ঢাকা ০৬:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জয় বাংলা স্লোগান বাংলাদেশের, ভারতে চলবে না: শুভেন্দু অধিকারী আ.লীগ রাজনৈতিকভাবে নিশ্চিহ্ন হলে পূর্ণ মুক্তি মিলবে: মির্জা ফখরুল ড. ইউনূস ও ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়ে জামায়াত আমিরের বার্তা মার্কিন শুল্ক কমানো রপ্তানি খাতে সন্তোষজনক : আমীর খসরু আমেরিকার শুল্ক কমানোর ঘোষণায় প্রতিক্রিয়া জানান বাণিজ্য উপদেষ্টা বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় আমরা অবস্থান ধরে রাখতে পেরেছি: ড. খলিলুর রহমান যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক কমানোর চুক্তি কূটনৈতিক বিজয় : প্রধান উপদেষ্টা ব্যাংক মার্জারে সরকার বিনিয়োগ করে লাভসহ ফেরত পাবে : গভর্নর মনসুর রাষ্ট্রীয় সফরে শনিবার পাকিস্তানে যাচ্ছেন ইরান প্রেসিডেন্ট

বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় আমরা অবস্থান ধরে রাখতে পেরেছি: ড. খলিলুর রহমান

জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। ছবি : সংগৃহীত

জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান বলেন, আমরা সম্ভাব্য ৩৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক এড়িয়ে যেতে পেরেছি। এটা আমাদের পোশাক খাত ও এই খাতের ওপর নির্ভরশীল লাখো মানুষের জন্য ভালো খবর। এ ছাড়া, আমরা বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় নিজেদের অবস্থান ধরে রেখে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভোক্তা বাজারে প্রবেশের নতুন সুযোগও সৃষ্টি করেছি।

শুক্রবার (১ আগস্ট) বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা সব পণ্যের ওপর ২০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ বিষয়ে জানানোর পর এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।

জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, আমরা খুব হিসাব-নিকাশ করে আলোচনা করেছি, যাতে আমাদের প্রতিশ্রুতি জাতীয় স্বার্থ ও সক্ষমতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়।

খলিলুর রহমান আরও বলেন, আমরা আমাদের জাতীয় স্বার্থ ও সক্ষমতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই আলোচনার প্রতিটি ধাপ পরিচালনা করেছি। আমাদের পোশাক খাত রক্ষাই ছিল অগ্রাধিকার, তবে আমরা মার্কিন কৃষিপণ্য আমদানির প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, যা আমাদের খাদ্য নিরাপত্তা ও যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি রাজ্যগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরিতে সহায়ক হবে।

উপদেষ্টা বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্থানীয় সময় শুক্রবার ৭০টি দেশের আমদানি পণ্যের ওপর সর্বোচ্চ ৪১ শতাংশ পর্যন্ত নতুন শুল্কহার ঘোষণা করেছেন, যা দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্ত করার ১ আগস্টের শেষ সময়সীমার ঠিক আগেই এসেছে।

চুক্তিগুলো শুধু শুল্ক সংশোধনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, এতে দেশীয় নীতিমালার সংস্কার, বাণিজ্য ভারসাম্য, অশুল্ক বাধা ও জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়গুলোও অন্তর্ভুক্ত। এসব আলোচনার অংশ হিসেবে দেশগুলোকে মার্কিন পণ্য কেনার সুস্পষ্ট প্রতিশ্রুতি দিতে হয়েছে, যাতে মার্কিন বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাস পায়।

এই বহুমুখী আলোচনার প্রক্রিয়াটি ছিল জটিল ও সময়সাপেক্ষ। শুল্ক থেকে ছাড় পেতে হলে শুধু মার্কিন পণ্যে শুল্ক কমানোই নয়, বরং অ-শুল্ক প্রতিবন্ধকতা, বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতা ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগ দূরীকরণে মার্কিন অবস্থান মেনে চলার সদিচ্ছাও থাকতে হয়েছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে স্পষ্ট বলা হয়েছে, প্রতিটি দেশের ওপর আরোপিত শুল্কহার নির্ধারিত হয়েছে তাদের প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে।

বাংলাদেশ ২০ শতাংশ শুল্কহার অর্জন করেছে, যা শ্রীলঙ্কা, ভিয়েতনাম, পাকিস্তান ও ইন্দোনেশিয়ার মতো প্রতিদ্বন্দ্বী পোশাক রপ্তানিকারক দেশের সঙ্গে তুলনামূলকভাবে সমান। অন্যদিকে, ভারত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ চুক্তিতে পৌঁছাতে ব্যর্থ হওয়ায় ২৫% শুল্কের মুখে পড়েছে।

এর আগে, হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে এক ঘোষণায় জানানো হয়, ১ আগস্ট থেকে নতুন শুল্ক কার্যকর হচ্ছে। ঘোষণায় উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ২০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।

কেকে

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি

বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় আমরা অবস্থান ধরে রাখতে পেরেছি: ড. খলিলুর রহমান

আপডেট সময় : ০৯:৪৪:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ অগাস্ট ২০২৫

জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান বলেন, আমরা সম্ভাব্য ৩৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক এড়িয়ে যেতে পেরেছি। এটা আমাদের পোশাক খাত ও এই খাতের ওপর নির্ভরশীল লাখো মানুষের জন্য ভালো খবর। এ ছাড়া, আমরা বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় নিজেদের অবস্থান ধরে রেখে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভোক্তা বাজারে প্রবেশের নতুন সুযোগও সৃষ্টি করেছি।

শুক্রবার (১ আগস্ট) বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা সব পণ্যের ওপর ২০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ বিষয়ে জানানোর পর এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।

জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, আমরা খুব হিসাব-নিকাশ করে আলোচনা করেছি, যাতে আমাদের প্রতিশ্রুতি জাতীয় স্বার্থ ও সক্ষমতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়।

খলিলুর রহমান আরও বলেন, আমরা আমাদের জাতীয় স্বার্থ ও সক্ষমতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই আলোচনার প্রতিটি ধাপ পরিচালনা করেছি। আমাদের পোশাক খাত রক্ষাই ছিল অগ্রাধিকার, তবে আমরা মার্কিন কৃষিপণ্য আমদানির প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, যা আমাদের খাদ্য নিরাপত্তা ও যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি রাজ্যগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরিতে সহায়ক হবে।

উপদেষ্টা বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্থানীয় সময় শুক্রবার ৭০টি দেশের আমদানি পণ্যের ওপর সর্বোচ্চ ৪১ শতাংশ পর্যন্ত নতুন শুল্কহার ঘোষণা করেছেন, যা দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্ত করার ১ আগস্টের শেষ সময়সীমার ঠিক আগেই এসেছে।

চুক্তিগুলো শুধু শুল্ক সংশোধনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, এতে দেশীয় নীতিমালার সংস্কার, বাণিজ্য ভারসাম্য, অশুল্ক বাধা ও জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়গুলোও অন্তর্ভুক্ত। এসব আলোচনার অংশ হিসেবে দেশগুলোকে মার্কিন পণ্য কেনার সুস্পষ্ট প্রতিশ্রুতি দিতে হয়েছে, যাতে মার্কিন বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাস পায়।

এই বহুমুখী আলোচনার প্রক্রিয়াটি ছিল জটিল ও সময়সাপেক্ষ। শুল্ক থেকে ছাড় পেতে হলে শুধু মার্কিন পণ্যে শুল্ক কমানোই নয়, বরং অ-শুল্ক প্রতিবন্ধকতা, বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতা ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগ দূরীকরণে মার্কিন অবস্থান মেনে চলার সদিচ্ছাও থাকতে হয়েছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে স্পষ্ট বলা হয়েছে, প্রতিটি দেশের ওপর আরোপিত শুল্কহার নির্ধারিত হয়েছে তাদের প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে।

বাংলাদেশ ২০ শতাংশ শুল্কহার অর্জন করেছে, যা শ্রীলঙ্কা, ভিয়েতনাম, পাকিস্তান ও ইন্দোনেশিয়ার মতো প্রতিদ্বন্দ্বী পোশাক রপ্তানিকারক দেশের সঙ্গে তুলনামূলকভাবে সমান। অন্যদিকে, ভারত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ চুক্তিতে পৌঁছাতে ব্যর্থ হওয়ায় ২৫% শুল্কের মুখে পড়েছে।

এর আগে, হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে এক ঘোষণায় জানানো হয়, ১ আগস্ট থেকে নতুন শুল্ক কার্যকর হচ্ছে। ঘোষণায় উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ২০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।

কেকে