সমাজে নৈতিকতা ও ইসলামী মূল্যবোধে গুরুত্বারোপ করে অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আফম খালিদ হোসেন বলেছেন, মসজিদের মাধ্যমে আমরা সমাজে নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুন্নতের শিক্ষা ছড়িয়ে দিতে চাই এবং বেদাত থেকে সমাজকে রক্ষা করতে চাই।
শুক্রবার (৪ জুলাই) দুপুরে চট্টগ্রামের হাটহাজারী পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড কড়িয়ার দিঘীরপাড় এলাকায় বহুল প্রতীক্ষিত উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় ড. খালিদ হোসেন বলেন, যত বেশি মসজিদ হবে মানুষ তত বেশি নামাজি হবে এবং নামাজির সংখ্যাও বৃদ্ধি পাবে। আমরা মসজিদ করে দিচ্ছি, আপনাদের দায়িত্ব হলো মসজিদকে আবাদ রাখা। এই মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হবে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও ইসলামের সঠিক জ্ঞানের বাতিঘর। ধর্মীয় ও সামাজিক উন্নয়নে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক মুফতি খলিল আহমেদ কাসেমী, মুফতি ও মুহাদ্দিস আল্লামা মুফতি জসিমুদ্দীন, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মু. আব্দুল আওউয়াল হাওলাদার, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক মো. আব্দুস সালাম খান, প্রকল্প পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার শহিদুল আলম, উপ-প্রকল্প পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মো. ফেরদৌস, হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম মশিউজ্জামান, হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী মো. তারেক আজিজ, হাটহাজারী প্রেস ক্লাব সভাপতি কেশব কুমার বড়ুয়া, ওসি আবু কাওসার মোহাম্মদ হোসেন এবং উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নিয়াজ মোর্শেদসহ স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা এবং গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন হাটহাজারী মাদ্রাসার শায়খুল হাদিস আল্লামা শেখ আহমদ।
প্রায় ১১ কোটি ৮৯ লাখ টাকা ব্যয়ে তিন তলাবিশিষ্ট এই মডেল মসজিদ কমপ্লেক্সে পুরুষদের পাশাপাশি নারীদের জন্যও নামাজের পৃথক সুব্যবস্থা থাকবে। তাছাড়া সেখানে ইসলামিক লাইব্রেরি, ইমাম ও খতিবদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম এবং শিশুদের ধর্মীয় শিক্ষা চালুর ব্যবস্থা রয়েছে।
এছাড়া সম্মেলন কক্ষ, হিফজখানা, লাশ ধোয়ার ব্যবস্থা প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা, গাড়ি পার্কিং এবং ইসলামি গবেষণা কেন্দ্রসহ নানা সুবিধা থাকবে।
কেকে