ঢাকা ০৮:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডিবি হারুনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা সবচেয়ে বেশি

পুলিশের ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ (ছবিঃ সংগৃহীত)

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলি করে মানুষ হত্যার অভিযোগে এখন পর্যন্ত সাবেক ও বর্তমান মিলে ৯৫২ জন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি হত্যা ও হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) তৎকালীন প্রধান হারুন অর রশীদ।

সারা দেশে হারুনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে ১৭১টি। বেশি মামলা হওয়ার তালিকায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রয়েছেন সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তার নামে মামলা রয়েছে ১৫৫টি।

এত মামলা মাথায় নিয়ে হারুনের বিরুদ্ধে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেলেও নিজে থেকে আত্মসমর্পণ করেছেন সাবেক পুলিশপ্রধান আব্দুল্লাহ আল মামুন। প্রায় ৫০ দিনের বেশি রিমান্ডে থাকার পর তিনি এখন কারাগারে রয়েছেন।

এ ছাড়া বেশি মামলা হওয়ার তালিকায় রয়েছে ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে ১১৭টি, অতিরিক্ত ডিআইজি বিপ্লব কুমার সরকারের নামে ১২৫টি, সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ৪৬টি এবং অতিরিক্ত ডিআইজি এসএম মেহেদী হাসানের নামে ৩১টি।

পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে এসব বিষয় নিশ্চিত হওয়া গেছে।

শিক্ষার্থীদের হত্যা ও হত্যাচেষ্টার মামলায় ৯৫২ জনকে আসামি করা হলেও এখন পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছেন ২৮ জন পুলিশ সদস্য।

অভিযোগ রয়েছে- বাকিদের অনেকেই দেশের বাইরে পালিয়ে গেছেন, কেউবা দেশেই আত্মগোপনে রয়েছেন। তবে মামলার এজাহারে তাদের পলাতক দেখানো হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে অবশ্য বলা হচ্ছে- যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

সারা দেশে হওয়া পুলিশের বিরুদ্ধে এসব মামলা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, আসামির তালিকায় রয়েছেন ছয়জন সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক, সাবেক ৩৬ অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক, ৫ জন অতিরিক্ত আইজিপি, সাবেক ও বর্তমান বেশ কয়েকজন ডিআইজি, অতিরিক্ত ডিআইজি, পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সহকারী পুলিশ সুপার, পরিদর্শক, উপপরিদর্শক, কনস্টেবল ছাড়াও বিভিন্ন পদ-পদবির সদস্য।

এ ব্যাপারে সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক মুহাম্মদ নুরুল হুদা বলেন, পুলিশ তার অস্ত্র ব্যবহার করবে জনস্বার্থে এবং আইনি কাঠামোর ভিত্তিতে। আইন সবার জন্য সমান। এসব মামলার তদন্ত দ্রুত শেষ করা উচিত। মামলা নিয়ে একধরনের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। দোষী-নির্দোষ চিহ্নিত করতে বিলম্ব হলে বাহিনীর সদস্যদের মনোবলে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে।

কেকে

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ডিবি হারুনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা সবচেয়ে বেশি

আপডেট সময় : ০৮:১৭:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৫

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলি করে মানুষ হত্যার অভিযোগে এখন পর্যন্ত সাবেক ও বর্তমান মিলে ৯৫২ জন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি হত্যা ও হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) তৎকালীন প্রধান হারুন অর রশীদ।

সারা দেশে হারুনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে ১৭১টি। বেশি মামলা হওয়ার তালিকায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রয়েছেন সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তার নামে মামলা রয়েছে ১৫৫টি।

এত মামলা মাথায় নিয়ে হারুনের বিরুদ্ধে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেলেও নিজে থেকে আত্মসমর্পণ করেছেন সাবেক পুলিশপ্রধান আব্দুল্লাহ আল মামুন। প্রায় ৫০ দিনের বেশি রিমান্ডে থাকার পর তিনি এখন কারাগারে রয়েছেন।

এ ছাড়া বেশি মামলা হওয়ার তালিকায় রয়েছে ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে ১১৭টি, অতিরিক্ত ডিআইজি বিপ্লব কুমার সরকারের নামে ১২৫টি, সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ৪৬টি এবং অতিরিক্ত ডিআইজি এসএম মেহেদী হাসানের নামে ৩১টি।

পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে এসব বিষয় নিশ্চিত হওয়া গেছে।

শিক্ষার্থীদের হত্যা ও হত্যাচেষ্টার মামলায় ৯৫২ জনকে আসামি করা হলেও এখন পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছেন ২৮ জন পুলিশ সদস্য।

অভিযোগ রয়েছে- বাকিদের অনেকেই দেশের বাইরে পালিয়ে গেছেন, কেউবা দেশেই আত্মগোপনে রয়েছেন। তবে মামলার এজাহারে তাদের পলাতক দেখানো হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে অবশ্য বলা হচ্ছে- যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

সারা দেশে হওয়া পুলিশের বিরুদ্ধে এসব মামলা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, আসামির তালিকায় রয়েছেন ছয়জন সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক, সাবেক ৩৬ অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক, ৫ জন অতিরিক্ত আইজিপি, সাবেক ও বর্তমান বেশ কয়েকজন ডিআইজি, অতিরিক্ত ডিআইজি, পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সহকারী পুলিশ সুপার, পরিদর্শক, উপপরিদর্শক, কনস্টেবল ছাড়াও বিভিন্ন পদ-পদবির সদস্য।

এ ব্যাপারে সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক মুহাম্মদ নুরুল হুদা বলেন, পুলিশ তার অস্ত্র ব্যবহার করবে জনস্বার্থে এবং আইনি কাঠামোর ভিত্তিতে। আইন সবার জন্য সমান। এসব মামলার তদন্ত দ্রুত শেষ করা উচিত। মামলা নিয়ে একধরনের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। দোষী-নির্দোষ চিহ্নিত করতে বিলম্ব হলে বাহিনীর সদস্যদের মনোবলে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে।

কেকে