ঢাকা ০৮:৫০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কলকাতার মতো শহর পৃথিবীতে নেই : জয়া আহসান চলতি মাসেই জুলাই সনদ প্রকাশ করতে হবে : রাশেদ প্রধান জুলাই সনদ নিয়ে টালবাহানা সহ্য করা হবে না : নাহিদ ইসলাম সংস্কারবিহীন কোনো নির্বাচন জামায়াত গ্রহণ করবে না: তাহের দুঃখিত, এবার আর তা হবে না: প্রেস সচিব জুলাই অভ‍্যুত্থান স্মরণে মাসব্যাপী কর্মসূচি উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা স্বৈরাচারের লক্ষণ দেখামাত্রই যেন বিনাশ করতে পারি: প্রধান উপদেষ্টা জুলাই ঘোষণাপত্র দেবে অন্তর্বর্তী সরকার, কোনো দল বা ব্যক্তি নয় : জুলাই ঐক্য পদ্মা সেতুর মামলার প্রতিবেদন গায়ের জোরে দিয়েছে বিগত কমিশন : দুদক চেয়ারম্যান সবুজ পৃথিবী চাই: বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ ঢাকা আলিয়ার বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

স্বাধীনতার পর এই প্রথম সবাই মিলে রাষ্ট্র বিনির্মাণের সুযোগ হয়েছে: আলী রীয়াজ

আলী রীয়াজ। ছবি: সংগৃহীত

স্বাধীনতার পর এই প্রথম সবাই মিলে রাষ্ট্র বিনির্মাণের সুযোগ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) ঢাকায় সংসদ ভবনের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির আলোচনার শুরুতে এমন মন্তব্য করেন তিনি। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।

অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, স্বাধীনতার পর এই প্রথমবারের মতো সব পক্ষের অংশগ্রহণে রাষ্ট্র গঠনের একটি বাস্তব সুযোগ তৈরি হয়েছে। তবে এই সুযোগ এসেছে কমপক্ষে ১ হাজার ৪০০ মানুষের জীবন উৎসর্গের বিনিময়ে। তাদের আত্মত্যাগের প্রতিদান হিসেবে আমাদের ওপর একটি গভীর দায়িত্ব বর্তায়।

তিনি বলেন, এই দায়বোধ ও অঙ্গীকার থেকেই যেন আমরা রাষ্ট্র বিনির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু করতে পারি- যা হবে সত্যিকার অর্থে জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী ও অংশগ্রহণমূলক।

গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য তুলে ধরে অধ্যাপক রীয়াজ বলেন, গণতান্ত্রিক সমাজে মতভেদ থাকবে, ভিন্ন ভিন্ন মতাদর্শের চর্চা হবে- এটাই স্বাভাবিক। আমাদের সবার ভাষা এক নাও হতে পারে, কিন্তু আমাদের লক্ষ্য এক এবং অভিন্ন।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল আলোচনায় অংশ নেন। প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, আবু হাসান টিপু, আনছার আলী দুলাল, মীর মোফাজ্জল হোসেন মুশতাক ও মাহমুদ হোসেন। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাশিদা বেগম, সাইফুল ইসলাম এবং শেখ মোহাম্মদ শিমুলও আলোচনায় অংশ নেন।

উল্লেখ্য, প্রথম পর্যায়ে গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর মধ্যে সংবিধান সংস্কার কমিশন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে উল্লিখিত গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলোর ওপর রাজনৈতিক দলের সুনির্দিষ্ট মতামত জানাতে অনুরোধ করে সুপারিশগুলোর স্প্রেডশিট আকারে ৩৯টি রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠানো হয়। ইতোমধ্যে সংস্কার বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ৩৫টি দলের কাছ থেকে মতামত পেয়েছে। বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি এ পর্যন্ত ২১টি রাজনৈতিক দল কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নিয়েছে।

কেকে

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

কলকাতার মতো শহর পৃথিবীতে নেই : জয়া আহসান

স্বাধীনতার পর এই প্রথম সবাই মিলে রাষ্ট্র বিনির্মাণের সুযোগ হয়েছে: আলী রীয়াজ

আপডেট সময় : ০৭:৩৩:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

স্বাধীনতার পর এই প্রথম সবাই মিলে রাষ্ট্র বিনির্মাণের সুযোগ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) ঢাকায় সংসদ ভবনের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির আলোচনার শুরুতে এমন মন্তব্য করেন তিনি। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।

অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, স্বাধীনতার পর এই প্রথমবারের মতো সব পক্ষের অংশগ্রহণে রাষ্ট্র গঠনের একটি বাস্তব সুযোগ তৈরি হয়েছে। তবে এই সুযোগ এসেছে কমপক্ষে ১ হাজার ৪০০ মানুষের জীবন উৎসর্গের বিনিময়ে। তাদের আত্মত্যাগের প্রতিদান হিসেবে আমাদের ওপর একটি গভীর দায়িত্ব বর্তায়।

তিনি বলেন, এই দায়বোধ ও অঙ্গীকার থেকেই যেন আমরা রাষ্ট্র বিনির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু করতে পারি- যা হবে সত্যিকার অর্থে জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী ও অংশগ্রহণমূলক।

গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য তুলে ধরে অধ্যাপক রীয়াজ বলেন, গণতান্ত্রিক সমাজে মতভেদ থাকবে, ভিন্ন ভিন্ন মতাদর্শের চর্চা হবে- এটাই স্বাভাবিক। আমাদের সবার ভাষা এক নাও হতে পারে, কিন্তু আমাদের লক্ষ্য এক এবং অভিন্ন।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল আলোচনায় অংশ নেন। প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, আবু হাসান টিপু, আনছার আলী দুলাল, মীর মোফাজ্জল হোসেন মুশতাক ও মাহমুদ হোসেন। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাশিদা বেগম, সাইফুল ইসলাম এবং শেখ মোহাম্মদ শিমুলও আলোচনায় অংশ নেন।

উল্লেখ্য, প্রথম পর্যায়ে গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর মধ্যে সংবিধান সংস্কার কমিশন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে উল্লিখিত গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলোর ওপর রাজনৈতিক দলের সুনির্দিষ্ট মতামত জানাতে অনুরোধ করে সুপারিশগুলোর স্প্রেডশিট আকারে ৩৯টি রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠানো হয়। ইতোমধ্যে সংস্কার বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ৩৫টি দলের কাছ থেকে মতামত পেয়েছে। বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি এ পর্যন্ত ২১টি রাজনৈতিক দল কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নিয়েছে।

কেকে