ঢাকা ০৫:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ ঢাকা আলিয়ার নেতৃত্বে রাকিব মন্ডল ও জিনাত নাটোরে শয়নকক্ষ থেকে যুবদল নেতার অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার অনলাইন স্ক্যাম ও জালিয়াতি প্রতিরোধে নতুন ফিচার আনল হোয়াটসঅ্যাপ অর্থনৈতিক অপরাধে জড়িতদের বিচারে কমিটি গঠন হবে : সৈয়দা রিজওয়ানা বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধে জড়াতে চায় না ভারত বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি ফ্লাইট শিগগিরই চালু হচ্ছে বাংলাদেশের সঙ্গে বৈঠক পাকিস্তানের, যা বলছে গণমাধ্যম ইউরোপীয় ইউনিয়নের ‘নিরাপদ’ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ নাটেরের নলডাঙ্গায় ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে এক ব্যাক্তির মৃত্যু নাটোরে নিহত শিশু জুঁইয়ের পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন তারেক রহমান

মাভাবিপ্রবির এক ছাত্রী হলের কর্মকর্তার কাছে হেনস্থা ও হুমকির শিকার

মো নাজমুল হাসান ভূঁইয়া,মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি:

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে(মাভাবিপ্রবি) শেখ রাসেল হলের এক কর্মকর্তার কাছে হেনস্থা ও হুমকির শিকার এক ছাত্রী।

গত ৭ই জানুয়ারী (মঙ্গলবার) ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর প্রক্টর অফিসে লিখিত অভিযোগ থেকে ঘটনাটি সামনে আসে। লিখিত অভিযোগ পত্রে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী উল্লেখ করেন, ক্লাসের উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় ৭ জানুয়ারী সকাল ১০টায় কৃষ্ণচূড়া লেনের রাস্তা দিয়ে ক্লাসে যাচ্ছিলাম পিছন থেকে একজন বাইক নিয়ে এসে আমার রাস্তা আটকে দেয় এবং আমার পরিচয় ও ধর্ম জানতে চায়। ২য় বার আমাকে এই পোষাকে দেখলে আমাকে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দিবে, ভিসি স্যারের কাছে নিয়ে গিয়ে বহিষ্কার করাবে। এখনি ক্যাম্পাস থেকে বের হয়ে যাও। নানাভাবে আমাকে হেনস্তা করতে থাকে পাশাপাশি হুমকি ধামকিও করেন। বাইক দিয়ে আমাকে আঘাতও করেন। সেখান থেকে আমাকে ২য় একাডেমিক পর্যন্ত বাইক নিয়ে আমার রাস্তা আটকে রাখে।

৮ই জানুয়ারী প্রক্টর অফিস থেকে একটি চিঠি রেজিস্ট্রার অফিসে পাঠানো হয়।

১১ই জানুয়ারী শিক্ষার্থীরা রেজিস্ট্রার অফিসে গিয়ে বিচারের দাবি করেন এবং আজ সকাল ১০টা পর্যন্ত সময় বেধে দেয়।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আমাদের জানায়, “আমি ৭ জানুয়ারী সকালে ক্লাসে যাচ্ছিলাম। আমি ওড়না সহ শীতের পোষাক পরে সুন্দরভাবেই ক্লাসে যাচ্ছিলাম। তারপর উনি এসে আমার সাথে এই ব্যবহার করেন আমি প্রচন্ড ভয় পেয়ে যাই। আমি আশাবাদী প্রশাসন দ্রুত উনার বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিবে।”

অভিযুক্ত শেখ রাসেল হলের সহকারী রেজিস্ট্রার মো.হারুন অর রশিদ বলেন, “আমি ওই মেয়েকে পর্দার বিষয়ে বলতে গিয়ে বাজে ভাবে কথা বলেছি। আমি এই ঘটনার জন্য লজ্জিত।”

এই বিষয়ে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি আজ সকালে ভুক্তভোগী ও অভিযুক্তদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
তদন্ত কমিটির প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইঞ্জি.মোহা. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, “আমরা তদন্ত শেষে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। দোষীও অপরাধ স্বীকার করেছেন। আমরা অতি দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী কার্যকর একটা ব্যবস্থা নিব।”

শেখ রাসেল হলের প্রভোস্ট ড. মো. আবু রাশেদ বলেন, “আমরা এই ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি এবং দ্রুত এর একটা সমাধান আসবে বলে আশাবাদী।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়ে সতর্ক অবস্থানে রয়েছি। এই বিষয়ে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি দ্রুত এর সমাধান করতে।”

সেখানে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। তারা আগামীকালের মধ্যে আসামির শাস্তি দাবি করেন।

এমএস

ট্যাগস :

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ ঢাকা আলিয়ার নেতৃত্বে রাকিব মন্ডল ও জিনাত

মাভাবিপ্রবির এক ছাত্রী হলের কর্মকর্তার কাছে হেনস্থা ও হুমকির শিকার

আপডেট সময় : ০৮:২৫:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫

মো নাজমুল হাসান ভূঁইয়া,মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি:

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে(মাভাবিপ্রবি) শেখ রাসেল হলের এক কর্মকর্তার কাছে হেনস্থা ও হুমকির শিকার এক ছাত্রী।

গত ৭ই জানুয়ারী (মঙ্গলবার) ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর প্রক্টর অফিসে লিখিত অভিযোগ থেকে ঘটনাটি সামনে আসে। লিখিত অভিযোগ পত্রে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী উল্লেখ করেন, ক্লাসের উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় ৭ জানুয়ারী সকাল ১০টায় কৃষ্ণচূড়া লেনের রাস্তা দিয়ে ক্লাসে যাচ্ছিলাম পিছন থেকে একজন বাইক নিয়ে এসে আমার রাস্তা আটকে দেয় এবং আমার পরিচয় ও ধর্ম জানতে চায়। ২য় বার আমাকে এই পোষাকে দেখলে আমাকে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দিবে, ভিসি স্যারের কাছে নিয়ে গিয়ে বহিষ্কার করাবে। এখনি ক্যাম্পাস থেকে বের হয়ে যাও। নানাভাবে আমাকে হেনস্তা করতে থাকে পাশাপাশি হুমকি ধামকিও করেন। বাইক দিয়ে আমাকে আঘাতও করেন। সেখান থেকে আমাকে ২য় একাডেমিক পর্যন্ত বাইক নিয়ে আমার রাস্তা আটকে রাখে।

৮ই জানুয়ারী প্রক্টর অফিস থেকে একটি চিঠি রেজিস্ট্রার অফিসে পাঠানো হয়।

১১ই জানুয়ারী শিক্ষার্থীরা রেজিস্ট্রার অফিসে গিয়ে বিচারের দাবি করেন এবং আজ সকাল ১০টা পর্যন্ত সময় বেধে দেয়।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আমাদের জানায়, “আমি ৭ জানুয়ারী সকালে ক্লাসে যাচ্ছিলাম। আমি ওড়না সহ শীতের পোষাক পরে সুন্দরভাবেই ক্লাসে যাচ্ছিলাম। তারপর উনি এসে আমার সাথে এই ব্যবহার করেন আমি প্রচন্ড ভয় পেয়ে যাই। আমি আশাবাদী প্রশাসন দ্রুত উনার বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিবে।”

অভিযুক্ত শেখ রাসেল হলের সহকারী রেজিস্ট্রার মো.হারুন অর রশিদ বলেন, “আমি ওই মেয়েকে পর্দার বিষয়ে বলতে গিয়ে বাজে ভাবে কথা বলেছি। আমি এই ঘটনার জন্য লজ্জিত।”

এই বিষয়ে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি আজ সকালে ভুক্তভোগী ও অভিযুক্তদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
তদন্ত কমিটির প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইঞ্জি.মোহা. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, “আমরা তদন্ত শেষে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। দোষীও অপরাধ স্বীকার করেছেন। আমরা অতি দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী কার্যকর একটা ব্যবস্থা নিব।”

শেখ রাসেল হলের প্রভোস্ট ড. মো. আবু রাশেদ বলেন, “আমরা এই ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি এবং দ্রুত এর একটা সমাধান আসবে বলে আশাবাদী।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়ে সতর্ক অবস্থানে রয়েছি। এই বিষয়ে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি দ্রুত এর সমাধান করতে।”

সেখানে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। তারা আগামীকালের মধ্যে আসামির শাস্তি দাবি করেন।

এমএস