ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস সম্প্রতি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে বিচারের মুখোমুখি করার হুমকি দিয়েছে। তাদের অভিযোগ, ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সংঘটিত অপরাধে ব্লিঙ্কেন সহযোগিতা করেছেন। হামাসের এই অভিযোগ মূলত ইসরায়েলের সামরিক অভিযান এবং ফিলিস্তিনিদের ওপর সহিংসতার সঙ্গে যুক্ত মার্কিন সমর্থনের বিরোধিতা থেকে উঠে এসেছে।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) আফ্রিকা মহাদেশের আলজেরিয়ায় এক সংবাদ সম্মেলনে হামাস নেতা ওসামা হামদান বলেন, ব্লিঙ্কেনের বক্তব্য বিভ্রান্তিকর। আমরা তাকে বিশ্বাস করি না। তিনি আমাদের জনগণের বিরুদ্ধে বর্বরতম অপরাধের অংশীদার। এ জন্য তাকে বিচারের মুখোমুখি করা হবে।
অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এবং যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে কাজ করছে। হামাসের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের এ ধরনের সমর্থন ইসরায়েলের কার্যক্রমকে আরও উৎসাহিত করছে, যা ফিলিস্তিনিদের জন্য ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি করছে। বিশেষ করে সাম্প্রতিক গাজা সংঘাত এবং পশ্চিম তীরের পরিস্থিতি এই উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
হামাসের এমন হুঁশিয়ারি কূটনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে এর প্রভাব কতটা বাস্তবিক হবে, তা নির্ভর করবে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক পক্ষের প্রতিক্রিয়ার ওপর। মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার চাওয়ার মতো পদক্ষেপ হামাস এবং ফিলিস্তিনি নেতৃত্ব আগে থেকেও নিয়ে আসছে, তবে তা রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক বাধার সম্মুখীন হয়েছে।
এই পরিস্থিতি মধ্যপ্রাচ্যে আরও উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে এবং ভবিষ্যতে কূটনৈতিক সম্পর্ক ও আলোচনার উপর প্রভাব ফেলতে পারে।
আল ইয়ামিন আবির/এমএস