মো. রাফাসান আলম,রাবি প্রতিনিধি:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) জনসংযোগ দপ্তরের অনুসন্ধান কাম তথ্য অফিসার পদে রাশেদুল ইসলামকে এডহক ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া নিয়ে একটি মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছে স্টুডেন্ট রাইটস অ্যাসোসিয়েশন (এসআরএ)।
সংবাদ সম্মেলনে একদল ব্যক্তি দাবি করেছেন, উক্ত নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্টুডেন্ট রাইটস অ্যাসোসিয়েশন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মেহেদী সজিব, ফাহিম রেজা ও আরো কয়েকজন সমন্বয়ক নিজেদের প্রভাব খাটিয়েছে। তবে প্রমাণ চাওয়া হলে তারা কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হন।
এ বিষয়ে স্টুডেন্ট রাইটস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মেহেদী সজীব ও সাধারণ সম্পাদক ফাহিম রেজা এক যৌথ বিবৃতিতে জানান, এসআরএ’র কোনো নেতৃবৃন্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন কর্তৃক যাবতীয় নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বিন্দুমাত্রও সংশ্লিষ্ট নয়। অন্যান্য সামাজিক সংগঠনগুলোর মতোই আমরা আমাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছি যা ইতোমধ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছে ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা লাভ করেছে। আমাদের এই ধরনের শিক্ষার্থী সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমগুলোকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিতর্কিত করতে কতিপয় নামসর্বস্ব সংগঠনের কয়েকজন ব্যক্তি মিলে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। যার বিবেচনার ভার বিশ্ববিদ্যালয়ের সচেতন শিক্ষার্থীসমাজের উপর রইলো।
এছাড়াও, বিজ্ঞপ্তিতে রাবির উপ-উপাচার্য, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসকসহ অন্যান্য নিয়োগে ১২ জন সমন্বয়কের প্রভাব খাটানোর যে অভিযোগ করা হয়েছে তার তীব্র নিন্দা জানান।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা বজায় রাখা জরুরি। একই সঙ্গে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ সম্পন্ন করার দাবি জানানো হয়। পাশাপাশি ভিত্তিহীন অভিযোগ ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সচেতন শিক্ষার্থী সমাজকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
এমএস