ঢাকা ০৯:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কোভিড সংকটের পাঁচ বছর পর চীনে নতুন ভাইরাস প্রাদুর্ভাব. নেই কোনো ভ্যাকসিন

ছবিঃ সংগৃহীত

কোভিড-১৯ সংকটের পাঁচ বছর পর চীনে আবারও একটি নতুন ভাইরাস প্রাদুর্ভাব দেখা গেছে। Human metapneumovirus-HMPV (হিউম্যান মেটাপ্নিউমোভাইরাস)নামে ভাইরাসটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে, যার লক্ষণ কোভিড-১৯-এর মতো ।

কিছু রিপোর্ট এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পোস্টে দাবি করা হয়েছে যে হাসপাতাল রোগীদের ভিড়ে জর্জরিত
অনলাইনে শেয়ার করা একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, হাসপাতালগুলোতে রোগীদের ভিড় জমে গেছে। কিছু পোস্টে দাবি করা হয়েছে যে চীন সরকার জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। তবে এই তথ্য এখনও নিশ্চিত করা যায়নি।

HMPV সাধারণত ফুলু-সদৃশ লক্ষণ সৃষ্টি করে এবং কখনও কখনও কোভিড-১৯-এর মতো লক্ষণও দেখা যায়। কর্মকর্তারা ভাইরাসের দ্রুত ছড়িয়ে পড়া নিয়ে সতর্কভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন।

একটি এক্স (X) হ্যান্ডলে, ‘SARS-CoV-2 (Covid-19)’ নামে পরিচিত একটি প্রোফাইল থেকে পোস্ট করা হয়েছে:“চীন বর্তমানে ইনফ্লুয়েঞ্জা এ, HMPV, মাইকোপ্লাজমা নিউমোনিয়া এবং কোভিড-১৯ সহ একাধিক ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মুখে রয়েছে। এর ফলে হাসপাতালএ চাপ বেড়েছে।বিশেষত শিশুদের হাসপাতালগুলো নিউমোনিয়া এবং ‘হোয়াইট লাং’ কেসে জর্জরিত।”

রয়টার্সের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ গত শুক্রবার জানিয়েছে যে তারা অজানা নিউমোনিয়ার জন্য একটি পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি চালু করছে। শীতকালে শ্বাসযন্ত্রজনিত রোগ বাড়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
এই নতুন পদ্ধতি চালুর উদ্দেশ্য হলো অজানা রোগ মোকাবিলার জন্য প্রোটোকল তৈরি করা। পাঁচ বছর আগে কোভিড-১৯-এর প্রথম প্রাদুর্ভাবের সময় যে প্রস্তুতির অভাব ছিল, তা এইবার দূর করতে কাজ চলছে।

জাতীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ প্রশাসন ল্যাবগুলোর জন্য একটি রিপোর্টিং পদ্ধতি স্থাপন করবে। পাশাপাশি রোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থাগুলো নিশ্চিত করে এই কেসগুলো পরিচালনা করবে।

ডিসেম্বর ১৬ থেকে ২২ তারিখের মধ্যে তীব্র শ্বাসযন্ত্রজনিত রোগি বৃদ্ধি পাওয়ার একটি প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। শীত ও বসন্তকালে চীন শ্বাসযন্ত্রজনিত সংক্রামক রোগের মুখে পড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

কান বিয়াও, (চীনের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের আরেক কর্মকর্তা), বলেছেন যে এই বছরের সংক্রমণের সংখ্যা গত বছরের তুলনায় কম হবে।উত্তরাঞ্চলের প্রদেশগুলোতে ১৪ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে HMPV-এর সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

সম্প্রতি ন্যাশনাল বিজনেস ডেইলি-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে, সাংহাইয়ের একটি হাসপাতালের শ্বাসযন্ত্র বিশেষজ্ঞ জনসাধারণকে অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ অযথা ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়েছেন। HMPV-এর কোনো ভ্যাকসিন নেই, তবে এর লক্ষণ সাধারণ সর্দি-কাশির মতো।

বর্তমান প্রাদুর্ভাবকে ঘিরে পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হলেও সরকার এবং স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাজ করছেন। জনগণকে সচেতন থাকার পাশাপাশি অযথা আতঙ্কিত না হয়ে সঠিক তথ্য অনুসরণ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

আল ইয়ামিন আবির/এমএস

ট্যাগস :

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনপ্রিয় সংবাদ

কোভিড সংকটের পাঁচ বছর পর চীনে নতুন ভাইরাস প্রাদুর্ভাব. নেই কোনো ভ্যাকসিন

আপডেট সময় : ১২:৫২:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৫

কোভিড-১৯ সংকটের পাঁচ বছর পর চীনে আবারও একটি নতুন ভাইরাস প্রাদুর্ভাব দেখা গেছে। Human metapneumovirus-HMPV (হিউম্যান মেটাপ্নিউমোভাইরাস)নামে ভাইরাসটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে, যার লক্ষণ কোভিড-১৯-এর মতো ।

কিছু রিপোর্ট এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পোস্টে দাবি করা হয়েছে যে হাসপাতাল রোগীদের ভিড়ে জর্জরিত
অনলাইনে শেয়ার করা একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, হাসপাতালগুলোতে রোগীদের ভিড় জমে গেছে। কিছু পোস্টে দাবি করা হয়েছে যে চীন সরকার জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। তবে এই তথ্য এখনও নিশ্চিত করা যায়নি।

HMPV সাধারণত ফুলু-সদৃশ লক্ষণ সৃষ্টি করে এবং কখনও কখনও কোভিড-১৯-এর মতো লক্ষণও দেখা যায়। কর্মকর্তারা ভাইরাসের দ্রুত ছড়িয়ে পড়া নিয়ে সতর্কভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন।

একটি এক্স (X) হ্যান্ডলে, ‘SARS-CoV-2 (Covid-19)’ নামে পরিচিত একটি প্রোফাইল থেকে পোস্ট করা হয়েছে:“চীন বর্তমানে ইনফ্লুয়েঞ্জা এ, HMPV, মাইকোপ্লাজমা নিউমোনিয়া এবং কোভিড-১৯ সহ একাধিক ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মুখে রয়েছে। এর ফলে হাসপাতালএ চাপ বেড়েছে।বিশেষত শিশুদের হাসপাতালগুলো নিউমোনিয়া এবং ‘হোয়াইট লাং’ কেসে জর্জরিত।”

রয়টার্সের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ গত শুক্রবার জানিয়েছে যে তারা অজানা নিউমোনিয়ার জন্য একটি পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি চালু করছে। শীতকালে শ্বাসযন্ত্রজনিত রোগ বাড়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
এই নতুন পদ্ধতি চালুর উদ্দেশ্য হলো অজানা রোগ মোকাবিলার জন্য প্রোটোকল তৈরি করা। পাঁচ বছর আগে কোভিড-১৯-এর প্রথম প্রাদুর্ভাবের সময় যে প্রস্তুতির অভাব ছিল, তা এইবার দূর করতে কাজ চলছে।

জাতীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ প্রশাসন ল্যাবগুলোর জন্য একটি রিপোর্টিং পদ্ধতি স্থাপন করবে। পাশাপাশি রোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থাগুলো নিশ্চিত করে এই কেসগুলো পরিচালনা করবে।

ডিসেম্বর ১৬ থেকে ২২ তারিখের মধ্যে তীব্র শ্বাসযন্ত্রজনিত রোগি বৃদ্ধি পাওয়ার একটি প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। শীত ও বসন্তকালে চীন শ্বাসযন্ত্রজনিত সংক্রামক রোগের মুখে পড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

কান বিয়াও, (চীনের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের আরেক কর্মকর্তা), বলেছেন যে এই বছরের সংক্রমণের সংখ্যা গত বছরের তুলনায় কম হবে।উত্তরাঞ্চলের প্রদেশগুলোতে ১৪ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে HMPV-এর সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

সম্প্রতি ন্যাশনাল বিজনেস ডেইলি-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে, সাংহাইয়ের একটি হাসপাতালের শ্বাসযন্ত্র বিশেষজ্ঞ জনসাধারণকে অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ অযথা ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়েছেন। HMPV-এর কোনো ভ্যাকসিন নেই, তবে এর লক্ষণ সাধারণ সর্দি-কাশির মতো।

বর্তমান প্রাদুর্ভাবকে ঘিরে পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হলেও সরকার এবং স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাজ করছেন। জনগণকে সচেতন থাকার পাশাপাশি অযথা আতঙ্কিত না হয়ে সঠিক তথ্য অনুসরণ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

আল ইয়ামিন আবির/এমএস