ঢাকা ০৪:১২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ব্রিটিশ আমেরিকান সেন্টারে চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি আলবেনিয়ায় নিষিদ্ধ করা হয়েছে টিকটক বাংলাদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গকে শিক্ষা নেওয়ার পরামর্শ দিলেন মিঠুন চক্রবর্তী রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য পশ্চিমা দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে শর্ত দিলেন পুতিন কনসার্টের মঞ্চে হাসিনার বিচার দাবি, ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান সারজিস আলমের শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে পঙ্গু করে দিয়েছে: শিক্ষা উপদেষ্টা ৬০ হাজার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ নিয়ে যা জানালেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন তিতুমীর কলেজ শিক্ষার্থীর জীবন বাঁচাতে প্রয়োজন ১০ লাখ টাকা লালপুরে স্কুলের জায়গা দখল করে নির্মাণ হচ্ছে ওয়ার্ড বিএনপি’র কার্যালয় লালপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে সাংবাদিকের ছেলের মৃত্যু

নাক না ঝেড়েই সর্দি বের করুন, যেভাবে সর্দি পরিষ্কার করবেন

ছবিঃ সংগৃহীত

সর্দি পরিষ্কার করতে আপনি খুব জোরে নাক ঝাড়ছেন, কিংবা নাক টানলে নাকের যে প্রাকৃতিক পরিষ্কার করার প্রক্রিয়া রয়েছে, তা ব্যাহত হয়। বাসে উঠলেই দেখা যায় কেউ নাক টানছে। আবার কেউ সর্দি ঝেড়ে নাক পরিষ্কার করছে। সর্দি হলে নাক নিয়ে যেন নাজেহাল হতে হয়। বারবার সর্দি ঝেড়ে নাক পরিষ্কার করলেও যেন নাক পরিষ্কার হতে চায় না। ঠান্ডা লাগার কারণে এসব সমস্যার মুখে পড়েন অনেকেই।

ঠান্ডা লাগলে কিংবা সর্দি হলে নাক এক থেকে দুই লিটার মিউকাস উৎপাদন করে। এই মিউকাস হলো ভাইরাসের মোটা স্তর। সর্দি হলে খুব স্বাভাবিকভাবেই নিঃশ্বাস নিতে সমস্যা হয়। তখন নাক ঝেড়ে সর্দি পরিষ্কার করলে আরাম লাগে। কিন্তু এই পদ্ধতি অনেক সময় সমস্যা বাড়িয়ে তুলতে পারে। বরং এতে আরও ক্ষতি হতে পারে নাকের।

বিশেষজ্ঞদের মতে, মিউকাস ও জীবাণুগুলো সাইনাসের ভেতরে বা কানের মাঝে ঢুকে যেতে পারে। এর জেরে সাইনাসে ইনফেকশন, কানে ব্যথা— এমনকি কানের পর্দা ফেটে যেতে পারে। আর জোরে নাক ঝাড়লে শ্বাসনালিতে উচ্চ পরিমাণে চাপ সৃষ্টি হয়। এর জেরে মিউকাস ভুল দিকে চলে যেতে পারে। এর জেরে প্রাথমিক যে সমস্যা হয়, তা হলো আপনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন না। সর্দি যেন কমতেই চায় না।

শ্বাসযন্ত্রে মিউকাস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি প্রতিরক্ষার কাজ করে প্রাথমিক স্তরে। এটি ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাসকে আটকে দেয়, ভেতরে প্রবেশ করতে দেয় না। হাঁচি-কাশির মাধ্যমে মিউকাস সব ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাসকে শরীর থেকে বাইরে বের করে দেয়।

ঠান্ডা লাগলে মিউকাস উৎপাদনের পরিমাণ বেড়ে যায়, এটা ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করার একটি উপায়। কিন্তু ভুল উপায়ে নাক ঝাড়লে বা পরিষ্কার করলে তখনই সমস্যা দেখা দেয়। অনেক সময় নাক দিয়ে রক্তপাত হয় এবং সংক্রমণ দেখা দেয়।

নাককে পরিষ্কার করতে হলে একবার হালকাভাবে নাক ঝেড়ে নিন। খুব বেশি চাপ বা জোর দেবেন না। এ ছাড়া নাক নিজেই একসময় সব মিউকাস বের করে দেবে। এবং এর জন্য বেশি কসরত আপনাকে করতে হবে না। কিন্তু ঠান্ডা লাগলে সর্দিতে নাক বন্ধ হয়ে যায়। এ সমস্যা দূর করতে আপনি গরম পানির ভাপ নিতে পারেন। এতে নাক ঝাড়তেও হবে না, আবার সহজেই সর্দি বেরিয়ে যাবে।

কেকে

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ব্রিটিশ আমেরিকান সেন্টারে চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি

নাক না ঝেড়েই সর্দি বের করুন, যেভাবে সর্দি পরিষ্কার করবেন

আপডেট সময় : ০৬:০৯:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৪

সর্দি পরিষ্কার করতে আপনি খুব জোরে নাক ঝাড়ছেন, কিংবা নাক টানলে নাকের যে প্রাকৃতিক পরিষ্কার করার প্রক্রিয়া রয়েছে, তা ব্যাহত হয়। বাসে উঠলেই দেখা যায় কেউ নাক টানছে। আবার কেউ সর্দি ঝেড়ে নাক পরিষ্কার করছে। সর্দি হলে নাক নিয়ে যেন নাজেহাল হতে হয়। বারবার সর্দি ঝেড়ে নাক পরিষ্কার করলেও যেন নাক পরিষ্কার হতে চায় না। ঠান্ডা লাগার কারণে এসব সমস্যার মুখে পড়েন অনেকেই।

ঠান্ডা লাগলে কিংবা সর্দি হলে নাক এক থেকে দুই লিটার মিউকাস উৎপাদন করে। এই মিউকাস হলো ভাইরাসের মোটা স্তর। সর্দি হলে খুব স্বাভাবিকভাবেই নিঃশ্বাস নিতে সমস্যা হয়। তখন নাক ঝেড়ে সর্দি পরিষ্কার করলে আরাম লাগে। কিন্তু এই পদ্ধতি অনেক সময় সমস্যা বাড়িয়ে তুলতে পারে। বরং এতে আরও ক্ষতি হতে পারে নাকের।

বিশেষজ্ঞদের মতে, মিউকাস ও জীবাণুগুলো সাইনাসের ভেতরে বা কানের মাঝে ঢুকে যেতে পারে। এর জেরে সাইনাসে ইনফেকশন, কানে ব্যথা— এমনকি কানের পর্দা ফেটে যেতে পারে। আর জোরে নাক ঝাড়লে শ্বাসনালিতে উচ্চ পরিমাণে চাপ সৃষ্টি হয়। এর জেরে মিউকাস ভুল দিকে চলে যেতে পারে। এর জেরে প্রাথমিক যে সমস্যা হয়, তা হলো আপনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন না। সর্দি যেন কমতেই চায় না।

শ্বাসযন্ত্রে মিউকাস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি প্রতিরক্ষার কাজ করে প্রাথমিক স্তরে। এটি ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাসকে আটকে দেয়, ভেতরে প্রবেশ করতে দেয় না। হাঁচি-কাশির মাধ্যমে মিউকাস সব ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাসকে শরীর থেকে বাইরে বের করে দেয়।

ঠান্ডা লাগলে মিউকাস উৎপাদনের পরিমাণ বেড়ে যায়, এটা ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করার একটি উপায়। কিন্তু ভুল উপায়ে নাক ঝাড়লে বা পরিষ্কার করলে তখনই সমস্যা দেখা দেয়। অনেক সময় নাক দিয়ে রক্তপাত হয় এবং সংক্রমণ দেখা দেয়।

নাককে পরিষ্কার করতে হলে একবার হালকাভাবে নাক ঝেড়ে নিন। খুব বেশি চাপ বা জোর দেবেন না। এ ছাড়া নাক নিজেই একসময় সব মিউকাস বের করে দেবে। এবং এর জন্য বেশি কসরত আপনাকে করতে হবে না। কিন্তু ঠান্ডা লাগলে সর্দিতে নাক বন্ধ হয়ে যায়। এ সমস্যা দূর করতে আপনি গরম পানির ভাপ নিতে পারেন। এতে নাক ঝাড়তেও হবে না, আবার সহজেই সর্দি বেরিয়ে যাবে।

কেকে