাআলা পুরুষ ও মহিলা উভয় জাতিকে লজ্জাস্থান হেফাজতের পূর্বে সর্বপ্রথম নিজ দৃষ্টিকে সংযত করতে আদেশ করেন।

অশ্লীলভাবে তাকানোকে জিনা সাব্যস্ত করে নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা প্রত্যেক আদম সন্তানের জন্য জিনার কিছু অংশ বরাদ্দ করে রেখেছেন। যা সে অবশ্যই করবে। চোখের জিনা হচ্ছে অবৈধভাবে কারোর দিকে দৃষ্টি ক্ষেপণ, মুখের জিনা হচ্ছে অশ্লীল কথোপকথন, হাতও ব্যভিচার করে, তবে তার ব্যভিচার হচ্ছে অবৈধভাবে কাউকে হাত দিয়ে ধরা, পা-ও ব্যভিচার করে। তবে তার ব্যভিচার হচ্ছে কোনো ব্যভিচার সংঘটনের জন্য রওয়ানা করা, মুখও ব্যভিচার করে। তবে তার ব্যভিচার হচ্ছে অবৈধভাবে কাউকে চুমু দেয়া, কানের ব্যভিচার হচ্ছে অশ্লীল কথা শ্রবণ করা, মনও ব্যভিচারের কামনা-বাসনা করে। আর তখনই লজ্জাস্থান তা বাস্তবায়িত করে অথবা করে না। (আবু দাউদ ২১৫২)

নিহাদ সাজিদ/এমএস

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

কলকাতার মতো শহর পৃথিবীতে নেই : জয়া আহসান

নবীজি কোন কাজকে চোখের জিনা বলেছেন?

আপডেট সময় : ১২:১৫:১৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪

আল্লাহ তাআলা মানুষকে যেকোনো কাজ করার স্বাধীনতা দিয়েছেন। তবে তিনি যেসব বিধিনিষেধ দিয়েছেন তা মান্য করতেও বলেছেন। তার নিষেধাজ্ঞাসমূহের মধ্যে অন্যতম হলো জিনা বা ব্যভিচার।

আল্লাহ তাআলা অন্যান্য বিষয় সরাসরি হারাম করেছেন কিন্তু জিনা এমন এক বিষয় যার সংশ্লিষ্ট কাজ থেকেও বেঁচে থাকতে বলেছেন। তিনি বলেন, আর জিনা-ব্যভিচারের কাছেও যেও না, তা হচ্ছে অশ্লীল কাজ আর অতি জঘন্য পথ। (সুরা বনি ইসরাইল ৩২)

আল্লাহ তা‘আলা শুধু যৌনকর্মকেই হারাম করেন নি, বরং তিনি এরই পাশাপাশি সব ধরনের অশ্লীলতাকেও হারাম করেছেন। তিনি বলেন,হে নবী আপনি বলে দিন, নিশ্চয় আমার প্রভু হারাম করে দিয়েছেন প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য সকল ধরনের অশ্লীলতা, পাপকর্ম, অন্যায় বিদ্রোহ, আল্লাহ তা‘আলার সাথে কাউকে শরিক করা। (সুরা আরাফ ৩৩)

আল্লাহ তা‘আলা যখন ব্যভিচারকে নিষেধ করে দিয়েছেন তখন তিনি সে সকল পথকেও নীতিগতভাবে রোধ করে দিয়েছেন যেগুলোর মাধ্যমে স্বভাবত ব্যভিচার সংঘটিত হয়ে থাকে। এ জন্যই আল্লাহ তাআলা পুরুষ ও মহিলা উভয় জাতিকে লজ্জাস্থান হেফাজতের পূর্বে সর্বপ্রথম নিজ দৃষ্টিকে সংযত করতে আদেশ করেন।

অশ্লীলভাবে তাকানোকে জিনা সাব্যস্ত করে নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা প্রত্যেক আদম সন্তানের জন্য জিনার কিছু অংশ বরাদ্দ করে রেখেছেন। যা সে অবশ্যই করবে। চোখের জিনা হচ্ছে অবৈধভাবে কারোর দিকে দৃষ্টি ক্ষেপণ, মুখের জিনা হচ্ছে অশ্লীল কথোপকথন, হাতও ব্যভিচার করে, তবে তার ব্যভিচার হচ্ছে অবৈধভাবে কাউকে হাত দিয়ে ধরা, পা-ও ব্যভিচার করে। তবে তার ব্যভিচার হচ্ছে কোনো ব্যভিচার সংঘটনের জন্য রওয়ানা করা, মুখও ব্যভিচার করে। তবে তার ব্যভিচার হচ্ছে অবৈধভাবে কাউকে চুমু দেয়া, কানের ব্যভিচার হচ্ছে অশ্লীল কথা শ্রবণ করা, মনও ব্যভিচারের কামনা-বাসনা করে। আর তখনই লজ্জাস্থান তা বাস্তবায়িত করে অথবা করে না। (আবু দাউদ ২১৫২)

নিহাদ সাজিদ/এমএস