ঢাকা ১১:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কলকাতার মতো শহর পৃথিবীতে নেই : জয়া আহসান চলতি মাসেই জুলাই সনদ প্রকাশ করতে হবে : রাশেদ প্রধান জুলাই সনদ নিয়ে টালবাহানা সহ্য করা হবে না : নাহিদ ইসলাম সংস্কারবিহীন কোনো নির্বাচন জামায়াত গ্রহণ করবে না: তাহের দুঃখিত, এবার আর তা হবে না: প্রেস সচিব জুলাই অভ‍্যুত্থান স্মরণে মাসব্যাপী কর্মসূচি উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা স্বৈরাচারের লক্ষণ দেখামাত্রই যেন বিনাশ করতে পারি: প্রধান উপদেষ্টা জুলাই ঘোষণাপত্র দেবে অন্তর্বর্তী সরকার, কোনো দল বা ব্যক্তি নয় : জুলাই ঐক্য পদ্মা সেতুর মামলার প্রতিবেদন গায়ের জোরে দিয়েছে বিগত কমিশন : দুদক চেয়ারম্যান সবুজ পৃথিবী চাই: বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ ঢাকা আলিয়ার বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

আরও বাড়ল দেশের রিজার্ভ

ছবি: সংগৃহীত

রেমিট্যান্সপ্রবাহের ধারা ইতিবাচক থাকায় রিজার্ভের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের কাছাকাছি। রোববার বাংলাদেশ ব্যাংক এ তথ্য জানিয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্যে দেখা গেছে, ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের মোট রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৬ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)-এর হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভের পরিমাণ ২১ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলার।

তবে বাস্তবে যে রিজার্ভ ব্যবহারযোগ্য, সেই ‘নিট রিজার্ভ’-এর হিসাব আরও ভিন্ন। আইএমএফকে জানানো হিসাবে—এসডিআর খাত, ব্যাংকগুলোর ফরেক্স ক্লিয়ারিং ব্যালান্স এবং আকুর পাওনা বাদ দিয়ে বাংলাদেশের প্রকৃত ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৬ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি।

বিশ্লেষকরা বলছেন, রিজার্ভে এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার পেছনে মূল অবদান রাখছে প্রবাস আয়। চলতি এপ্রিলের প্রথম ২৬ দিনেই রেমিট্যান্স এসেছে ২২৭ কোটি ১০ লাখ ডলার।

শুধু গত মার্চ মাসেই রেমিট্যান্সের ইতিহাসে নতুন রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ—এ মাসজুড়ে এসেছে ৩ দশমিক ২৯ বিলিয়ন ডলার, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস থেকে ধারাবাহিকভাবে রেমিট্যান্স প্রবাহ দুই বিলিয়ন ডলারের ওপরে রয়েছে। জুলাইয়ে এসেছে ১ দশমিক ৯১ বিলিয়ন, আগস্টে ২ দশমিক ২২ বিলিয়ন, সেপ্টেম্বরে ২ দশমিক ৪০ বিলিয়ন, অক্টোবরে ২ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন, নভেম্বরে ২ দশমিক ২০ বিলিয়ন, ডিসেম্বরে ২ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন, জানুয়ারিতে ২ দশমিক ১৯ বিলিয়ন এবং ফেব্রুয়ারিতে এসেছে ২ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন ডলার। ধারাবাহিকভাবে টানা সাত মাস দুই বিলিয়নের বেশি রেমিট্যান্সপ্রবাহ অব্যাহত থাকার ফলেই রিজার্ভে এসেছে গতি।

সাধারণত একটি দেশের রিজার্ভ অন্তত তিন মাসের আমদানি ব্যয় নির্বাহের জন্য পর্যাপ্ত হওয়া প্রয়োজন। বর্তমান রিজার্ভ দিয়ে বাংলাদেশের তিন মাসের বেশি সময়ের আমদানি দায় মেটানো সম্ভব, যা অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য ইতিবাচক বার্তা দেয়।

অর্থনীতিবিদদের মতে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ এবং বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাতে ব্যাংক ও প্রবাসী প্রণোদনার কার্যকর উদ্যোগ রিজার্ভে এই গতি ফেরাতে সহায়ক হয়েছে।

কেকে

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

কলকাতার মতো শহর পৃথিবীতে নেই : জয়া আহসান

আরও বাড়ল দেশের রিজার্ভ

আপডেট সময় : ১১:১৩:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫

রেমিট্যান্সপ্রবাহের ধারা ইতিবাচক থাকায় রিজার্ভের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের কাছাকাছি। রোববার বাংলাদেশ ব্যাংক এ তথ্য জানিয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্যে দেখা গেছে, ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের মোট রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৬ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)-এর হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভের পরিমাণ ২১ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলার।

তবে বাস্তবে যে রিজার্ভ ব্যবহারযোগ্য, সেই ‘নিট রিজার্ভ’-এর হিসাব আরও ভিন্ন। আইএমএফকে জানানো হিসাবে—এসডিআর খাত, ব্যাংকগুলোর ফরেক্স ক্লিয়ারিং ব্যালান্স এবং আকুর পাওনা বাদ দিয়ে বাংলাদেশের প্রকৃত ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৬ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি।

বিশ্লেষকরা বলছেন, রিজার্ভে এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার পেছনে মূল অবদান রাখছে প্রবাস আয়। চলতি এপ্রিলের প্রথম ২৬ দিনেই রেমিট্যান্স এসেছে ২২৭ কোটি ১০ লাখ ডলার।

শুধু গত মার্চ মাসেই রেমিট্যান্সের ইতিহাসে নতুন রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ—এ মাসজুড়ে এসেছে ৩ দশমিক ২৯ বিলিয়ন ডলার, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস থেকে ধারাবাহিকভাবে রেমিট্যান্স প্রবাহ দুই বিলিয়ন ডলারের ওপরে রয়েছে। জুলাইয়ে এসেছে ১ দশমিক ৯১ বিলিয়ন, আগস্টে ২ দশমিক ২২ বিলিয়ন, সেপ্টেম্বরে ২ দশমিক ৪০ বিলিয়ন, অক্টোবরে ২ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন, নভেম্বরে ২ দশমিক ২০ বিলিয়ন, ডিসেম্বরে ২ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন, জানুয়ারিতে ২ দশমিক ১৯ বিলিয়ন এবং ফেব্রুয়ারিতে এসেছে ২ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন ডলার। ধারাবাহিকভাবে টানা সাত মাস দুই বিলিয়নের বেশি রেমিট্যান্সপ্রবাহ অব্যাহত থাকার ফলেই রিজার্ভে এসেছে গতি।

সাধারণত একটি দেশের রিজার্ভ অন্তত তিন মাসের আমদানি ব্যয় নির্বাহের জন্য পর্যাপ্ত হওয়া প্রয়োজন। বর্তমান রিজার্ভ দিয়ে বাংলাদেশের তিন মাসের বেশি সময়ের আমদানি দায় মেটানো সম্ভব, যা অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য ইতিবাচক বার্তা দেয়।

অর্থনীতিবিদদের মতে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ এবং বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাতে ব্যাংক ও প্রবাসী প্রণোদনার কার্যকর উদ্যোগ রিজার্ভে এই গতি ফেরাতে সহায়ক হয়েছে।

কেকে