ঢাকা ০৭:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ২৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ঢাকা আলিয়ার স্বাস্থ্যকর ক্যাম্পাস গড়ার লক্ষ্যে শিবিরের পরিচ্ছন্নতা অভিযান নোয়াখালীতে হামলার প্রতিবাদে বাগেরহাট পি.সি. কলেজে কোরআন বিতরণ বাগেরহাটে মাদ্রাসার গভর্নিং কমিটির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হুমকি-ধামকি ও মারধর সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার ফিকহ বিভাগে সাফল্যের জোয়ার শরীয়তপুরে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে হেযবুত তাওহীদের মতবিনিময় সভা নলডাঙ্গায় আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস ২০২৫ পালিত নাটোরের সিংড়ায় ৯ বছরের শিশু ধর্ষণের শিকার: অভিযুক্ত রানা পলাতক কুমিল্লায় পিআর পদ্ধতিসহ ৫দফা দাবিতে জামায়াতের গণমিছিল ও সমাবেশ নোবিপ্রবিতে শীঘ্রই হচ্ছে ছাত্রদলের কমিটি, আলোচনায় জুলাই যোদ্ধা হাসিব ঐশ্বরিয়ার প্রথম পারিশ্রমিক কত ছিল?

তিতুমীর কলেজে বর্ষবরণে রাজনৈতিক রঙ, শিক্ষার্থীদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

ছবি: সংগৃহীত

পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে সরকারি তিতুমীর কলেজে আয়োজিত বর্ষবরণ শোভাযাত্রায় তিতুমীর কলেজ শাখা ছাত্রদলের শীর্ষ নেতাদের উপস্থিতি নিয়ে কলেজজুড়ে শুরু হয়েছে আলোচনা ও সমালোচনা।

রবিবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ১০টায় কলেজের পুরাতন বিজ্ঞান ভবনের সামনে থেকে বর্ষবরণ শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। শোভাযাত্রার অগ্রভাগে ছিলেন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. ছদরুদ্দীন আহমদ, উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান এবং তাদের মাঝখানে অবস্থান নেন ছাত্রদল শাখার আহ্বায়ক ইমাম হোসাইন ও সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম মোল্লা। এছাড়াও নববর্ষের আয়োজনে মঞ্চে উঠে বক্তব্যও প্রদান করেন ছাত্রদল ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা ৷ কলেজে রাজনৈতিক সংগঠনের এমন কার্যক্রম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। অনেকেই এই ঘটনাকে “পুনরায় রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার” ও “স্বৈরাচারের পুনরাবৃত্তি” বলে মন্তব্য করেন।

এই প্রসঙ্গে কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. ছদরুদ্দীন আহমদ বলেন, আমরা নির্দিষ্ট কাউকে বিশেষভাবে আমন্ত্রণ জানাইনি৷ আজকের এই আনন্দের দিনে স্বতস্ফুর্তভাবে বক্তব্য দেয়ার জন্য অনুষ্ঠানটি উন্মুক্ত করে দিয়েছিলাম৷ তখন তারা বক্তব্য দেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে৷ একই সাথে অনুষ্ঠানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুজন প্রতিনিধি বক্তব্য দেন৷

একই সাথে র‍্যালিতে সামনের সারিতে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে তিনি জানান, ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ এসেছিলো আমার সাথে ছবি উঠাতে৷ ছবি উঠিয়ে খুব অল্প সময় অবস্থান নিয়ে তারা চলে যান৷ মূলত তারা ঐভাবে র‍্যালিতে অংশগ্রহণ করেননি৷

এই বিষয় জানতে চাইলে ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইমাম হোসাইন বলেন, প্রিন্সিপাল স্যার যেহেতু বলেছেন যে আমাদের দাওয়াত দেওয়া হয়নি, তাহলে উনাকে জিজ্ঞাসা করা উচিত উনি কেন আমাদের সামনে জায়গা দিলেন? স্যার আমাদের ডাকলেন শুধু ছবি তোলার জন্য আমরা গিয়েছি, ছবি তুলে চলে এসেছি। পুরো র‍্যালিতে আমরা ছিলাম না। যারা ফেসবুকে মন্তব্য করেছে, তারা গুটিকয়েক শিক্ষার্থী। স্যার আমাকে একটা মাফলারও উপহার দিয়েছেন যদি দাওয়াতই না দেন, তাহলে মাফলারটা কীভাবে উপহার দিলেন?

তবে এ অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষার্থীরা। শহিদুল ইসলাম নামের একজন শিক্ষার্থী ফেসবুকে মন্তব্য করে বলেন, এটা স্বাভাবিক বিষয় কলেজ প্রশাসন তাদের ( ছাত্রদলের) কাছে অসহায়। এভাবে একটা প্রতিষ্ঠান চলতে পারেনা। কলেজ প্রশাসনের উচিত নিজেদের উপর আস্থা রেখে অন্য সকল রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের মতো থাকতে দেওয়া।

আরেক শিক্ষার্থী মুজাহিদ মর্তূজা কমেন্ট করেন , এরা প্রভু (ছাত্রদল) আর সাধারণ শিক্ষার্থীরা দাস, এমনই ভাবে রাজনৈতিক ভাইয়েরা।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন তিতুমীর কলেজ শাখার আহ্বায়ক আলা উদ্দিন মিনহাজ বলেন, বিগত দিনে আমরা ছাত্রলীগের এমন আচরণ দেখেছি অনুষ্ঠানে শিক্ষকদের সঙ্গে থাকা, শিক্ষকদের পাশে মঞ্চে বসা এসব পতিত সরকারের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের সংস্কৃতি। জুলাই বিপ্লবের পর আমরা এই পচাঁ সংস্কৃতি বন্ধ করেছি। আমরা কখনোই এমন সংস্কৃতি সমর্থন করি না। আমাদের মনে হয়, প্রশাসনের কেউ কেউ নিজেরাই স্বাধীনভাবে কাজ করতে চান না।

মঞ্চে উঠে বক্তব্য প্রদান প্রসঙ্গে এই নেতা জানান, ছাত্রসংগঠনগুলোর বার্তাটা পৌঁছে দিতে মঞ্চে উঠে বক্তব্য প্রদান করে৷ ক্যাম্পাসে সব রাজনৈতিক সংগঠন এই সুযোগ পাচ্ছে কি না এমন প্রশ্নে এই নেতা জানান, ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক সংগঠনগুলো সুযোগ পাচ্ছে কিনা এটি প্রশাসন নিশ্চিত করবে৷ আমরা বলতে চাই সবাই সমান সুযোগ পাক৷

অনেকেই আবার এই বিষয়টিকে প্রগতিশীল রাজনীতি বলে আখ্যায়িত করেছেন, তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আফিয়া অর্ণি মন্তব্যে করেন, ক্যাম্পাস এর প্রোগ্রাম গুলোতে সকল ছাত্র-সংগঠন গুলোকে দাওয়াত করা হয়। এখন কেও যদি না যায়, সেটা তার বেপার। সেজন্য কি অন্য কেও যাবেনা? দাওয়াত করা হয়েছে বলেই ছাত্রদলের আহ্বায়ক সেখানে গেছেন। এবং শিক্ষকরাই সুযোগ করে দিয়েছেন।

আরেক শিক্ষার্থী কলেজের শহীদ মামুন হল ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আবিদ হাসান নাইম মন্তব্য করে বলেন, আমার প্রশ্ন অন্য রাজনৈতিক দল কেনো অংশগ্রহণ করেনি? তারা কি পহেলা বৈশাখকে বাঙালির সাংস্কৃতির অংশ মনে করে না?

এই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবির তিতুমীর কলেজ শাখার সভাপতি আলফে সানি বলেন, আনন্দ শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করার জন্য কলেজ প্রশাসন থেকে আমাদেরকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। অধ্যক্ষের সাথে ছাত্রদলের আহ্বায়কের শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণের বিষয় জানতে চাইলে এই বিষয় তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ঢাকা আলিয়ার স্বাস্থ্যকর ক্যাম্পাস গড়ার লক্ষ্যে শিবিরের পরিচ্ছন্নতা অভিযান

তিতুমীর কলেজে বর্ষবরণে রাজনৈতিক রঙ, শিক্ষার্থীদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

আপডেট সময় : ০৮:৪৯:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫

পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে সরকারি তিতুমীর কলেজে আয়োজিত বর্ষবরণ শোভাযাত্রায় তিতুমীর কলেজ শাখা ছাত্রদলের শীর্ষ নেতাদের উপস্থিতি নিয়ে কলেজজুড়ে শুরু হয়েছে আলোচনা ও সমালোচনা।

রবিবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ১০টায় কলেজের পুরাতন বিজ্ঞান ভবনের সামনে থেকে বর্ষবরণ শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। শোভাযাত্রার অগ্রভাগে ছিলেন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. ছদরুদ্দীন আহমদ, উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান এবং তাদের মাঝখানে অবস্থান নেন ছাত্রদল শাখার আহ্বায়ক ইমাম হোসাইন ও সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম মোল্লা। এছাড়াও নববর্ষের আয়োজনে মঞ্চে উঠে বক্তব্যও প্রদান করেন ছাত্রদল ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা ৷ কলেজে রাজনৈতিক সংগঠনের এমন কার্যক্রম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। অনেকেই এই ঘটনাকে “পুনরায় রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার” ও “স্বৈরাচারের পুনরাবৃত্তি” বলে মন্তব্য করেন।

এই প্রসঙ্গে কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. ছদরুদ্দীন আহমদ বলেন, আমরা নির্দিষ্ট কাউকে বিশেষভাবে আমন্ত্রণ জানাইনি৷ আজকের এই আনন্দের দিনে স্বতস্ফুর্তভাবে বক্তব্য দেয়ার জন্য অনুষ্ঠানটি উন্মুক্ত করে দিয়েছিলাম৷ তখন তারা বক্তব্য দেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে৷ একই সাথে অনুষ্ঠানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুজন প্রতিনিধি বক্তব্য দেন৷

একই সাথে র‍্যালিতে সামনের সারিতে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে তিনি জানান, ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ এসেছিলো আমার সাথে ছবি উঠাতে৷ ছবি উঠিয়ে খুব অল্প সময় অবস্থান নিয়ে তারা চলে যান৷ মূলত তারা ঐভাবে র‍্যালিতে অংশগ্রহণ করেননি৷

এই বিষয় জানতে চাইলে ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইমাম হোসাইন বলেন, প্রিন্সিপাল স্যার যেহেতু বলেছেন যে আমাদের দাওয়াত দেওয়া হয়নি, তাহলে উনাকে জিজ্ঞাসা করা উচিত উনি কেন আমাদের সামনে জায়গা দিলেন? স্যার আমাদের ডাকলেন শুধু ছবি তোলার জন্য আমরা গিয়েছি, ছবি তুলে চলে এসেছি। পুরো র‍্যালিতে আমরা ছিলাম না। যারা ফেসবুকে মন্তব্য করেছে, তারা গুটিকয়েক শিক্ষার্থী। স্যার আমাকে একটা মাফলারও উপহার দিয়েছেন যদি দাওয়াতই না দেন, তাহলে মাফলারটা কীভাবে উপহার দিলেন?

তবে এ অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষার্থীরা। শহিদুল ইসলাম নামের একজন শিক্ষার্থী ফেসবুকে মন্তব্য করে বলেন, এটা স্বাভাবিক বিষয় কলেজ প্রশাসন তাদের ( ছাত্রদলের) কাছে অসহায়। এভাবে একটা প্রতিষ্ঠান চলতে পারেনা। কলেজ প্রশাসনের উচিত নিজেদের উপর আস্থা রেখে অন্য সকল রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের মতো থাকতে দেওয়া।

আরেক শিক্ষার্থী মুজাহিদ মর্তূজা কমেন্ট করেন , এরা প্রভু (ছাত্রদল) আর সাধারণ শিক্ষার্থীরা দাস, এমনই ভাবে রাজনৈতিক ভাইয়েরা।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন তিতুমীর কলেজ শাখার আহ্বায়ক আলা উদ্দিন মিনহাজ বলেন, বিগত দিনে আমরা ছাত্রলীগের এমন আচরণ দেখেছি অনুষ্ঠানে শিক্ষকদের সঙ্গে থাকা, শিক্ষকদের পাশে মঞ্চে বসা এসব পতিত সরকারের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের সংস্কৃতি। জুলাই বিপ্লবের পর আমরা এই পচাঁ সংস্কৃতি বন্ধ করেছি। আমরা কখনোই এমন সংস্কৃতি সমর্থন করি না। আমাদের মনে হয়, প্রশাসনের কেউ কেউ নিজেরাই স্বাধীনভাবে কাজ করতে চান না।

মঞ্চে উঠে বক্তব্য প্রদান প্রসঙ্গে এই নেতা জানান, ছাত্রসংগঠনগুলোর বার্তাটা পৌঁছে দিতে মঞ্চে উঠে বক্তব্য প্রদান করে৷ ক্যাম্পাসে সব রাজনৈতিক সংগঠন এই সুযোগ পাচ্ছে কি না এমন প্রশ্নে এই নেতা জানান, ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক সংগঠনগুলো সুযোগ পাচ্ছে কিনা এটি প্রশাসন নিশ্চিত করবে৷ আমরা বলতে চাই সবাই সমান সুযোগ পাক৷

অনেকেই আবার এই বিষয়টিকে প্রগতিশীল রাজনীতি বলে আখ্যায়িত করেছেন, তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আফিয়া অর্ণি মন্তব্যে করেন, ক্যাম্পাস এর প্রোগ্রাম গুলোতে সকল ছাত্র-সংগঠন গুলোকে দাওয়াত করা হয়। এখন কেও যদি না যায়, সেটা তার বেপার। সেজন্য কি অন্য কেও যাবেনা? দাওয়াত করা হয়েছে বলেই ছাত্রদলের আহ্বায়ক সেখানে গেছেন। এবং শিক্ষকরাই সুযোগ করে দিয়েছেন।

আরেক শিক্ষার্থী কলেজের শহীদ মামুন হল ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আবিদ হাসান নাইম মন্তব্য করে বলেন, আমার প্রশ্ন অন্য রাজনৈতিক দল কেনো অংশগ্রহণ করেনি? তারা কি পহেলা বৈশাখকে বাঙালির সাংস্কৃতির অংশ মনে করে না?

এই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবির তিতুমীর কলেজ শাখার সভাপতি আলফে সানি বলেন, আনন্দ শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করার জন্য কলেজ প্রশাসন থেকে আমাদেরকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। অধ্যক্ষের সাথে ছাত্রদলের আহ্বায়কের শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণের বিষয় জানতে চাইলে এই বিষয় তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।