ঢাকা ০১:২২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কলকাতার মতো শহর পৃথিবীতে নেই : জয়া আহসান চলতি মাসেই জুলাই সনদ প্রকাশ করতে হবে : রাশেদ প্রধান জুলাই সনদ নিয়ে টালবাহানা সহ্য করা হবে না : নাহিদ ইসলাম সংস্কারবিহীন কোনো নির্বাচন জামায়াত গ্রহণ করবে না: তাহের দুঃখিত, এবার আর তা হবে না: প্রেস সচিব জুলাই অভ‍্যুত্থান স্মরণে মাসব্যাপী কর্মসূচি উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা স্বৈরাচারের লক্ষণ দেখামাত্রই যেন বিনাশ করতে পারি: প্রধান উপদেষ্টা জুলাই ঘোষণাপত্র দেবে অন্তর্বর্তী সরকার, কোনো দল বা ব্যক্তি নয় : জুলাই ঐক্য পদ্মা সেতুর মামলার প্রতিবেদন গায়ের জোরে দিয়েছে বিগত কমিশন : দুদক চেয়ারম্যান সবুজ পৃথিবী চাই: বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ ঢাকা আলিয়ার বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

রাবি ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে অর্ধশতাধিক অবৈধ দোকান উচ্ছেদ

ছবি : সংগৃহীত

মো. রাফাসান আলম, রাবি প্রতিনিধি:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সৌন্দর্য ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে গড়ে ওঠা অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পূর্বঘোষিত নির্দেশনা অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে প্রায় ৫০টি দোকান অপসারণ করা হয়।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনের কথা বিবেচনা করে কিছু ভ্রাম্যমাণ দোকান রাখার অনুমতি দেওয়া হলেও ভবিষ্যতে নির্দিষ্ট জায়গায় শৃঙ্খলিত দোকান স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে। অভিযানকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান ও প্রক্টরিয়াল টিম, এস্টেট দপ্তরের সহকারী রেজিস্ট্রার মো. রজব আলী উপস্থিত ছিলেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, ক্যাম্পাসের টুকিটাকি চত্বর, ইসমাইল হোসেন সিরাজী একাডেমিক ভবনের সামনে, মমতাজ উদ্দিন কলা ভবন, শহীদুল্লাহ্ কলা ভবন, মেয়েদের হলগুলোর সামনে, ইবলিশ চত্বরের পাশে, ডিনস’র সামনে, কাজী নজরুল ইসলাম অডিটোরিয়াম, আমতলা, স্টেডিয়াম মার্কেট, বিজ্ঞান ভবনগুলোর পাশসহ বিভিন্ন পয়েন্টে এই অভিযান পরিচালনা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও এস্টেট দপ্তর।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট দপ্তরের সহকারী রেজিস্ট্রার মো. রজব আলী বলেন, ‘ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য রক্ষার্থে আমরা ক্যাম্পাসের বিভিন্ন পয়েন্টে অবৈধ দোকান উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছি। এর আগে আমরা দুইবার এসব দোকান সরিয়ে নেওয়ার জন্য নোটিশ প্রদান ও অভিযান পরিচালনা করেছি। সর্বশেষ গত ২৪ ফেব্রুয়ারি আমরা মাইকিং ও চিঠি দিয়ে তাদের দোকান সরিয়ে নেওয়ার জন্য বলি। নির্ধারিত সময় শেষে অনেকেই সরিয়ে নিয়েছে। তবে যেসব দোকান এখনও রয়ে গেছে সেগুলো আজ আমরা উচ্ছেদ করেছি।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান বলেন, ‘ক্যাম্পাসে যারা অবৈধ দোকান পরিচালনা করছেন, তাদেরকে একটা নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। এ সময়ের মধ্যে তারা সরে না যাওয়ায় এস্টেট দপ্তরের সঙ্গে আমরা অভিযান পরিচালনা করেছি। তবে শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে প্রতিদিন চলে যাবে—এমন শর্তে কিছু ভ্রাম্যমাণ দোকান রাখা হয়েছে। পরবর্তীতে আমরা কিছু জায়গা চিহ্নিত করে সেখানে প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে দোকান স্থাপন করব, যা ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য বজায় রাখবে।’

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

কলকাতার মতো শহর পৃথিবীতে নেই : জয়া আহসান

রাবি ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে অর্ধশতাধিক অবৈধ দোকান উচ্ছেদ

আপডেট সময় : ১১:০৭:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মো. রাফাসান আলম, রাবি প্রতিনিধি:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সৌন্দর্য ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে গড়ে ওঠা অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পূর্বঘোষিত নির্দেশনা অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে প্রায় ৫০টি দোকান অপসারণ করা হয়।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনের কথা বিবেচনা করে কিছু ভ্রাম্যমাণ দোকান রাখার অনুমতি দেওয়া হলেও ভবিষ্যতে নির্দিষ্ট জায়গায় শৃঙ্খলিত দোকান স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে। অভিযানকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান ও প্রক্টরিয়াল টিম, এস্টেট দপ্তরের সহকারী রেজিস্ট্রার মো. রজব আলী উপস্থিত ছিলেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, ক্যাম্পাসের টুকিটাকি চত্বর, ইসমাইল হোসেন সিরাজী একাডেমিক ভবনের সামনে, মমতাজ উদ্দিন কলা ভবন, শহীদুল্লাহ্ কলা ভবন, মেয়েদের হলগুলোর সামনে, ইবলিশ চত্বরের পাশে, ডিনস’র সামনে, কাজী নজরুল ইসলাম অডিটোরিয়াম, আমতলা, স্টেডিয়াম মার্কেট, বিজ্ঞান ভবনগুলোর পাশসহ বিভিন্ন পয়েন্টে এই অভিযান পরিচালনা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও এস্টেট দপ্তর।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট দপ্তরের সহকারী রেজিস্ট্রার মো. রজব আলী বলেন, ‘ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য রক্ষার্থে আমরা ক্যাম্পাসের বিভিন্ন পয়েন্টে অবৈধ দোকান উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছি। এর আগে আমরা দুইবার এসব দোকান সরিয়ে নেওয়ার জন্য নোটিশ প্রদান ও অভিযান পরিচালনা করেছি। সর্বশেষ গত ২৪ ফেব্রুয়ারি আমরা মাইকিং ও চিঠি দিয়ে তাদের দোকান সরিয়ে নেওয়ার জন্য বলি। নির্ধারিত সময় শেষে অনেকেই সরিয়ে নিয়েছে। তবে যেসব দোকান এখনও রয়ে গেছে সেগুলো আজ আমরা উচ্ছেদ করেছি।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান বলেন, ‘ক্যাম্পাসে যারা অবৈধ দোকান পরিচালনা করছেন, তাদেরকে একটা নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। এ সময়ের মধ্যে তারা সরে না যাওয়ায় এস্টেট দপ্তরের সঙ্গে আমরা অভিযান পরিচালনা করেছি। তবে শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে প্রতিদিন চলে যাবে—এমন শর্তে কিছু ভ্রাম্যমাণ দোকান রাখা হয়েছে। পরবর্তীতে আমরা কিছু জায়গা চিহ্নিত করে সেখানে প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে দোকান স্থাপন করব, যা ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য বজায় রাখবে।’