ঢাকা ০৮:৩৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ ঢাকা আলিয়ার নেতৃত্বে রাকিব মন্ডল ও জিনাত নাটোরে শয়নকক্ষ থেকে যুবদল নেতার অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার অনলাইন স্ক্যাম ও জালিয়াতি প্রতিরোধে নতুন ফিচার আনল হোয়াটসঅ্যাপ অর্থনৈতিক অপরাধে জড়িতদের বিচারে কমিটি গঠন হবে : সৈয়দা রিজওয়ানা বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধে জড়াতে চায় না ভারত বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি ফ্লাইট শিগগিরই চালু হচ্ছে বাংলাদেশের সঙ্গে বৈঠক পাকিস্তানের, যা বলছে গণমাধ্যম ইউরোপীয় ইউনিয়নের ‘নিরাপদ’ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ নাটেরের নলডাঙ্গায় ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে এক ব্যাক্তির মৃত্যু নাটোরে নিহত শিশু জুঁইয়ের পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন তারেক রহমান

স্বৈরাচারের দোসর শিক্ষক-কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীদের বিচার দাবিতে ইবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

ছবিঃ সংগৃহীত

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে বিরোধীতাকারী, স্বৈরাচার সরকারের দোসর এবং হামলা-মামলা ও নির্যাতনসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকা শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তাদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় ক্যাম্পাসের বটতলা থেকে মিছিল বের হয়। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন শেষে প্রশাসন ভবনের সামনে সমাবেশে মিলিত হয়।

সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবির সমন্বয়ক এস এম সুইট ও সহ সমন্বয়করাসহ বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবির সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, যাদের হাতে হাজারো শহিদের রক্ত লেগে ছিল তাদেরকে অন্তবর্তীকালীন সরকার নিষিদ্ধ করেছে। কিন্তু ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসন থেকে তাদের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখিনি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয় তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে ছাত্রসমাজ। গণহত্যা, হামলা ও আন্দোলনকে ভণ্ডুল করার জন্য যেসব শিক্ষক ছাত্রলীগকে ইন্ধন দিয়েছে তাদেরকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে অপসারণ করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের আন্দোলনের মূল দাবি কোটার যৌক্তিক সংস্কার মেনে না নিয়ে ফ্যাসিবাদী সরকার সারাদেশে গণহত্যা চালিয়েছে। যে বৈষম্যের জন্য হাজার হাজার ছাত্র জনতা প্রাণ দিলো আবারও একটি গোষ্ঠী ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে সেই একই বৈষম্য করার চেষ্টা করছে। যারা জুলাই বিপ্লবকে অস্বীকার করেন এবং বৈষম্যকে ফিরিয়ে আনতে চান তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে ছাত্রসমাজ।

এসময় শিক্ষার্থীরা পোষ্য কোটার মাধ্যমে অযোগ্যদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ প্রদান না দেওয়ার দাবিও জানান।

ইরফান উল্লাহ/এমএস

ট্যাগস :

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ ঢাকা আলিয়ার নেতৃত্বে রাকিব মন্ডল ও জিনাত

স্বৈরাচারের দোসর শিক্ষক-কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীদের বিচার দাবিতে ইবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

আপডেট সময় : ০৭:০৩:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে বিরোধীতাকারী, স্বৈরাচার সরকারের দোসর এবং হামলা-মামলা ও নির্যাতনসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকা শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তাদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় ক্যাম্পাসের বটতলা থেকে মিছিল বের হয়। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন শেষে প্রশাসন ভবনের সামনে সমাবেশে মিলিত হয়।

সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবির সমন্বয়ক এস এম সুইট ও সহ সমন্বয়করাসহ বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবির সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, যাদের হাতে হাজারো শহিদের রক্ত লেগে ছিল তাদেরকে অন্তবর্তীকালীন সরকার নিষিদ্ধ করেছে। কিন্তু ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসন থেকে তাদের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখিনি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয় তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে ছাত্রসমাজ। গণহত্যা, হামলা ও আন্দোলনকে ভণ্ডুল করার জন্য যেসব শিক্ষক ছাত্রলীগকে ইন্ধন দিয়েছে তাদেরকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে অপসারণ করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের আন্দোলনের মূল দাবি কোটার যৌক্তিক সংস্কার মেনে না নিয়ে ফ্যাসিবাদী সরকার সারাদেশে গণহত্যা চালিয়েছে। যে বৈষম্যের জন্য হাজার হাজার ছাত্র জনতা প্রাণ দিলো আবারও একটি গোষ্ঠী ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে সেই একই বৈষম্য করার চেষ্টা করছে। যারা জুলাই বিপ্লবকে অস্বীকার করেন এবং বৈষম্যকে ফিরিয়ে আনতে চান তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে ছাত্রসমাজ।

এসময় শিক্ষার্থীরা পোষ্য কোটার মাধ্যমে অযোগ্যদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ প্রদান না দেওয়ার দাবিও জানান।

ইরফান উল্লাহ/এমএস