ঢাকা ০৪:১২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ব্রিটিশ আমেরিকান সেন্টারে চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি আলবেনিয়ায় নিষিদ্ধ করা হয়েছে টিকটক বাংলাদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গকে শিক্ষা নেওয়ার পরামর্শ দিলেন মিঠুন চক্রবর্তী রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য পশ্চিমা দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে শর্ত দিলেন পুতিন কনসার্টের মঞ্চে হাসিনার বিচার দাবি, ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান সারজিস আলমের শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে পঙ্গু করে দিয়েছে: শিক্ষা উপদেষ্টা ৬০ হাজার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ নিয়ে যা জানালেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন তিতুমীর কলেজ শিক্ষার্থীর জীবন বাঁচাতে প্রয়োজন ১০ লাখ টাকা লালপুরে স্কুলের জায়গা দখল করে নির্মাণ হচ্ছে ওয়ার্ড বিএনপি’র কার্যালয় লালপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে সাংবাদিকের ছেলের মৃত্যু

নতুন ভাইরাস ডিঙ্গা ডিঙ্গার সংক্রমণ, লক্ষণ ও প্রতিকার কী?

ছবিঃ সংগৃহীত

করোনার পর নতুন এক ভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হয়েছে। অদ্ভুত নামের ভাইরাসটি বর্তমান সময়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। নতুন এই ভাইরাসের নাম ডিঙ্গা ডিঙ্গা।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন এ ভাইরাসে আক্রাক্ত হচ্ছেন আফ্রিকার দেশ উগান্ডার বুন্ডিবুগিও জেলার মানুষরা। নারী ও কিশোরীরাই মূলত এ ভাইরাসে আক্রাক্ত হচ্ছেন। প্রায় ৩০০ জন এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। এ ভাইরাসে আক্রান্তদের জ্বর এবং অত্যধিক শরীর কাঁপুনি হচ্ছে। এ কারণেই ভাইরাসটির নাম ডিঙ্গা ডিঙ্গা।

জি নিউজে বলা হয়েছে, ডিঙ্গা ডিঙ্গা শব্দটির অর্থ নাচের মতো কাঁপা। স্থানীয় চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা এর কারণ ও প্রতিকারের উপায় বের করার চেষ্টা করছেন। কীভাবে এবং কেন এ রোগ ছড়াচ্ছে তা এখনো জানা যায়নি।

ডিঙ্গা ডিঙ্গায় আক্রান্তের লক্ষণ :

ডিঙ্গা ডিঙ্গায় আক্রান্ত হলে রোগীর শরীরে অত্যধিক কাঁপুনি হতে থাকে। অনিয়ন্ত্রিত কাঁপুনি এ ভাইরাসে আক্রান্তের অন্যতম লক্ষণ। একইসঙ্গে জ্বর, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, সারা শরীরে ব্যথার মতো লক্ষণও দেখা দিতে পারে। মাথা ব্যথাও করে।

ডিঙ্গা ডিঙ্গায় আক্রান্তের শ্বাসকষ্ট হয়। আক্রান্ত ব্যক্তি খুব দুর্বল হয়ে পড়ে। এমনকি অবস্থা ভয়াবহ হলে দেহ পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে যেতে পারে।

প্রতিকার :

বুন্ডিবুগিও জেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. কিয়িটা ক্রিস্টোফার জানিয়েছেন, ডিঙ্গা ডিঙ্গা রোগের চিকিৎসায় বর্তমানে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হচ্ছে। স্থানীয় স্বাস্থ্য দলগুলো এ চিকিৎসা প্রদান করছে। এই রোগে এখন পর্যন্ত কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি।

তিনি আরও বলেন, এই রোগের চিকিৎসায় ভেষজ ওষুধ এখনো কার্যকর প্রমাণিত হয়নি। সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে এবং সাধারণত রোগীরা এক সপ্তাহের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠছেন। আমি সবাইকে অনুরোধ করব, যদি এই রোগের লক্ষণ দেখতে পান তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যান। চিকিৎসা নিলে দ্রুত সময়ে সুস্থ হওয়া সম্ভব।

কেকে

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ব্রিটিশ আমেরিকান সেন্টারে চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি

নতুন ভাইরাস ডিঙ্গা ডিঙ্গার সংক্রমণ, লক্ষণ ও প্রতিকার কী?

আপডেট সময় : ০৯:১২:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৪

করোনার পর নতুন এক ভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হয়েছে। অদ্ভুত নামের ভাইরাসটি বর্তমান সময়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। নতুন এই ভাইরাসের নাম ডিঙ্গা ডিঙ্গা।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন এ ভাইরাসে আক্রাক্ত হচ্ছেন আফ্রিকার দেশ উগান্ডার বুন্ডিবুগিও জেলার মানুষরা। নারী ও কিশোরীরাই মূলত এ ভাইরাসে আক্রাক্ত হচ্ছেন। প্রায় ৩০০ জন এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। এ ভাইরাসে আক্রান্তদের জ্বর এবং অত্যধিক শরীর কাঁপুনি হচ্ছে। এ কারণেই ভাইরাসটির নাম ডিঙ্গা ডিঙ্গা।

জি নিউজে বলা হয়েছে, ডিঙ্গা ডিঙ্গা শব্দটির অর্থ নাচের মতো কাঁপা। স্থানীয় চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা এর কারণ ও প্রতিকারের উপায় বের করার চেষ্টা করছেন। কীভাবে এবং কেন এ রোগ ছড়াচ্ছে তা এখনো জানা যায়নি।

ডিঙ্গা ডিঙ্গায় আক্রান্তের লক্ষণ :

ডিঙ্গা ডিঙ্গায় আক্রান্ত হলে রোগীর শরীরে অত্যধিক কাঁপুনি হতে থাকে। অনিয়ন্ত্রিত কাঁপুনি এ ভাইরাসে আক্রান্তের অন্যতম লক্ষণ। একইসঙ্গে জ্বর, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, সারা শরীরে ব্যথার মতো লক্ষণও দেখা দিতে পারে। মাথা ব্যথাও করে।

ডিঙ্গা ডিঙ্গায় আক্রান্তের শ্বাসকষ্ট হয়। আক্রান্ত ব্যক্তি খুব দুর্বল হয়ে পড়ে। এমনকি অবস্থা ভয়াবহ হলে দেহ পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে যেতে পারে।

প্রতিকার :

বুন্ডিবুগিও জেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. কিয়িটা ক্রিস্টোফার জানিয়েছেন, ডিঙ্গা ডিঙ্গা রোগের চিকিৎসায় বর্তমানে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হচ্ছে। স্থানীয় স্বাস্থ্য দলগুলো এ চিকিৎসা প্রদান করছে। এই রোগে এখন পর্যন্ত কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি।

তিনি আরও বলেন, এই রোগের চিকিৎসায় ভেষজ ওষুধ এখনো কার্যকর প্রমাণিত হয়নি। সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে এবং সাধারণত রোগীরা এক সপ্তাহের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠছেন। আমি সবাইকে অনুরোধ করব, যদি এই রোগের লক্ষণ দেখতে পান তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যান। চিকিৎসা নিলে দ্রুত সময়ে সুস্থ হওয়া সম্ভব।

কেকে