ঢাকা ০৯:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ২৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

“আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে গভীর চক্রান্ত চলছে”- রাবি উপাচার্য

ছবি : সংগৃহীত

মো. রাফাসান আলম, রাবি প্রতিনিধি:

“আমাদের প্রিয় এ বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে গভীর এক চক্রান্ত চলছে। যেকোনো উপায়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার জন্য কিছু পক্ষ উঠে পড়ে লেগেছে” বলে মন্তব্য করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব।

রোববার ১২ জানুয়ারি বিকেলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকের এক পোস্টের তিনি এ কথা জানান।

শনিবার দিবাগত রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) চারটি আবাসিক হলে পবিত্র কুরআন পোড়ানোর ঘটনায় ইতোমধ্যে উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মোহা. ফরিদ উদ্দিন খানকে আহ্বায়ক করে ৯ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অনধিক সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সামাজিক মাধ্যমে উপাচার্য আরো বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত চারটি হলে পবিত্র কুরআন শরীফ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। উদ্দেশ্য পরিস্কার, মুসলিমদের অত্যন্ত প্রিয় একটি জায়গায় আঘাত করা। এটা সুস্পষ্ট উস্কানী। একদল অত্যন্ত নীচ মানুষ নামের কলংক এই ঘটনা ঘটিয়েছে। আমরা দুস্কর্মকারীদের জিততে দেব না। তারা চায় আমাদের ভেতর সম্প্রিতিকে নষ্ট করতে, এটা আমরা হতে দিতে পারি না। ইতোমধ্যে তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে। পুলিশ এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলো পুরোদমে কাজ করছে। আমরা খুব শিগগিরই জানতে পারব কারা এই ন্যাক্কারজনক কাজগুলো করেছে।”

উল্লেখ্য, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ আমীর আলী হল, শহীদ হবিবুর রহমান হল, মতিহার হল, মাদার বখ্শ হল ও শহীদ জিয়াউর রহমান হলে শনিবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময়ে কে বা কারা পবিত্র কোরআন শরীফে অগ্নিসংযোগ করেছিল।

তবে এখন পর্যন্ত ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন।

এমএস

ট্যাগস :

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনপ্রিয় সংবাদ

“আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে গভীর চক্রান্ত চলছে”- রাবি উপাচার্য

আপডেট সময় : ০৫:৪২:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫

মো. রাফাসান আলম, রাবি প্রতিনিধি:

“আমাদের প্রিয় এ বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে গভীর এক চক্রান্ত চলছে। যেকোনো উপায়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার জন্য কিছু পক্ষ উঠে পড়ে লেগেছে” বলে মন্তব্য করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব।

রোববার ১২ জানুয়ারি বিকেলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকের এক পোস্টের তিনি এ কথা জানান।

শনিবার দিবাগত রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) চারটি আবাসিক হলে পবিত্র কুরআন পোড়ানোর ঘটনায় ইতোমধ্যে উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মোহা. ফরিদ উদ্দিন খানকে আহ্বায়ক করে ৯ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অনধিক সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সামাজিক মাধ্যমে উপাচার্য আরো বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত চারটি হলে পবিত্র কুরআন শরীফ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। উদ্দেশ্য পরিস্কার, মুসলিমদের অত্যন্ত প্রিয় একটি জায়গায় আঘাত করা। এটা সুস্পষ্ট উস্কানী। একদল অত্যন্ত নীচ মানুষ নামের কলংক এই ঘটনা ঘটিয়েছে। আমরা দুস্কর্মকারীদের জিততে দেব না। তারা চায় আমাদের ভেতর সম্প্রিতিকে নষ্ট করতে, এটা আমরা হতে দিতে পারি না। ইতোমধ্যে তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে। পুলিশ এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলো পুরোদমে কাজ করছে। আমরা খুব শিগগিরই জানতে পারব কারা এই ন্যাক্কারজনক কাজগুলো করেছে।”

উল্লেখ্য, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ আমীর আলী হল, শহীদ হবিবুর রহমান হল, মতিহার হল, মাদার বখ্শ হল ও শহীদ জিয়াউর রহমান হলে শনিবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময়ে কে বা কারা পবিত্র কোরআন শরীফে অগ্নিসংযোগ করেছিল।

তবে এখন পর্যন্ত ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন।

এমএস