ঢাকা ০৬:০১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫, ২৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শবেবরাতে যে আমল-ইবাদত করবেন

ছবি : সংগৃহীত

ইসলাম ধর্মে যে কয়টি তাৎপর্যপূর্ণ রাত রয়েছে, তার মধ্যে একটি পবিত্র শবেবরাত বা লাইলাতুল বরাত। আরবি শাবান মাসের ১৪ তারিখ সূর্য ডোবার সাথে সাথে শবেবরাতের রাত শুরু হয়ে পরদিন ফজর পর্যন্ত এর মাহত্ম্য থাকে। এ রজনিতে আল্লাহতায়ালা সৃষ্টি জগতের সবাইকে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেন বলে বিশ্বাস মুসলমানদের। তাই মহিমান্বিত এই রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পরম করুণাময়ের অনুগ্রহ লাভের আশায় নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, জিকির-আসকার করেন। অনেক দিনে নফল রোজা রাখেন।

তবে শবেবরাতে আলাদা কোনো নামাজ বা ইবাদত নেই। আলাদা কোনো নিয়মও নেই। এই রাতে যত বেশি নফল নামাজ পড়া যায় ততই ভালো।

শবেবরাতের সব ইবাদতই নফল ইবাদত। সাহাবায়ে কেরাম নবীজিকে বললেন, আগেকার যুগের উম্মত দীর্ঘ হায়াত বা জীবন পেত, আমরা তো অল্প কয়েক দিন বাঁচি, তারা ইবাদতের দিক দিয়ে আমাদের থেকে এগিয়ে যাবেন।

তখন নবীজিকে আল্লাহ এমন কিছু রজনী দিয়েছেন, এ রজনীগুলোতে ইবাদত করলে অনেক অনেক সওয়াবের ভাগিদার হওয়া যায়। তবে এ রাতে সবচেয়ে বেশি আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবে। কদরের রাত্রিতে একটা দোয়া পড়া হয় ক্ষমা লাভ করার জন্য। এ দোয়াটা এ রাতেও পড়া যায়।

গুরুত্বপূর্ণ দোয়াটি হলো- للَّهُمَّ إِنَّكَ عَفُوٌّ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّى

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুয়্যুন, তুহিব্বুল আফওয়া, ফাফু আন্নি।

অর্থাৎ : হে আল্লাহ, তুমি ক্ষমাশীল, ক্ষমা পছন্দ করো, অতএব আমাকে ক্ষমা করে দাও।

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, এটা হলো অর্ধ শাবানের রাত (শবেবরাত)। আল্লাহ তায়ালা এ রাতে তার বান্দার প্রতি মনোযোগ দেন। ক্ষমা প্রার্থনাকারীদের ক্ষমা করেন।

অনুগ্রহপ্রার্থীদের অনুগ্রহ করেন আর বিদ্বেষ পোষণকারীদের ছেড়ে দেন তাদের অবস্থাতেই। (তাবারানি ১৯৪)

এ রাতে আল্লাহর বান্দাদের জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেন। মহানবী (সা.) বলেন, এ রাতে আল্লাহতায়ালা বনু কালবের ছাগলগুলোর পশমের চেয়ে বেশিসংখ্যক বান্দাকে ক্ষমা করেন। (ইবন মাজাহ ১৩৮৯)

কেকে

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনপ্রিয় সংবাদ

শবেবরাতে যে আমল-ইবাদত করবেন

আপডেট সময় : ০৩:৪৯:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ইসলাম ধর্মে যে কয়টি তাৎপর্যপূর্ণ রাত রয়েছে, তার মধ্যে একটি পবিত্র শবেবরাত বা লাইলাতুল বরাত। আরবি শাবান মাসের ১৪ তারিখ সূর্য ডোবার সাথে সাথে শবেবরাতের রাত শুরু হয়ে পরদিন ফজর পর্যন্ত এর মাহত্ম্য থাকে। এ রজনিতে আল্লাহতায়ালা সৃষ্টি জগতের সবাইকে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেন বলে বিশ্বাস মুসলমানদের। তাই মহিমান্বিত এই রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পরম করুণাময়ের অনুগ্রহ লাভের আশায় নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, জিকির-আসকার করেন। অনেক দিনে নফল রোজা রাখেন।

তবে শবেবরাতে আলাদা কোনো নামাজ বা ইবাদত নেই। আলাদা কোনো নিয়মও নেই। এই রাতে যত বেশি নফল নামাজ পড়া যায় ততই ভালো।

শবেবরাতের সব ইবাদতই নফল ইবাদত। সাহাবায়ে কেরাম নবীজিকে বললেন, আগেকার যুগের উম্মত দীর্ঘ হায়াত বা জীবন পেত, আমরা তো অল্প কয়েক দিন বাঁচি, তারা ইবাদতের দিক দিয়ে আমাদের থেকে এগিয়ে যাবেন।

তখন নবীজিকে আল্লাহ এমন কিছু রজনী দিয়েছেন, এ রজনীগুলোতে ইবাদত করলে অনেক অনেক সওয়াবের ভাগিদার হওয়া যায়। তবে এ রাতে সবচেয়ে বেশি আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবে। কদরের রাত্রিতে একটা দোয়া পড়া হয় ক্ষমা লাভ করার জন্য। এ দোয়াটা এ রাতেও পড়া যায়।

গুরুত্বপূর্ণ দোয়াটি হলো- للَّهُمَّ إِنَّكَ عَفُوٌّ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّى

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুয়্যুন, তুহিব্বুল আফওয়া, ফাফু আন্নি।

অর্থাৎ : হে আল্লাহ, তুমি ক্ষমাশীল, ক্ষমা পছন্দ করো, অতএব আমাকে ক্ষমা করে দাও।

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, এটা হলো অর্ধ শাবানের রাত (শবেবরাত)। আল্লাহ তায়ালা এ রাতে তার বান্দার প্রতি মনোযোগ দেন। ক্ষমা প্রার্থনাকারীদের ক্ষমা করেন।

অনুগ্রহপ্রার্থীদের অনুগ্রহ করেন আর বিদ্বেষ পোষণকারীদের ছেড়ে দেন তাদের অবস্থাতেই। (তাবারানি ১৯৪)

এ রাতে আল্লাহর বান্দাদের জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেন। মহানবী (সা.) বলেন, এ রাতে আল্লাহতায়ালা বনু কালবের ছাগলগুলোর পশমের চেয়ে বেশিসংখ্যক বান্দাকে ক্ষমা করেন। (ইবন মাজাহ ১৩৮৯)

কেকে