ঢাকা ০৫:১৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে ব্যবসায়ীদের আহ্বান: বাণিজ্য উপদেষ্টা

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তান ও বাংলাদেশ জনবহুল দেশ হওয়া সত্ত্বেও দুদেশের মধ্যে যে বাণিজ্য তা প্রত্যাশিত নয়। কাঙ্ক্ষিত বাণিজ্য লক্ষ্য অর্জনে দুদেশের ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।

সোমবার ঢাকায় একটি হোটেলে পাকিস্তান-বাংলাদেশ বিজনেস ফোরাম-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।

অনুষ্ঠানে শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, পাকিস্তান-বাংলাদেশ বিজনেস ফোরাম দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক শক্তিশালী এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। দুই দেশের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এবং বাণিজ্য সংস্থাগুলির মধ্যে সংযোগ স্থাপন, বাণিজ্য প্রসার এবং বিনিয়োগের সুযোগ অন্বেষণের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে এটি কাজ করবে। এ সময় তিনি দুদেশের জনগণের মধ্যে সংযোগ বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ জনবহুল দেশ হওয়া সত্ত্বেও দুদেশের মধ্যে যে বাণিজ্য তা প্রত্যাশিত নয়। কাঙ্ক্ষিত বাণিজ্য লক্ষ্য অর্জনে দুদেশের ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসতে হবে। দুই দেশের মধ্যে শুল্ক ও অশুল্ক বাধা নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি সেগুলো কীভাবে যৌক্তিক করা যায় সেটি আমাদের বের করতে হবে।

অনুষ্ঠানে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য জোরদার করতে বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সঙ্গে পাকিস্তান রেডিমেড গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (পিআরজিএমইএ) সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়।

বিজিএমইএ-এর পক্ষে প্রশাসক ও বাংলাদেশ এক্সপোর্ট প্রমোশন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন এবং পিআরজিএমইএ ভাইস চেয়ারম্যান আমির রিয়াজ ছোট্টানি সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ, এফবিসিসিআইর প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান ও বিকেএমইএ-এর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম উপস্থিত ছিলেন।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দুই দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৬৮ কোটি ৯৭ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার। এর মধ্যে বাংলাদেশ আমদানি করে ৬২ কোটি ৭৭ লাখ ৮০ হাজার ডলারের পণ্য। আর পাকিস্তানে বাংলাদেশ রপ্তানি করে ৬ কোটি ১৯ লাখ ৮০ হাজার ডলারের পণ্য।

কেকে

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনপ্রিয় সংবাদ

পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে ব্যবসায়ীদের আহ্বান: বাণিজ্য উপদেষ্টা

আপডেট সময় : ০৯:৪০:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

পাকিস্তান ও বাংলাদেশ জনবহুল দেশ হওয়া সত্ত্বেও দুদেশের মধ্যে যে বাণিজ্য তা প্রত্যাশিত নয়। কাঙ্ক্ষিত বাণিজ্য লক্ষ্য অর্জনে দুদেশের ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।

সোমবার ঢাকায় একটি হোটেলে পাকিস্তান-বাংলাদেশ বিজনেস ফোরাম-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।

অনুষ্ঠানে শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, পাকিস্তান-বাংলাদেশ বিজনেস ফোরাম দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক শক্তিশালী এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। দুই দেশের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এবং বাণিজ্য সংস্থাগুলির মধ্যে সংযোগ স্থাপন, বাণিজ্য প্রসার এবং বিনিয়োগের সুযোগ অন্বেষণের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে এটি কাজ করবে। এ সময় তিনি দুদেশের জনগণের মধ্যে সংযোগ বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ জনবহুল দেশ হওয়া সত্ত্বেও দুদেশের মধ্যে যে বাণিজ্য তা প্রত্যাশিত নয়। কাঙ্ক্ষিত বাণিজ্য লক্ষ্য অর্জনে দুদেশের ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসতে হবে। দুই দেশের মধ্যে শুল্ক ও অশুল্ক বাধা নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি সেগুলো কীভাবে যৌক্তিক করা যায় সেটি আমাদের বের করতে হবে।

অনুষ্ঠানে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য জোরদার করতে বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সঙ্গে পাকিস্তান রেডিমেড গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (পিআরজিএমইএ) সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়।

বিজিএমইএ-এর পক্ষে প্রশাসক ও বাংলাদেশ এক্সপোর্ট প্রমোশন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন এবং পিআরজিএমইএ ভাইস চেয়ারম্যান আমির রিয়াজ ছোট্টানি সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ, এফবিসিসিআইর প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান ও বিকেএমইএ-এর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম উপস্থিত ছিলেন।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দুই দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৬৮ কোটি ৯৭ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার। এর মধ্যে বাংলাদেশ আমদানি করে ৬২ কোটি ৭৭ লাখ ৮০ হাজার ডলারের পণ্য। আর পাকিস্তানে বাংলাদেশ রপ্তানি করে ৬ কোটি ১৯ লাখ ৮০ হাজার ডলারের পণ্য।

কেকে