সর্দি পরিষ্কার করতে আপনি খুব জোরে নাক ঝাড়ছেন, কিংবা নাক টানলে নাকের যে প্রাকৃতিক পরিষ্কার করার প্রক্রিয়া রয়েছে, তা ব্যাহত হয়। বাসে উঠলেই দেখা যায় কেউ নাক টানছে। আবার কেউ সর্দি ঝেড়ে নাক পরিষ্কার করছে। সর্দি হলে নাক নিয়ে যেন নাজেহাল হতে হয়। বারবার সর্দি ঝেড়ে নাক পরিষ্কার করলেও যেন নাক পরিষ্কার হতে চায় না। ঠান্ডা লাগার কারণে এসব সমস্যার মুখে পড়েন অনেকেই।
ঠান্ডা লাগলে কিংবা সর্দি হলে নাক এক থেকে দুই লিটার মিউকাস উৎপাদন করে। এই মিউকাস হলো ভাইরাসের মোটা স্তর। সর্দি হলে খুব স্বাভাবিকভাবেই নিঃশ্বাস নিতে সমস্যা হয়। তখন নাক ঝেড়ে সর্দি পরিষ্কার করলে আরাম লাগে। কিন্তু এই পদ্ধতি অনেক সময় সমস্যা বাড়িয়ে তুলতে পারে। বরং এতে আরও ক্ষতি হতে পারে নাকের।
বিশেষজ্ঞদের মতে, মিউকাস ও জীবাণুগুলো সাইনাসের ভেতরে বা কানের মাঝে ঢুকে যেতে পারে। এর জেরে সাইনাসে ইনফেকশন, কানে ব্যথা— এমনকি কানের পর্দা ফেটে যেতে পারে। আর জোরে নাক ঝাড়লে শ্বাসনালিতে উচ্চ পরিমাণে চাপ সৃষ্টি হয়। এর জেরে মিউকাস ভুল দিকে চলে যেতে পারে। এর জেরে প্রাথমিক যে সমস্যা হয়, তা হলো আপনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন না। সর্দি যেন কমতেই চায় না।
শ্বাসযন্ত্রে মিউকাস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি প্রতিরক্ষার কাজ করে প্রাথমিক স্তরে। এটি ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাসকে আটকে দেয়, ভেতরে প্রবেশ করতে দেয় না। হাঁচি-কাশির মাধ্যমে মিউকাস সব ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাসকে শরীর থেকে বাইরে বের করে দেয়।
ঠান্ডা লাগলে মিউকাস উৎপাদনের পরিমাণ বেড়ে যায়, এটা ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করার একটি উপায়। কিন্তু ভুল উপায়ে নাক ঝাড়লে বা পরিষ্কার করলে তখনই সমস্যা দেখা দেয়। অনেক সময় নাক দিয়ে রক্তপাত হয় এবং সংক্রমণ দেখা দেয়।
নাককে পরিষ্কার করতে হলে একবার হালকাভাবে নাক ঝেড়ে নিন। খুব বেশি চাপ বা জোর দেবেন না। এ ছাড়া নাক নিজেই একসময় সব মিউকাস বের করে দেবে। এবং এর জন্য বেশি কসরত আপনাকে করতে হবে না। কিন্তু ঠান্ডা লাগলে সর্দিতে নাক বন্ধ হয়ে যায়। এ সমস্যা দূর করতে আপনি গরম পানির ভাপ নিতে পারেন। এতে নাক ঝাড়তেও হবে না, আবার সহজেই সর্দি বেরিয়ে যাবে।
কেকে