ওমর ফারুক, খাগড়াছড়ি জেলা প্রতিনিধি:
প্রায় ১৮ বছর পরে হাটহাজারী উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের বাথুয়া গ্রামের নিজের বাড়িতে আসবেন নোবেল জয়ী ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দেশের সরকার প্রধান ও গ্রামের সন্তান বাড়িতে আসবেন। সেই আমেজে সাজে বিরাজ করছে বাথুয়া গ্রাম। সীমাহীন আনন্দ বইছে হাজী নজুমিয়া সওদাগরের বাড়ি।
প্রধান উপদেষ্টা আসার আগমনকে কেন্দ্র করে সপ্তাহব্যাপি বাড়িতে শত শত পুলিশ, র্যাব, সেনাবাহিনী ও এপিবিএন, এসএসএফ, ডিজিএফআই, এনএসআই, সাংবাদিকসহ ভীড় জমিয়েছেন তথ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্যে।
আজ বুধবার (১৪ মে) দুপুরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সমাবর্তন অনুষ্ঠান শেষে নিজ গ্রামে আসবেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়। হাটহাজারী উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের হাজী নজুমিয়া সওদাগরের বাড়িতে ঘুরে দেখা যায়, গতকাল রাত থেকে আশপাশের গ্রাম থেকে অসংখ্য মানুষের আনাগোনা বেড়েই চলেছে।
তাড়াও আজ সকাল থেকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি তুলনামূলক চোখে পড়ার মতো। রাস্তাঘাট সব পরিস্কার পরিচ্ছন্ন হলেও সরকার প্রধানের পিতার ভূমিতে ঘরের জায়গা থাকলেও ঐ ভূমিতে কোনো ঘর নেই। বিভিন্ন প্রশাসনের লোকজনের জন্য বাড়ির চারপাশে ভাসমান সৌচগারের ব্যবস্থা রয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার বাড়ির ৫০ গজ দূরে নির্মাণ করেছে মঞ্চ এবং তার পাশেই দাদা দাদি ও আত্মীয় স্বজনরা শায়িত রয়েছেন। তাদের কবরে জিযারত করবেন। এরপর বাড়ির আত্মীয় স্বজনদের সাথে কৌশল বিনিময়ে করবেন। এরপর তিনি ঢাকার উদ্দেশ্য রওনা হবেন। প্রধান উপদেষ্টার আগমন উপলক্ষে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে রেখেছেন আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।
জানা গেছে, বাথুয়া গ্রামে অবস্থান না করলেও ড. ইউনূসের পরিবারের সবাই ৫০-৬০ বছর ধরে চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ থানাধীন নিরিবিলি নামক একটি ভবনে বসবাস করছেন। ১৯৪০ সালের ২৮ জুন তিনি বাথুয়া গ্রামের হাজী এম নজু মিয়া সওদাগর বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। সাত ভাই ও দুই বোনসহ ৯ জনের মধ্যে তিনি তৃতীয় সন্তান।
এমএস