ঢাকা ০৯:৪৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পরিবেশ নষ্ট করে, এমন বক্তব্য পরিহার করুন : নরেন্দ্র মোদি

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ছবি : সংগৃহীত

প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে প্রথম বৈঠকে বাংলাদেশের সঙ্গে ‘বাস্তবতার নিরীখে ইতিবাচক ও গঠনমূলক সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার কথা বলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৈঠকে ‘পরিবেশ নষ্ট’ করে, এমন বক্তব্য পরিহার করার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।

শুক্রবার (৪ এপ্রিল) বিমসটেক ষষ্ঠ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে সাইডলাইনে দুই নেতা বৈঠকে মিলিত হন।

মোদি-ইউনূসের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদদের সঙ্গে কথা বলেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি। এ সময় তিনি মোদির এই অবস্থানের কথা তুলে ধরেন তিনি।

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘বাংলাদেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে “জনগণ-কেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গিতে” বিশ্বাস করার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। দুই দেশের দীর্ঘদিনের সহযোগিতা যে বাস্তবিক ফল বয়ে এনেছে, তাও তিনি বিশেষভাবে বলেছেন।’

তিনি বলেন, ‘এই মনোভাব থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে বাস্তবতার নিরিখে ইতিবাচক ও গঠনমূলক সম্পর্ক গড়ার বিষয়ে ভারতের আকাঙ্ক্ষার কথা আবারও অধ্যাপক ইউনূসের কাছে তুলে ধরেছেন তিনি (মোদি)। এ ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী আরও আহ্বান জানিয়েছেন, পরিবেশ নষ্ট করে এমন কোনো বক্তব্য পরিহার করাই সর্বোত্তম।’

‘গণতান্ত্রিক, স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ, প্রগতিশীল এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক’ বাংলাদেশের প্রতি ভারতের সমর্থনের কথাও বৈঠকে পুনর্ব্যক্ত করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।

বিক্রম মিশ্রি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী (মোদি) আশা প্রকাশ করেছেন, দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা চলমান থাকবে এবং দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘ ও পারস্পরিকভাবে লাভজনক দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের স্বার্থে গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে বিষয়গুলোর সমাধান হবে।’

বৈঠকে বাংলাদেশে ‘সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের’ বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়ে সেসব ‘নৃশংসতার’ পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি।

এ বিষয়ে বিক্রম মিশ্রি বলেন, ‘বাংলাদেশে হিন্দুসহ সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার বিষয়ে ভারতের উদ্বেগের কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, বাংলাদেশ সরকার তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করবে। একই সঙ্গে তাদের ওপর ঘটানো নৃশংসতার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করবে।’

সীমান্ত নিরাপত্তার প্রশ্নে বৈঠকে আলোচনা হওয়ার কথা তুলে ধরে সচিব বলেন, ‘সীমান্তের ক্ষেত্রে… সীমান্ত নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য আইনের কঠোর প্রয়োগ এবং বৈধ সীমান্ত পারাপার, বিশেষ করে রাতের বেলায় বন্ধ করা জরুরি।’

ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বেশ কিছু দ্বিপক্ষীয় আলোচনার প্ল্যাটফর্ম আছে জানিয়ে তিনি বলেন, তারা নানা দিক পর্যালোচনার জন্য বসতে এবং সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে আগ্রহী।

বিমসটেকের পরবর্তী সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। পাশাপাশি বাংলাদেশের নেতৃত্বে জোটের আঞ্চলিক সহযোগিতা আরও এগিয়ে যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন।

ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘দুই নেতা অন্যান্য বিষয়েও মতবিনিময় করেছেন এবং আঞ্চলিক সমন্বয়কে এগিয়ে নিতে সংলাপ এবং সহযোগিতা ত্বরান্বিত করার বিষয়ে একমত পোষণ করেছেন।’

কেকে

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনপ্রিয় সংবাদ

পরিবেশ নষ্ট করে, এমন বক্তব্য পরিহার করুন : নরেন্দ্র মোদি

আপডেট সময় : ১০:৩৬:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ এপ্রিল ২০২৫

প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে প্রথম বৈঠকে বাংলাদেশের সঙ্গে ‘বাস্তবতার নিরীখে ইতিবাচক ও গঠনমূলক সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার কথা বলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৈঠকে ‘পরিবেশ নষ্ট’ করে, এমন বক্তব্য পরিহার করার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।

শুক্রবার (৪ এপ্রিল) বিমসটেক ষষ্ঠ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে সাইডলাইনে দুই নেতা বৈঠকে মিলিত হন।

মোদি-ইউনূসের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদদের সঙ্গে কথা বলেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি। এ সময় তিনি মোদির এই অবস্থানের কথা তুলে ধরেন তিনি।

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘বাংলাদেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে “জনগণ-কেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গিতে” বিশ্বাস করার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। দুই দেশের দীর্ঘদিনের সহযোগিতা যে বাস্তবিক ফল বয়ে এনেছে, তাও তিনি বিশেষভাবে বলেছেন।’

তিনি বলেন, ‘এই মনোভাব থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে বাস্তবতার নিরিখে ইতিবাচক ও গঠনমূলক সম্পর্ক গড়ার বিষয়ে ভারতের আকাঙ্ক্ষার কথা আবারও অধ্যাপক ইউনূসের কাছে তুলে ধরেছেন তিনি (মোদি)। এ ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী আরও আহ্বান জানিয়েছেন, পরিবেশ নষ্ট করে এমন কোনো বক্তব্য পরিহার করাই সর্বোত্তম।’

‘গণতান্ত্রিক, স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ, প্রগতিশীল এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক’ বাংলাদেশের প্রতি ভারতের সমর্থনের কথাও বৈঠকে পুনর্ব্যক্ত করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।

বিক্রম মিশ্রি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী (মোদি) আশা প্রকাশ করেছেন, দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা চলমান থাকবে এবং দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘ ও পারস্পরিকভাবে লাভজনক দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের স্বার্থে গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে বিষয়গুলোর সমাধান হবে।’

বৈঠকে বাংলাদেশে ‘সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের’ বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়ে সেসব ‘নৃশংসতার’ পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি।

এ বিষয়ে বিক্রম মিশ্রি বলেন, ‘বাংলাদেশে হিন্দুসহ সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার বিষয়ে ভারতের উদ্বেগের কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, বাংলাদেশ সরকার তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করবে। একই সঙ্গে তাদের ওপর ঘটানো নৃশংসতার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করবে।’

সীমান্ত নিরাপত্তার প্রশ্নে বৈঠকে আলোচনা হওয়ার কথা তুলে ধরে সচিব বলেন, ‘সীমান্তের ক্ষেত্রে… সীমান্ত নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য আইনের কঠোর প্রয়োগ এবং বৈধ সীমান্ত পারাপার, বিশেষ করে রাতের বেলায় বন্ধ করা জরুরি।’

ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বেশ কিছু দ্বিপক্ষীয় আলোচনার প্ল্যাটফর্ম আছে জানিয়ে তিনি বলেন, তারা নানা দিক পর্যালোচনার জন্য বসতে এবং সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে আগ্রহী।

বিমসটেকের পরবর্তী সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। পাশাপাশি বাংলাদেশের নেতৃত্বে জোটের আঞ্চলিক সহযোগিতা আরও এগিয়ে যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন।

ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘দুই নেতা অন্যান্য বিষয়েও মতবিনিময় করেছেন এবং আঞ্চলিক সমন্বয়কে এগিয়ে নিতে সংলাপ এবং সহযোগিতা ত্বরান্বিত করার বিষয়ে একমত পোষণ করেছেন।’

কেকে