ওমর ফারুক, জেলা প্রতিনিধি, খাগড়াছড়ি।
পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ(পিসিসিপি) কর্তৃক চতুর্মুখী সর্বত্রে প্রতিবাদে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ইউপিডিএফের সঙ্গে আগামী ১৭ মে শনিবার নির্ধারিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকটি অবশেষে বাতিল করতে বাধ্য হয়েছেন। যদিও কমিশনের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো ঘোষণা দেওয়া হয়নি, তবে ঐকমত্য কমিশনের সাথে সংশ্লিষ্ট একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
সূত্র জানায়, ঐদিন দুইটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকের কর্মসূচি থাকলেও ইউপিডিএফের সঙ্গে নির্ধারিত আলোচনা বাতিল করা হয়েছে এবং অপর একটি দলের সঙ্গে বৈঠক আগের পরিকল্পনা অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে।(পার্বত্য নিউজ)
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে ঐকমত্য কমিশনের কার্যালয়ে দেশবিচ্ছিন্নতাবাদী ইউপিডিএফের সঙ্গে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, যা নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। তবে, পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিসিপি), স্টুডেন্টস ফর সভরেন্টি, পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র সংসদ, জুলাই মঞ্চসহ দেশপ্রেমিক (সমতল-পার্বত্য) বহু ব্যক্তি ও সংগঠন এর তীব্র প্রতিবাদ জানায়। পিসিসিপি বান্দরবান, পিসিসিপি খাগড়াছড়ি ও পিসিসিপি রাঙামাটিসহ পার্বত্য জেলা-উপজেলায় মানববন্ধন, সমাবেশ ও সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জনমত গড়ে তোলেন।
এছাড়াও রাজধানী ঢাকা মহানগর ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সংগঠন(স্বার্বভৌমত্ব রক্ষা) রাজু ভাস্কর্যে একই ইস্যুতে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করতে দেখা যায়। সচেতন নাগরিকদের প্রশ্ন কমিশনদের নিকট, কাদের ছত্রছায়ায় আশ্রয় নিয়ে প্রকাশ্যে দেশদ্রোহী কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত এমন সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে? ইউপিডিএফ একটি বিচ্ছিন্নতাবাদ সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন জেনেও দায়িত্ব প্রাপ্ত নীতি-নির্ধারকরা কোন যুক্তিতে পরবর্তী আলোচনার তারিখ দিয়েছিলেন! এ ধরনের বৈঠক একদিকে যেমন এই দেশবিচ্ছন্ন সন্ত্রাসী সংগঠনকে অনানুষ্ঠানিকভাবে বৈধতা দেয়, অন্যদিকে তা রাষ্ট্রের নীতিগত অবস্থানকে দুর্বল করে।
পার্বত্য মাটি রক্ষা ও অধিকার বঞ্চিত সাধারণ পাহাড়ি-বাঙ্গালির গ্রহণযোগ্য অসাম্প্রদায়িক সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিসিপি) কর্তৃক জনমতের এই বিস্ফোরণ সরকারের উপর মহলেও আলোড়ন গড়ে তুলেন বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা। ফলে, রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক ভারসাম্য রক্ষায় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে দেশ বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন ইউপিডিএফের সঙ্গে বৈঠক বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এমএস