শেরপুরে কাঁচাবাজারের দোকানগুলোতে শীতকালীন সবজি,আলু ও পেঁয়াজের সরবরাহ বৃদ্ধির ফলে কমেছে দাম। অবশেষে ক্রেতাদের মনে ফিরেছে স্বস্তি। উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় তার সুফল মিলছে বলছেন ক্রেতারা। কিন্তু তিন থেকে চার দিনের ব্যবধানে বেড়েছে মুরগির দাম।
আজ (৩০ ডিসেম্বর) বাজার ঘুরে দেখা যায়, ৫০ টাকার বাঁধা কপি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা,৪০ টাকার ফুল কপি ২০ টাকা,১০০ টাকার টমাটো ৭০ টাকা কেজি,৬০ টাকার বেগুন ৩০-৪০ টাকা কেজি,৭০ টাকার শিম ৫০ টাকা, ৫০ টাকার পেঁপে ৪০ টাকা, ৮০ টাকার গাজর ৫০ টাকা, ১২০ টাকার কাঁচা মরিচ ৫০ টাকা, ৫০ টাকার লাউ ৩০ টাকা,৬০ টাকার মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা,৬০ টাকার শসা ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আলু, পেঁয়াজ ও রসুনের বাজারেও কমেছে দাম, ৮০ টাকার আলু ৫০ টাকা, ১২০ টাকার পেঁয়াজ ৫০ টাকা, ২৮০ টাকার রসুন ২৫০ টাকা।
সবজির বাজারে স্বস্তি ফিরলেও বাজার ঘুরে দেখা যায় বেড়েছে মুরগি বাজার,গত সপ্তাহে কালার বার্ড ২৮০ টাকা করে বিক্রি হলেও আজ ৩০০ টাকা, ব্রয়লার কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ১৯০ টাকা, ৪৩০ টাকা দেশি মুরগি ৪৬০ টাকা, ৩০০ টাকার সোনালি মুরগি ৩৩০ টাকা। দেশি হাঁস গত সপ্তাহে ৫৫০ টাকা বিক্রি করলেও আজ বেড়ে ৪৫০ থেকে ৫৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
তবে ডিমের বাজার কমাতে ক্রেতাদের মনে ফিরেছে স্বস্তি, ডজন প্রতি ১৫ থেকে ২০ টাকা কমে লাল ডিম ১৩৫, সাদা ডিম ১৩০ টাকা ডজন বিক্রি হচ্ছে।
সবজি বিক্রেতা শামীম বলেন, বাজারে সবজির সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় আগের তুলনায় সবজির দাম কেজি প্রতি প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে।
আরেকজন সবজি বিক্রেতা আয়ুব আলী বলেন, বাজারে সবজির পরিমাণ বেশি আসায় দাম কমেছে, তবে জানুয়ারিতে সবজির বাজার বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
নয়ন নামে একজন ক্রেতা বলেন, সবজির দাম কমায় আগে যেখানে সপ্তাহে ১৫০০ টাকার বাজার লাগতো সেখানে ১০০০ টাকা হলেই হয়ে যাচ্ছে।
আরেকজন ক্রেতা বলেন, সবজি ও চালের দাম কম থাকলে আমরা একটু দুই বেলা ভালো- মন্দ খেতে পারি। বাজারে জিনিসপাতির দাম বেড়ে গেলে আমাদের সংসার চালাতে কষ্ট হয়ে যায়।
রাজু আহমেদ/এমএস