ঢাকা ০৮:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আজ বিশ্ব ক্যান্সার দিবস

ছবি : সংগৃহীত

ক্যানসারের রোগী প্রতিনিয়ত বাড়ছে। সেই সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাড়েনি সুযোগ-সুবিধা। তবে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে বিশ্ব ক্যানসার দিবস।

এমন পরিস্থিতিতে আজ মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) পালিত হবে বিশ্ব ক্যানসার দিবস। ২০০০ সালে প্যারিসে ক্যানসারের বিরুদ্ধে বিশ্ব সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। ইউনিয়ন ফর ইন্টারন্যাশনাল ক্যানসার কন্ট্রোল (ইউআইসিসি) এমন একটি সংস্থা, যা প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যানসার শনাক্ত করতে মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করে।

এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘ইউনাইটেড বাই ইউনিক’। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, রোগের মধ্যে বিশ্বে দ্বিতীয় সর্বাধিক মৃত্যুর কারণ ক্যানসার। প্রতিবছর এতে মারা যায় প্রায় এক কোটি মানুষ।

বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন, সচেতনতা এবং সুষ্ঠু জীবনযাত্রা দিয়ে একটি বড় অংশের ক্ষেত্রে ঠেকিয়ে রাখা যায় এ মারণরোগ। তাই ক্যানসার নিয়ে আশঙ্কার বদলে সচেতনতার প্রসার বেশি জরুরি। আর সেই কারণেই, প্রতি বছর ৪ ফেব্রুয়ারি পালিত হয় বিশ্ব ক্যানসার দিবস।

এ প্রসঙ্গে ক্যানসার রোগতত্ত্ববিদ অধ্যাপক ডা. হাবিবুল্লাহ তালুকদার বলেন, বিশ্বায়নের প্রভাবে বাংলাদেশেও ফাস্ট ফুড, জাঙ্ক ফুড, ক্যান ফুডের ব্যবহার বেড়েছে। এসব খাবারে প্রচুর পরিমাণ চিনি, লবণ ও ট্রান্সফ্যাটের (রূপান্তরিত চর্বি) মতো ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদান থাকে। এসব খাবার যেমন হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি তৈরি করে, একই সঙ্গে ক্যানসার সৃষ্টির জন্যও দায়ী। এ ছাড়া আরেকটি ক্ষতিকর খাবার হলো রেড মিট বা পশুর মাংস। এসব খাবার এড়িয়ে শাকসবজি ও ফলমুল খাওয়া উচিত। পাশাপাশি আঁশযুক্ত খাবারের প্রতি গুরুত্বারোপ করে অধ্যাপক হাবিবুল্লাহ বলেন, শুধু স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে ক্যান্সার ঝুঁকিমুক্ত থাকা সম্ভব।

গ্লোবাল ক্যানসার ইনসিডেন্স, মর্টালিটি অ্যান্ড প্রিভিলেন্স (গ্লোবোক্যান) পরিসংখ্যানের আলোকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অধীন ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যানসার (আইএআরসি) সর্বশেষ হিসাবে জানিয়েছে, বাংলাদেশে গত পাঁচ বছরে শনাক্তকৃত রোগীর মধ্যে এখনও ক্যানসার আক্রান্ত ২ লাখ ৭১ হাজারের কাছাকাছি।

দিবসটি উদ্‌যাপনের উদ্দেশ্য হলো মারাত্মক ও প্রাণঘাতী এই রোগ সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়া এবং এই রোগে আক্রান্ত রোগীদের সাহায্য করার জন্য মানুষকে উৎসাহিত করা।

কেকে

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনপ্রিয় সংবাদ

আজ বিশ্ব ক্যান্সার দিবস

আপডেট সময় : ১১:৫৮:৫৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ক্যানসারের রোগী প্রতিনিয়ত বাড়ছে। সেই সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাড়েনি সুযোগ-সুবিধা। তবে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে বিশ্ব ক্যানসার দিবস।

এমন পরিস্থিতিতে আজ মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) পালিত হবে বিশ্ব ক্যানসার দিবস। ২০০০ সালে প্যারিসে ক্যানসারের বিরুদ্ধে বিশ্ব সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। ইউনিয়ন ফর ইন্টারন্যাশনাল ক্যানসার কন্ট্রোল (ইউআইসিসি) এমন একটি সংস্থা, যা প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যানসার শনাক্ত করতে মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করে।

এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘ইউনাইটেড বাই ইউনিক’। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, রোগের মধ্যে বিশ্বে দ্বিতীয় সর্বাধিক মৃত্যুর কারণ ক্যানসার। প্রতিবছর এতে মারা যায় প্রায় এক কোটি মানুষ।

বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন, সচেতনতা এবং সুষ্ঠু জীবনযাত্রা দিয়ে একটি বড় অংশের ক্ষেত্রে ঠেকিয়ে রাখা যায় এ মারণরোগ। তাই ক্যানসার নিয়ে আশঙ্কার বদলে সচেতনতার প্রসার বেশি জরুরি। আর সেই কারণেই, প্রতি বছর ৪ ফেব্রুয়ারি পালিত হয় বিশ্ব ক্যানসার দিবস।

এ প্রসঙ্গে ক্যানসার রোগতত্ত্ববিদ অধ্যাপক ডা. হাবিবুল্লাহ তালুকদার বলেন, বিশ্বায়নের প্রভাবে বাংলাদেশেও ফাস্ট ফুড, জাঙ্ক ফুড, ক্যান ফুডের ব্যবহার বেড়েছে। এসব খাবারে প্রচুর পরিমাণ চিনি, লবণ ও ট্রান্সফ্যাটের (রূপান্তরিত চর্বি) মতো ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদান থাকে। এসব খাবার যেমন হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি তৈরি করে, একই সঙ্গে ক্যানসার সৃষ্টির জন্যও দায়ী। এ ছাড়া আরেকটি ক্ষতিকর খাবার হলো রেড মিট বা পশুর মাংস। এসব খাবার এড়িয়ে শাকসবজি ও ফলমুল খাওয়া উচিত। পাশাপাশি আঁশযুক্ত খাবারের প্রতি গুরুত্বারোপ করে অধ্যাপক হাবিবুল্লাহ বলেন, শুধু স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে ক্যান্সার ঝুঁকিমুক্ত থাকা সম্ভব।

গ্লোবাল ক্যানসার ইনসিডেন্স, মর্টালিটি অ্যান্ড প্রিভিলেন্স (গ্লোবোক্যান) পরিসংখ্যানের আলোকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অধীন ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যানসার (আইএআরসি) সর্বশেষ হিসাবে জানিয়েছে, বাংলাদেশে গত পাঁচ বছরে শনাক্তকৃত রোগীর মধ্যে এখনও ক্যানসার আক্রান্ত ২ লাখ ৭১ হাজারের কাছাকাছি।

দিবসটি উদ্‌যাপনের উদ্দেশ্য হলো মারাত্মক ও প্রাণঘাতী এই রোগ সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়া এবং এই রোগে আক্রান্ত রোগীদের সাহায্য করার জন্য মানুষকে উৎসাহিত করা।

কেকে