এমএ হালিম,সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা প্রতিনিধি:
মোবাইলে ফোন দিয়ে স্যার না বলে সাহেব বলায় সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার আ ফ ম আনোয়ার হোসেন সুনামগঞ্জ যুব অধিকার পরিষদের নেতৃবৃন্দের উপর উত্তেজিত হয়ে কথা বলার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
বুধবার বিকেলে সুনামগঞ্জ যুব অধিকার পরিষদের নেতৃবৃন্দ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে গিয়ে সাক্ষাৎ করার সময় এই ঘটনাটি ঘটে।
ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশ সুপারের রুমে যুব অধিকার পরিষদের কর্মীরা সোফায় বসে আছেন। এসময় পুলিশ সুপার আ ফ ম আনোয়ার হোসেনের সাথে এক কর্মী কথা বললে তিনি উত্তেজিত হয়ে কথা বলতে থাকেন।এসময় অফিস থেকে বের হয়ে যাওয়ার জন্য চরম ক্ষেপে কথা বলতে থাকেন তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়,৫ আগস্টের পরে ছাত্রলীগের ওপর দায়েরকৃত যুব অধিকার পরিষদের মামলার বিষয়ে জানতে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে যান সুনামগঞ্জ যুব অধিকার পরিষদের নেতৃবৃন্দ।পরে পুলিশ সুপারের রুমে বসেন সকলেই। সেখানে সদর উপজেলা যুব অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক মাছুম আহমেদের সাথে কথা বলতে গিয়ে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। রেগে গিয়ে একপর্যায়ে অফিস থেকে বের হয়ে যাওয়ার জন্য চিৎকার করতে থাকেন।
এবিষয়ে সুনামগঞ্জ যুব অধিকার পরিষদের সাবেক সভাপতি মুজাহিদ আলী খোকন জানান, ছাত্রলীগের উপর দায়েরকৃত মামলার বিষয়ে জানতে পুলিশ সুপারের সাথে দেখা করতে ফোনে এসপি সাহেব বলেছিল তাদের এক কর্মী। পরে তারা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এসে দেখা করলে তাদের সাথে উত্তেজিত হয়ে খারাপ আচরণ করেন এসপি । এসময় অফিস থেকে বের হয়ে যাওয়ার জন্য বলেন তিনি। খারাপ আচরণ করায় বাধ্য হয়ে পুলিশ সুপারের রুম থেকে বের হয়ে আসেন তারা।
সুশাসনের জন্য নাগরিক ( সুজন) সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ফজলুল করিম সাইদ বলেন, ভিডিও টা ফেসবুকে দেখে খুবই খারাপ লেগেছে।এটা খুবই দুঃখজনক। এটা তো জনগণের অফিস জনগণ সেখানে যাবে। এসপি সাহেবের ক্ষমতা থাকলে সমাধান করে দেবেন না হলে বুঝিয়ে বলবেন। এসপি সাহেবের আচরণ বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের কর্মকর্তাদের মতো হোক এটা কেউ চায় না।এই আচরণ একজন নাগরিকের জন্য কাম্য নয়।
এবিষয়ে জানতে চাইলে সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার আ ফ ম আনোয়ার হোসেন জানান, কথাবার্তায় কোন শালীনতা ছিল না তাদের। যেমন ইচ্ছে তেমন করে কথাবার্তা বলেছে তারা। এসময় তাদের বেয়াদবির কারণে উত্তেজিত হয়ে কথা বলছেন বলে স্বীকার করেন তিনি।
এমএস