ঢাকা ০৪:৪৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ব্রিটিশ আমেরিকান সেন্টারে চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি আলবেনিয়ায় নিষিদ্ধ করা হয়েছে টিকটক বাংলাদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গকে শিক্ষা নেওয়ার পরামর্শ দিলেন মিঠুন চক্রবর্তী রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য পশ্চিমা দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে শর্ত দিলেন পুতিন কনসার্টের মঞ্চে হাসিনার বিচার দাবি, ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান সারজিস আলমের শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে পঙ্গু করে দিয়েছে: শিক্ষা উপদেষ্টা ৬০ হাজার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ নিয়ে যা জানালেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন তিতুমীর কলেজ শিক্ষার্থীর জীবন বাঁচাতে প্রয়োজন ১০ লাখ টাকা লালপুরে স্কুলের জায়গা দখল করে নির্মাণ হচ্ছে ওয়ার্ড বিএনপি’র কার্যালয় লালপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে সাংবাদিকের ছেলের মৃত্যু

চট্টগ্রামে নকল পিতা সাজিয়ে রোহিঙ্গা নারীর ভোটার হওয়ার চেষ্টা, আটক ৩

ছবিঃ সংগৃহীত

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় নকল পিতা সাজিয়ে এক রোহিঙ্গা নারীর ভোটার হওয়ার চেষ্টায় ৩ জনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা। বুধবার দুপুর ২টার দিকে আনোয়ারা উপজেলার নির্বাচন অফিস থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন- সুমি আক্তার (রোহিঙ্গা), মো. তৈয়ব (রোহিঙ্গা), মো. ইসমাঈল।

জানা যায়, দুপুরে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে নির্বাচন অফিসে আসে সুমি আক্তার (১৭) নামের এক রোহিঙ্গা নারী। এ সময় উপজেলার জুঁইদণ্ডি ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. ইসমাঈল নামের একজনকে নকল পিতা সাজিয়ে আনা হয়। এ সময় তাদের কথাবার্তা সন্দেহজনক হলে তাদের নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে নিয়ে যায় নির্বাচন অফিসের দায়িত্বরত কর্মরতরা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ২০ বছর আগে থেকে মেয়েটির পিতা মো. তৈয়ব তার স্ত্রীসহ জুঁইদণ্ডি এলাকায় বসবাস শুরু করে। পরবর্তীতে মেয়েটির জন্মের পর তার মা মারা যায়। এরপর থেকেই মেয়ে এবং তার পিতা জুঁইদণ্ডি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় বসবাস শুরু করে।

নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, মেয়েটির প্রকৃত নাম সুমি হলেও সুমাইয়া আক্তার মুন্নী নামে তার অন্য একটা জন্ম সনদ দিয়েছে। সেই জন্ম সনদে মো. ইসমাঈলকে পিতা এবং ইসমাঈলের স্ত্রী মোহসেনা খাতুনকে মাতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়। নির্বাচন অফিসে সেই নারীর ভাই হিসেবে ইসমাঈলের ছেলে সিরাজুল ইসলাম, মো. ইউনুসের এনআইডি দেওয়া হয়। এছাড়া প্রয়োজনীয় সব ধরনের কাগজপত্র প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবে সত্যায়িত করেন ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. ইব্রাহিম।

অভিযুক্ত সুমি আক্তার জানান, আমি কেইপিজেডে চাকরি করি। চাকরির সুবাদে এনআইডি প্রয়োজন হওয়ায় এই পন্থা অবলম্বন করে এনআইডি বানানোর চেষ্টা করি।

নকল পিতা ইসমাঈল জানান, মেয়েটি কান্নাকাটি করে বলছে তা-ই আমি মানবিক দৃষ্টিতে নকল পিতা সেজে এসেছি।

জুঁইদণ্ডি ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. ইব্রাহিম জানান, মেয়েটিকে আমি চিনি না, ইসমাইলের মেয়ে মনে করে ভুলবশত আমি স্বাক্ষর করেছি।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবু জাফর সালেহ জানান, দুপুরে কাগজপত্র নিয়ে তারা আসে। তাদের আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় অফিসের স্টাফরা তাদের আমার কাছে নিয়ে আসে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা বিষয়টি স্বীকার করেছে। পরবর্তীতে তাদের আনোয়ারা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার কাজ চলমান রয়েছে বলে তিনি জানান।

ঘটনার বিষয়ে আনোয়ারা থানার ওসি মো. মনির হোসেন জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি, সংশ্লিষ্ট দপ্তর লিখিত অভিযোগ দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কেকে

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ব্রিটিশ আমেরিকান সেন্টারে চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি

চট্টগ্রামে নকল পিতা সাজিয়ে রোহিঙ্গা নারীর ভোটার হওয়ার চেষ্টা, আটক ৩

আপডেট সময় : ১১:২৭:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় নকল পিতা সাজিয়ে এক রোহিঙ্গা নারীর ভোটার হওয়ার চেষ্টায় ৩ জনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা। বুধবার দুপুর ২টার দিকে আনোয়ারা উপজেলার নির্বাচন অফিস থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন- সুমি আক্তার (রোহিঙ্গা), মো. তৈয়ব (রোহিঙ্গা), মো. ইসমাঈল।

জানা যায়, দুপুরে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে নির্বাচন অফিসে আসে সুমি আক্তার (১৭) নামের এক রোহিঙ্গা নারী। এ সময় উপজেলার জুঁইদণ্ডি ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. ইসমাঈল নামের একজনকে নকল পিতা সাজিয়ে আনা হয়। এ সময় তাদের কথাবার্তা সন্দেহজনক হলে তাদের নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে নিয়ে যায় নির্বাচন অফিসের দায়িত্বরত কর্মরতরা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ২০ বছর আগে থেকে মেয়েটির পিতা মো. তৈয়ব তার স্ত্রীসহ জুঁইদণ্ডি এলাকায় বসবাস শুরু করে। পরবর্তীতে মেয়েটির জন্মের পর তার মা মারা যায়। এরপর থেকেই মেয়ে এবং তার পিতা জুঁইদণ্ডি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় বসবাস শুরু করে।

নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, মেয়েটির প্রকৃত নাম সুমি হলেও সুমাইয়া আক্তার মুন্নী নামে তার অন্য একটা জন্ম সনদ দিয়েছে। সেই জন্ম সনদে মো. ইসমাঈলকে পিতা এবং ইসমাঈলের স্ত্রী মোহসেনা খাতুনকে মাতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়। নির্বাচন অফিসে সেই নারীর ভাই হিসেবে ইসমাঈলের ছেলে সিরাজুল ইসলাম, মো. ইউনুসের এনআইডি দেওয়া হয়। এছাড়া প্রয়োজনীয় সব ধরনের কাগজপত্র প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবে সত্যায়িত করেন ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. ইব্রাহিম।

অভিযুক্ত সুমি আক্তার জানান, আমি কেইপিজেডে চাকরি করি। চাকরির সুবাদে এনআইডি প্রয়োজন হওয়ায় এই পন্থা অবলম্বন করে এনআইডি বানানোর চেষ্টা করি।

নকল পিতা ইসমাঈল জানান, মেয়েটি কান্নাকাটি করে বলছে তা-ই আমি মানবিক দৃষ্টিতে নকল পিতা সেজে এসেছি।

জুঁইদণ্ডি ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. ইব্রাহিম জানান, মেয়েটিকে আমি চিনি না, ইসমাইলের মেয়ে মনে করে ভুলবশত আমি স্বাক্ষর করেছি।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবু জাফর সালেহ জানান, দুপুরে কাগজপত্র নিয়ে তারা আসে। তাদের আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় অফিসের স্টাফরা তাদের আমার কাছে নিয়ে আসে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা বিষয়টি স্বীকার করেছে। পরবর্তীতে তাদের আনোয়ারা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার কাজ চলমান রয়েছে বলে তিনি জানান।

ঘটনার বিষয়ে আনোয়ারা থানার ওসি মো. মনির হোসেন জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি, সংশ্লিষ্ট দপ্তর লিখিত অভিযোগ দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কেকে