ঢাকা ০৯:১০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ২৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আফ্রিকান ইউনিয়নের সম্মেলন থেকে বহিষ্কার ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত নেতানিয়াহুর বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা এড়াতে নতুন কৌশল নেতানিয়াহুর গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে জয়পুরহাটে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ ফিলিস্তিনে গ’ণ’হ’ত্যার প্রতিবাদে শাজাহানপুর উপজেলা জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল বৈশাখে পান্তা-ইলিশ খাওয়া সংস্কৃতির অংশ নয়: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা গাজায় ইসরায়েলের নৃশংস গণহত্যা ও বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে কুমিল্লা মহানগরী জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ ফিলিস্তিনি মুসলমানদের প্রতি সংহতি জানিয়ে ঝিনাইদহে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ ৯৯% সম্পদ দান করব, ১% সন্তানদের জন্য রেখে যাবো: বিল গেটস

শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় বীর সন্তানদের স্মরণ করছে জাতি

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুলের শ্রদ্ধা জানিয়ে বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছে সর্বস্তরের জনগণ।ছবি: সংগৃহীত

৫৫তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করছে জাতি। সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে ৭১ এর বীর সেনানীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

শহিদের চরণে ভালোবাসার ফুল দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি, বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও উপদেষ্টামণ্ডলী।

রক্তিম সূর্য স্বাধীন বাংলাদেশের বুকে। মনে করিয়ে দেয় ৫৪ বছর আগের ২৫ মার্চের বিভীষিকাময় কালরাত পার করে স্বাধীনতার প্রদীপ্ত উচ্চারণে বলিষ্ঠ জাতির কথা। বিশ্বের বুকে যাদের পরিচয় হার না মানা জাতি হিসেবে।

৭১ এর উত্তাল মার্চে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনতে মুক্তিযুদ্ধের সূচনা হয় এই দিনেই। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গেই জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

রক্ত দিয়ে বিজয় ছিনিয়ে আনা বীর সেনানীদের প্রতি ভোর ৫টা ৫০ মিনিটে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন রাষ্ট্রপতি। এরপরই স্মৃতির মিনারে ভালোবাসার ফুল দেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মাদ ইউনূস। পিনপতন নীরবতায় স্মরণ করেন জাতির সূর্য সন্তানদের। সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর চৌকস দল জানায় রাষ্ট্রীয় সালাম। এ সময় বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর।

এরপর শ্রদ্ধা জানান বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা।

শ্রদ্ধা জানান উপদেষ্টামণ্ডলী ও বিদেশি কূটনীতিকরাও।

এরপরই স্মৃতিসৌধ খুলে দেওয়া হয় সর্বসাধারণের জন্য। সর্বস্তরের মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হয় ৮৪ একরের জাতীয় স্মৃতিসৌধ। ফুলে ফুলে ভরে ওঠে মূল বেদি।

৭১ এর বীর সেনানীদের উত্তরসূরি ২৪ এর ছাত্র জনতা রক্তের বিনিময়ে বিদায় ঘণ্টা বাজিয়েছে স্বৈরশাসকের। লাল সবুজের পতাকাকে দিয়েছে অনন্য উচ্চতা। তাইতো, শহিদদের চরণে ভালোবাসার ফুল দিতে আসা মানুষের প্রত্যাশা, আগামীর বাংলাদেশ হবে বৈষম্যহীন। লাখো প্রাণের দামে কেনা স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ন রেখেই বীরদর্পে এগিয়ে যাবে লাল সবুজের পতাকা, প্রিয় বাংলাদেশ।

কেকে

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনপ্রিয় সংবাদ

নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ

শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় বীর সন্তানদের স্মরণ করছে জাতি

আপডেট সময় : ০৩:২৯:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫

৫৫তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করছে জাতি। সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে ৭১ এর বীর সেনানীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

শহিদের চরণে ভালোবাসার ফুল দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি, বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও উপদেষ্টামণ্ডলী।

রক্তিম সূর্য স্বাধীন বাংলাদেশের বুকে। মনে করিয়ে দেয় ৫৪ বছর আগের ২৫ মার্চের বিভীষিকাময় কালরাত পার করে স্বাধীনতার প্রদীপ্ত উচ্চারণে বলিষ্ঠ জাতির কথা। বিশ্বের বুকে যাদের পরিচয় হার না মানা জাতি হিসেবে।

৭১ এর উত্তাল মার্চে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনতে মুক্তিযুদ্ধের সূচনা হয় এই দিনেই। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গেই জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

রক্ত দিয়ে বিজয় ছিনিয়ে আনা বীর সেনানীদের প্রতি ভোর ৫টা ৫০ মিনিটে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন রাষ্ট্রপতি। এরপরই স্মৃতির মিনারে ভালোবাসার ফুল দেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মাদ ইউনূস। পিনপতন নীরবতায় স্মরণ করেন জাতির সূর্য সন্তানদের। সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর চৌকস দল জানায় রাষ্ট্রীয় সালাম। এ সময় বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর।

এরপর শ্রদ্ধা জানান বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা।

শ্রদ্ধা জানান উপদেষ্টামণ্ডলী ও বিদেশি কূটনীতিকরাও।

এরপরই স্মৃতিসৌধ খুলে দেওয়া হয় সর্বসাধারণের জন্য। সর্বস্তরের মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হয় ৮৪ একরের জাতীয় স্মৃতিসৌধ। ফুলে ফুলে ভরে ওঠে মূল বেদি।

৭১ এর বীর সেনানীদের উত্তরসূরি ২৪ এর ছাত্র জনতা রক্তের বিনিময়ে বিদায় ঘণ্টা বাজিয়েছে স্বৈরশাসকের। লাল সবুজের পতাকাকে দিয়েছে অনন্য উচ্চতা। তাইতো, শহিদদের চরণে ভালোবাসার ফুল দিতে আসা মানুষের প্রত্যাশা, আগামীর বাংলাদেশ হবে বৈষম্যহীন। লাখো প্রাণের দামে কেনা স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ন রেখেই বীরদর্পে এগিয়ে যাবে লাল সবুজের পতাকা, প্রিয় বাংলাদেশ।

কেকে